ঋগ্বেদ ১০।০৩৮

ঋগ্বেদ ১০।০৩৮
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ৩৮
ইন্দ্র দেবতা। মুষ্কবান ইন্দ্র ঋষি।

১। হে ইন্দ্র! এই যে সংগ্রাম, যথায় যশোলাভ হইয়া থাকে, যথায় প্রহার প্রতিপ্রহার চলিতে থাকে, তুমি তথায় বীরমদে মত্ত হইয়া চীৎকার কর এবং শত্রুর নিকট বিজিত গাভীদিগকে বন্টন করিয়া দাও। এদিকে দীপ্যমান বাণসমূহ প্রবল শত্রুদিগের উপর পতিত হইতে থাকে, সেই ব্যাপার দর্শনে তাবৎ লোক হতবুদ্ধি হইয়া যায় ।

২। অতএব হে ইন্দ্র! প্রচুর ধনধান্য ও গাভী দ্বারা আমাদিগের গৃহ পরিপূর্ণ কর। হে শক্র! তুমি জয়ী হইলে আমরা যেন তোমার স্নেহের পাত্র হই। আমরা মনে যে ধন কামনা করি, তাহা আমাদিগকে দান কর।

৩। হে বহুতর লোকের স্তুতিভাজন ইন্দ্ৰ! আৰ্য জাতিই হউক, বা দাস জাতিই হউক (১), যে কেহ দেবরহিতলোক আমাদিগের সঙ্গে যুদ্ধ করিবার বাসনা করে, সেই সকল শত্রু যেন অক্লেশে আমাদিগের নিকটপরাজিত হয়। তোমার প্রসাদে আমরা যেন তাহাদিগকে যুদ্ধে নিধন করি।

৪। যাহাকে অল্পলোকেও পূজা করে, বহুতর লোকেও পূজা করে, যিনি দুরন্ত সংগ্রামে জয়ী হইয়া উত্তম উত্তম বস্তু ও জয় করিয়া লয়েন, যিনি যুদ্ধে স্নান করেন এবং সর্বজনের নিকট বিখ্যাতকীর্তি হয়েন, আশ্রয়পাইবার জন্য আমরা সেই ইন্দ্রকে আমাদিগের প্রতি অনুকূল করতেছি।

৫। হে ইন্দ্র! তুমিই তোমার ভক্তদিগকে উৎসাহযুক্ত কর, তোমাকে আবার কে উৎসাহিত করিবে? আমরা জানি, তুমি আপনিই আপনার বন্ধন ছেদন করতে সমর্থ । অতএব কুৎসের হস্ত হইতে আত্মমোচন কর এবং এই স্থানে এস। তোমার মত ব্যক্তি কেন মুষ্কদ্বয়ের বন্ধন সহ্য করিতেছে।

————

(১) মূলে “দাসঃ আর্য্যঃ বা” আছে। অর্থাৎ অনার্য্য আদিমবাসীগণ, অথবা দেবভক্তি বিরত আর্য্য শত্রুই হউক।