ঋগ্বেদ ০৮।০৫৯
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৮ম মণ্ডল সূক্ত ৫৯
ইন্দ্র ও বরুণ দেবতা।
১। হে ইন্দ্র ও বরুণ! মহাযজ্ঞে সোমাভিষবে তোমাদিগকে আহ্বান করিতেছি, এই তোমাদের ভাগধেয়, উহার অনুসরণ কর, প্রতি যজ্ঞে সবন সকলকে পোষণ কর, সোমাভিষবকারী যজমানকে দান কর।
২। ইন্দ্র ও বরুণ অবস্থিতি করিতেছেন, তাহারা অন্তরিক্ষের পারে পথে গমন করিতেছেন। কোনও দেবশূন্য ব্যক্তি তাঁহাদের শত্রু হইতে পারে না। তাহাদের অনুগ্রহে সুসম্পন্ন ওষধি এবং জল মহিমা লাভ করিতেছে।
৩। হে ইন্দ্র ও বরুণ! একথা সত্য, যে সপ্তবাণি তোমাদের জন্য কৃশ ঋষির সোম প্রবাহ দোহন করিতেছে, তোমরা শুভকৰ্ম্মের পালক। যে অহিংসিত ব্যক্তি তোমাদিগের কৰ্ম্মম্বারা পালন করে, সেই হব্যাদায়ীকে হব্যদ্বারা পালন কর।
৪। ঘৃত ক্ষরণশীল, প্রভূত দানশীল, কমনীয়, সপ্তভগিণীগণ যজ্ঞগৃহে প্রভূত দানবিশিষ্ট হইয়াছেন। হে ইন্দ্র ও বরুণ! যাহারা তোমাদের উদ্দেশে ঘৃত ক্ষরণ করে, তাহাদের উদ্দেশে যজ্ঞ ধারণ কর এবং যজমানকে দান কর।
৫। দীপ্তিশীল ইন্দ্র ও বরুণের নিকট মহাসৌভাগ্য লাভের জন্য ইন্দ্রের সত্য মহিমা কীৰ্ত্তন করিব। আমরা ঘৃত ক্ষরণ করি, ইন্দ্র ও বরুণ শুভ কাৰ্য্যের পতি, তাহারা ত্রিসপ্তসংখ্যক কাৰ্য্যদ্বারা আমাদিগকে রক্ষা করুন।
৬। হে ইন্দ্র ও বরুণ! তোমরা পুৰ্ব্বে ঋষিগণকে যে মনীষা বাক্য, স্তুতি এবং শ্রুত প্রদান করিয়াছ এবং যে সকল স্থান প্রদান করিয়াছ, আমরা ধীর এবং যজ্ঞে ব্যাপৃত হইয়া তপঃ দ্বারা সেই সমস্ত দর্শন করিব।
৭। হে ইন্দ্র ও বরুণ! যে ধন বৃদ্ধিতে মনের তৃপ্তি হয়, গর্ব জন্মায় না, যজমানকে তাহাই প্রদান কর, আমাদিগকে প্রজা, পুষ্টি এবং ভূতি প্রদান কর। আমরা দীর্ঘায়ু হইতে পারি এই জন্য আমাদের আয়ু রক্ষা কর। ইতি বালখিল্য সমাপ্ত।