ঋগ্বেদ ০৯।০৭৬
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৯ম মণ্ডল সূক্ত ৭৬
পবমান সোম দেবতা। কবি ঋষি।
১। এই সোমরস দ্যুলোক ধারণ করেন। ইনি শূন্যপথে ক্ষরিত হইতেছেন। ইহাকে শোধন করিতে হইবেক। ইহার রস দেবতাদিগের বলাধান করে, পরে মনুষ্যগণ সেই রসপানে মত্ত হয়। বেগবান্ ঘোটককেঘোটকপালেরা সজ্জিত করিয়া দিলে, সে যেরূপ অবলীলাক্রমে অগ্রসর হয়, সেইরূপ এই সোমরস জলের সহিত মিশ্রিত হইয়া বিস্তর অন্ন আহরণ করিয়া দেন।
২। ইনি বীরপুরুষের ন্যায় দুই হস্তে অস্ত্র ধারণ করেন। ইনি স্বর্গ লাভের উপায়স্বরূপ, ইনি গাভী উপার্জন ব্যাপারের সময় রথীর ন্যায় কাৰ্য্য করেন, ইনি ইন্দ্রের বল বৃদ্ধি করিয়া তাহাকে পাঠাইয়া দেন। বুদ্ধিমান ঋত্বিকেরা চালনা করিলে, ইনি দুগ্ধ ও ক্ষীরের সহিত মিশ্রিত হন।
৩। হে বদ্ধিষ্ণু সোমরস! তুমি ধারারূপে ক্ষরিত হইয়া ইন্দ্রের উদরে প্রবেশ কর। বিদ্যুৎ যেরূপ মেঘকে দোহনপূৰ্ব্বক বৃষ্টি বর্ষণ করে, তদ্রুপ তুমি আপন ক্রিয়া দ্বারা দ্যুলোক ও ভূলোককে দোহনপূর্বক নিরন্তর আমাদিগকে অন্ন দান কর।
৪। বিশ্বের রাজা সোমরস ক্ষরিত হইতেছেন, তাহার ক্ষমতা ঋষিদিগের অপেক্ষাও অধিক, তিনি সৎকর্মের অনুষ্ঠান কামনা করেন, তিনি সূর্যের আলোকের সহিত মিশিত হন, তিনি সর্বপ্রকার স্তবের উৎপাদনকর্তা, তাহার কাৰ্য্য অনির্বচনীয়।
৫। হে সোম! বৃষ যেমন যুগের মধ্যে প্রবেশ করে, তেমনি তুমি, কলসের মধ্যে প্রবেশ করিতেছ। সেই বৃষ জলের মধ্যে শব্দ করতে থাকে মাদকতা শক্তিতে তুমি সর্বশেষ্ঠ। আমরা যেন তোমার আশ্রয় পাইয়া যুদ্ধে জয়ী হই।