ঋগ্বেদ ০৭।১০০
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৭ম মণ্ডল সূক্ত ১০০
বিষ্ণু দেবতা। বসিষ্ঠ ঋষি।
১। যিনি বহুলোকের কীৰ্ত্তনীয় বিষ্ণুকে হব্য দান করেন, যিনি যুগপৎ উচ্চারিত স্তোত্রের দ্বারা পূজা করেন এবং মনুষ্যগণের হিতকর বিষ্ণুর পরিচৰ্যা করেন সেই মর্ত্ত্য ধন ইচ্ছা করিয়া শীঘ্র প্ৰাপ্ত হন।
২। হে অভিলাষপ্রদ বিষ্ণু! সৰ্ব্বজনের হিতকর দোষরহিত অনুগ্রহ আমাদিগকে প্রদান কর। যাহাতে সুপ্ৰাপ্ত, প্রচুর অশ্ববান বহুলোকে প্রীতিকর ধন লাভ করা যায়, তাহা কর।
৩। এই দেবতা শতসংখ্যক কিরণবিশিষ্ট পৃথিবীতে স্বীয় মহিমায় তিনবার পাদক্ষেপ করেন। বৃদ্ধ হইতে বৃদ্ধতম বিষ্ণু আমাদের স্বামী হউন, প্রবৃদ্ধ বিষ্ণুর রূপ দীপ্তিযুক্ত (১)।
৪। এই বিষ্ণু এই পৃথিবীকে নিবাসাৰ্থ মনুষ্যকে প্রদান করিতে ইচ্ছা করিয়া পদক্ষেপ করিয়াছিলেন। এই বিষ্ণুর স্তোতাগণ নিশ্চল হন। সৃজয়া বিষ্ণু বিস্তীর্ণ নিবাস স্থান নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন।
৫। হে শিপিবিষ্ট! অদ্য আমরা স্তুতির স্বামী ও জ্ঞাতব্য অবগত হইয়া তোমার সেই প্রসিদ্ধ বিখ্যাত নাম কীৰ্ত্তন করিব। তুমি প্রবৃদ্ধ, আমি অবৃদ্ধ হইলেও তোমার স্তুতি করিব,যেহেতু তুমি রজোলোকের পারে বাস কর।
৬। হে বিষ্ণু! “আমি শিপিবিষ্ট”এই যে নাম বলতেছি, ইহা প্রখ্যাপন করা কি তোমার উচিত? তুমি সংগ্রামে অন্যরূপ ধারণ করিও না; আমাদের নিকট হইতে তোমরা শরীর লুকায়িত করিও না (২)।
৭। হে বিষ্ণু! তোমার উদ্দেশে মুখ হইতে বষটকার করিতেছি, অতএব হে শিপিবিষ্ট! আমার সেই হব্য সেবা কর, আমার সুস্তুতি ও বাক্য তোমাকে বর্ধিত করুক। তোমরা সৰ্ব্বদা আমাদিগকে স্বস্তিদ্বারা পালন কর।
————
(১) অর্থাৎ সূর্য্যরূপ বিষ্ণুর রূপ কিরণময়
(২) পূর্বকালে বিষ্ণু আপনার রূপ পরিত্যাগ করিয়া অন্যরূপ ধারণ করতঃ সংগ্রামে বসিষ্ঠের সাহায্য করিয়াছিলে। বসিষ্ঠ তাঁহাকে জানিতে পারিয়া এই ঋকের দ্বারা স্তব করিতেছেন। সায়ণ। যাস্কের মতে বিষ্ণুর দুই নাম আছে, শিপিবিষ্ট ও বিষ্ণু।