ঋগ্বেদ ০৯।০৯০
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৯ম মণ্ডল সূক্ত ৯০
পবমান সোম দেবতা। বশিষ্ঠ ঋষি।
১। পুরোহিতগণ সোমকে চালাইয়া দিলেন। তিনি রথের ন্যায় চলিলেন। অন্ন দান করা তাহার অভিপ্রায়। তিনি দ্যুলোক ও ভূলোকের সৃষ্টিকর্তা। তিনি ইন্দ্রের নিকটে যাইবেন, সেই জন্য অস্ত্রশস্ত্র শাণ দিতেছেন, তিনি আমাদিগকে দিবার জন্য দুই হস্তে অশেষ ধন ধারণ করিয়া আছেন।
২। এই যে সোম, যাহাকে তিনবার নিষ্পীড়ন করা হইয়াছে, যিনি অন্ন বিতরণ করেন, তাহার উদ্দেশে পুরোহিতদিগের স্তুতিবাক্য উচ্চারিত হইতেছে । যেমন বরুণ নদীর পরিচ্ছেদ পরিধান করেন, ইনি তেমনি জলের পরিচ্ছদ পরিতেছেন, ইনি রত্নের বিতরণকর্তা, মনোমত অশেষ বস্তু দয়া করিয়া দিতেছেন।
৩। হে সোম! তুমি একাই একদল বীরের তুল্য, তুমি সর্বাপেক্ষা বীর, তোমার ক্ষমতা অতুল, তুমি জয়ী ও ধনদাতা, প্রার্থনা, যে তুমি ক্ষরিত হও। তোমার অস্ত্রশস্ত্র তীক্ষ্ণ, তোমার ক্ষিপ্রহস্ত ধনুর্ধর, যুদ্ধে তোমাকে কেহ আঁটিতে পারে না, তুমি সকল শত্রু পরাভব কর।
৪। হে সোম! কি বিশাল, তোমার যাইবার পথ, তুমি অভয় দান করিতে করিতে ক্ষরিত হও, অতি উত্তম দুই পাত্রের মধ্যে ক্ষরিত হও। তোমা হইতে জল লাভ হয়, প্রভাত হয়, স্বর্গ লাভ ও গাভী লাভ হয়। তুমি একবার শব্দ কর, তাহা হইলেই আমাদিগের প্রচুর অন্ন লাভ হইয়া যায়।
৫। হে সোম! প্রার্থনা করি যে, তুমি ইন্দ্রকে মত্ত কর, বরুণ ও মিত্র ও বিষ্ণু ও বলবান বায়ু ও সকল দেবতাকে মত্ত কর। তাহাদিগের বিপুল আনন্দ উৎপাদন কর।
৬। হে সোম! এইরূপে তোমাকে স্তব করিলাম। তুমি কৰ্ম্মানুষ্ঠান তৎপর রাজার ন্যায় নিজ বলের দ্বারা আমাদিগের পাপসমূহ ধ্বংস করিতে করিতে ক্ষরিত হও। সুন্দররূপ তোমার স্তোত্র পাঠ করা হইয়াছে, অন্ন বিতরণ কর। তোমরা সকলে পান কর, তাহাতে যেন আমাদিগের কল্যাণ হয়।