ঋগ্বেদ ০৯।০৮৪
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৯ম মণ্ডল সূক্ত ৮৪
পবমান সোম দেবতা। প্রজাপতি ঋষি।
১। হে সোমরস! তুমি দেবতাদিগের আনন্দ কর; সকল দিকে দৃষ্টিপাতপূর্বক জনের সহিত মিশ্রিত হইয়া ইন্দ্র ও বরুণ ও বায়ুর জন্য ক্ষরিত হও। এক্ষণে আমাদিগের মঙ্গল কর এবং উত্তম উত্তম সামগ্রী দাও। এই বিস্তীর্ণ ভূমণ্ডলের মধ্যে যে ব্যক্তি যথার্থ দেবভক্ত, তাহাকেই ডাকিয়া লও।
২। যে সোম সকল ভুবনের উপর আধিপত্য করেন, সেই অমর সোম সেই সমস্ত যজ্ঞে আসিতেছেন। যাহা পূর্বে পরস্পর সংবদ্ধ ছিল, ইনি তাহা পৃথক করিয়া দিতেছেন এবং সূৰ্য্য যেরূপ প্রভাত কাল করিয়া দেন, তদ্রূপ এই সোম আমাদিগকে আলোক দান করিতেছেন।
৩। যে সোমরসকে গাভীর দুগ্ধ সহযোগে প্রস্তুত করে, উদ্ভিজ জাতির মধ্যে কেবল যিনি একমাত্র দেবতাদিগের বলাধান করেন এবং ধন ও অন্ন আহরণ করিয়া দেন। যিনি নিষ্পীড়িত হইয়া ঔজ্জ্বল্যযুক্ত ধারার আকারে ক্ষরিত হয়েন এবং ইন্দ্র ও অপরাপর দেবতাদিগকে মাতাইয়া দেন।
৪। সেই এই সোমরস ক্ষরিত হইতেছেন। ইনি অসংখ্য ধন জয় করেন, ইনি প্রাতঃকাল অবধি ক্রমাগত আমাদিগের স্তোত্র গ্রহণ করিতেছেন। ইনি নানা দিক দিয়া কলসের মধ্যে যাইতেছেন। ইনি এরূপভাবে কলসের মধ্যে যাইয়া অবস্থিতি করিতেছেন, যে দেখিয়া ইন্দ্রের আহ্লাদের আর সীমা থাকিতেছে না।
৫। চতুর্দিকে স্তোত্র পাঠ হইতেছে, সেই সোমরসের চতুর্দিকে গাভীগণ দুগ্ধ দিবার জন্য আসিয়া দাড়াইতেছে, সোমরসের সহিত মিশ্রিত সেই দুগ্ধের মধুরতা আরও বৃদ্ধি হয়, সেই সোমরস চমৎকার সুখ দিয়া থাকেন। তিনি প্রস্তুত হইয়া ক্ষরিত হইতেছেন, সেই সঙ্গে কবিতা পাঠ হইতেছে। কারণ তিনি বুদ্ধিমান কবি, তাঁহার প্রভাবেই কবিতার স্ফূর্তি। তিনি সর্বপ্রকার অন্ন বিতরণ করেন।