ঋগ্বেদ ১০।১৩৬
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ১৩৬
অগ্নি, সূর্য্য ও বায়ু দেবতা। জূতি, প্রভৃতি ঋষিগণ।
১। কেশীনামক যে দেব, তিনি অগ্নিকে, তিনিই জলকে, তিনিই দ্যুলোক ও ভূলোককে ধারণ করেন। সমস্ত সংসারকে কেশীই আলোকের দ্বারা দর্শনযোগ্য করেন। এই যে জ্যোতি, ইহারই নাম কেশী।
২। বাতরশনের বংশীয় মুনিরা পিঙ্গলবর্ণ মলিন বস্ত্র ধারণ করেন, তাহারা দেবত্ব প্রাপ্ত হইয়া বায়ুর গতির অনুগামী হইয়াছেন।
৩। তপস্যা-রসের রসিক হইয়া আমরা তাহাতে উন্মত্তবৎ, আমরা বায়ুর উপর আরোহণ করিলাম। হে মনুষ্যগণ! তোমরা কেবল আমাদিগের শরীর মাত্র দেখিতে পাইতেছ, অর্থাৎ আমাদিগের প্রকৃত আত্মা বায়ুরূপী হইয়াছে।
৪। যিনি মুনি হন, তিনি আকাশে উড্ডীন হইতে পারেন, সকল বস্তু দেখিতে পান। যে স্থানে যত দেবতা আছেন, তিনি সকলের প্রিয় বন্ধু, সৎকর্মের জন্যই তিনি জীবিত আছেন।
৫। যিনি মুনি হন, তিনি বায়ুপথে ভ্রমণ করিবার ঘোটকস্বৰূপ, তিনি বায়ুর সহচর, দেবতারা তাহাকে পাইতে ইচ্ছা করেন। পূর্ব ও পশ্চিম, এই দুই সমুদ্রে তিনি বাস করেন।
৬। কেশীদেব অপ্সরাদিগের, গন্ধৰ্ব্বদিগের এবং হরিণদিগের বিচরণ স্থানে বিহার করেন। তিনি জ্ঞাতব্য সকল বিষয়ই জানেন ও তিনি অতি চমৎকার, সর্বাপেক্ষা আনন্দদায়ী বন্ধুস্বরূপ।
৭। কেশী যখন রুদ্রের সহিত একত্রে জলপান করেন, তখন বায়ু, সেই জল আলোড়িত করিয়া দেন এবং কঠিন করকাগুলি ভঙ্গ করিয়া দেন(১)।
————
(১) কেশীদেব কে, তাহা বুঝিতে পারিলাম না। এ সূক্তটি অপেক্ষাকৃত আধুনিক, মুনিদিগের সম্বন্ধে যে কথাগুলি আছে, তাহাও আধুনিক।