ঋগ্বেদ ০৭।০৮৮
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৭ম মণ্ডল সূক্ত ০৮৮
বরুণ দেবতা। বসিষ্ঠ ঋষি।
১। হে বসিষ্ঠ! তুমি অভীষ্টবৰ্ষী বরুণের উদ্দেশে স্বতঃশুদ্ধ প্ৰিয়তম স্তুতি কর। ইনি যজনীয়, সহস্র ধনবিশিষ্ট, অভীষ্টবৰ্ষী ও বৃহৎ। এই দেবতাকে আমাদের অভিমুখ কর।
২। অধুনা আমি শীঘ্র বরুণের সন্দর্শন প্ৰাপ্ত হইয়া অগ্নির জ্বালাসমূহকে স্তব করি। যখন বরুণ সুখকর পাষাণে অবস্থিত এই সোম অধিক পরিমাণে পান করেন, তখন দর্শনার্থ আমাকে প্রশস্ত রূপ প্রদান করে।
৩। যখন আমি ও বরুণ, উভয়ে নৌকায় আরোহণ করিয়াছিলাম, সমুদ্রের (১) মধ্যে নৌকা সুন্দররূপে প্রেরণ করিয়াছিলাম, জলের উপরে গমনশীল নৌকায় ছিলাম, তখন শোভার্থ নৌকারূপ দোলায় সুখে ক্রীড়া করিয়াছিলাম।
৪। মেধাবী বরুণ গমনশীল দিন ও রাত্রিকে বিস্তার করতঃ দিনসমূহের মধ্যে সুদিনে বসিষ্ঠকে নৌকায় আরোহণ করাইয়াছিলেন, তাঁহাকে রক্ষাদ্বারা সুকৰ্ম্মা করিয়াছিলেন।
৫। হে বরুণ! আমাদের সেই সখ্য কোথায় হইয়াছিল? পুৰ্ব্বকালে যে হিংসারহিত সখ্য ছিল তাহাই সেবা করিতেছি। হে অন্নবান বরুণ! তোমার মহান ভূতগণের বিচ্ছেদকারী সহস্রদ্বারবিশিষ্ট গৃহে গমন করিব (২)।
৬। হে বরুণ! যে বসিষ্ঠ নিত্যবন্ধু, যে পুৰ্ব্বে প্রিয় হইয়া তোমার প্রতি অপরাধ করিয়াছিল, সে তোমার সখা হউক। হে যজনীয় বরুণ! আমরা তোমার আত্মীয়, আমরা পাপযুক্ত হইয়া যেন ভোগ না করি। তুমি মেধাবী, তুমি স্তুতিকারীকে বরণীয় গৃহ প্রদান কর।
৭। এই সকল নিত্যভূমিতে বাস করতঃ আমরা তোমার স্তব করি। বরুণ আমাদের বন্ধন বিমুক্ত করুন, আমরা যেন অখণ্ডনীয় পৃথিবীর সমীপস্থান হইতে বরুণের রক্ষা ভোগ করিতে পারি।
————
(১) মূলে “সমুদ্রং” আছে।
(২) বরুণের সহস্রদ্বারবিশিষ্ট গৃহ কি? আমি অনুমান করি স্বর্গ।