ঋগ্বেদ ১০।০৮৪
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ৮৪
ঋষি ও দেবতা পূর্ববৎ।
১। হে মন্যু! মরুৎগণ তোমার সহিত এক রথে আরোহণপূর্বক আহলাদিত ও দুর্ধর্ষ হইয়া তীক্ষ্ণবাণ লইয়া যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র শাণিত করিতে করিতে অগ্নি মূর্তিতে নেতার কাৰ্য্য করিতে করিতে যুদ্ধ যাত্রা করুন।
২। হে মন্যু! তুমি অগ্নির ন্যায় উজ্জ্বল হইয়া শত্ৰু পরাভব কর, তুমি সহ্য করিতে সমর্থ, তোমাকে আহবান করা হইয়াছে; তুমি আমাদিগের সৈন্যাধ্যক্ষ হও। শত্ৰুদিগকে নিধন করিয়া তাহাদিগের অন্ন ভাগ করিয়া দাও। তেজ সৃষ্টি করিয়া বিপক্ষদিগকে তাড়াইয়া দেও।
৩। হে মন্যু! আমাদিগের হিংসককে পরাজয় কর; ভাঙিতে ভাঙিতে, মারিতে মারিতে, নিধন করিতে করিতে, শত্ৰুদিগের সম্মুখীন হও। তোমার দুর্ধর্ষ বল কে রোধ করিবে? তুমি একাই সকলকে বশীভূতকর, কিন্তু নিজে নিজেরি বশ।
৪। হে মন্যু । তুমি এক, অনেকে তোমাকে স্তব করে। প্রত্যেক মনুষ্যকে যুদ্ধের জন্য তীক্ষ্ণতেজা কর, তোমাকে সহায় পাইলে আমাদিগের উজ্জ্বলতা কখন নষ্ট হয় না, আমরা জয় লাভের জন্য প্রবল সিংহনাদ করিতে থাকি।
৫। তুমি ইন্দ্রের ন্যায় বিজয়ী, তোমার কোন অপভাষা, বা নিদা নাই, এই স্থানে তুমি আমাদিগের রক্ষাকর্তা হও। হে সহনশীল! তোমার প্রিয় নাম আমরা উচ্চারণ করিতেছি, যে উৎপত্তিস্থান হইতে তুমি জন্মিয়াছ তাহা আমরা জানি।
৬। হে বজ্রতুল্য! হে বাণতুল্য! শত্ৰুপরাভব করা তোমার সহজ, অর্থাৎ স্বভাব সিদ্ধ। হে শত্ৰুপরাভকারী! তুমি উৎকৃষ্ট তেজঃ ধারণ কর, হে মন্যু! তোমাকে বিস্তর লোকে ডাকে। আমরা তোমাকে যজ্ঞ দিতেছি, অতএব যখন তুমুল সংগ্রাম উপস্থিত হয়, আমাদিগের প্রতি স্নেহবান্ হইও।
৭। বরুণ এবং মন্যু তাহাদিগের দুই জনের ধন একত্র মিশ্রিত করিয়া আমাদিগকে দান করুন, শত্রুগণ মনের মধ্যে ভয় প্রাপ্ত ও পরাজিত হউক এবং বিলীন হইয়া যাউক।