ঋগ্বেদ ১০।১৪৩
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ১৪৩
অশ্বিদ্বয় দেবতা। অত্রি ঋষি।
১। হে অশ্বিদ্বয়! অত্রিঋষি যজ্ঞ করিয়া বৃদ্ধ হইয়া গিয়াছিলেন। তাঁহাকে তোমরা এরূপ করিলে, যে তিনি ঘোটকের ন্যায় গন্তব্য স্থানে গেলেন। যেমন জীর্ণ রথকে নুতন করা হয়, তদ্রূপ তোমরা কক্ষীবান্ ঋষিকে নবযৌবন প্রদান করিলে।
২। প্রবল পরাক্রান্ত শত্রুরা অত্রিকে শীঘ্রগামী ঘোটকের ন্যায় বন্ধন করিয়া রাখিয়াছিল। যেরূপ দৃঢ়তর গ্রন্থি খুলিয়া দেয়, তদ্রুপ তোমরা অত্রিকে মোচন করিলে, তিনি যুবা পুরুষের ন্যায় পৃথিবী অভিমুখে চলিয়া এলেন।
৩। হে শুভ্রবর্ণ সুশ্রী নায়কদ্বয়! অত্রিকে বুদ্ধিদান করিতে ইচ্ছা কর । হে স্বর্গের নায়কদ্বয়! তাহা হইলে আবার স্তব কীৰ্তন করিতে পারি।
৪। হে উত্তম অন্নসম্পন্ন অশ্বিদ্বয়! হে নায়কদ্বয়! মহাসমারোহে যজ্ঞ আরম্ভ হইলে তোমরা যখন আমাদিগের গৃহে আসিয়া রক্ষা করিয়াছ, তখন বুঝিতেছি যে আমাদিগের দান এবং আমাদিগের স্তব তোমরা জানিতে পারিয়াছ।
৫। ভুজ্যু নামক ব্যক্তি সমুদ্রে পতিত হইয়াছিল, তরঙ্গের উপর আন্দোলিত হইতেছিল, তোমরা পক্ষযুক্ত নৌকা লইয়া তার নিকটে উপস্থিত হইলে।হে সত্যস্বরূপ অশ্বিদ্বয়! তোময়া তাহাকে পুনর্বার যজ্ঞানুষ্ঠানে সমর্থ করিয়া দিলে।
৬। হে সর্বজ্ঞ নায়কদ্বয়! তোমরা ভাগ্যবস্ত লোকের ন্যায় দাতা হইয়া আমাদিগের নিকটে ধনের সহিত আগমন কর। যেরূপ দুগ্ধ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াগাভীর আপীন পূর্ণ করে, তদ্রুপ আমাদিগকে ধনে পূর্ণ কর।