ঋগ্বেদ ০৭।০৮২
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৭ম মণ্ডল সূক্ত ০৮২
ইন্দ্র ও বরুণ দেবতা। বসিষ্ঠ ঋষি।
১। হে ইন্দ্র ও বরুণ! তোমরা আমাদিগের পরিচারকজনের উদ্দেশ্যে যজ্ঞানুষ্ঠানার্থ মহাগৃহ প্রদান কর। যে শত্রু দীর্ঘকাল যজ্ঞকারী ব্যক্তিকে হিংসা করে, আমরা যুদ্ধে দুরভিসন্ধিবিশিষ্ট শত্রুকে (১) জয় করিব।
২। হে ইন্দ্র ও বরুণ! তোমরা মহান ও মহাধনবিশিষ্ট। তোমাদের একজন সম্রাট আর একজন স্বরাট। হে অভীষ্টবর্ষীদ্বয়! উৎকৃষ্ট আকাশে বিশ্বদেবগণ তোমাদিগকে তেজঃ প্রদান করিয়াছিল এবং বলও প্রদান করিয়াছিল।
৩। হে ইন্দ্র ও বরুণ! তোমরা বলদ্বারা জলের দ্বার অপাবৃত করিয়াছিলে, প্রভু সূর্য্যকে আকাশে গমন করাইয়াছিলে। এই প্রজ্ঞাকর সোমপানে আনন্দ হইলে, তোমরা জলরহিত নদী পূর্ণ কর এবং কর্ম সকলেও পূর্ণ কর।
৪। হে ইন্দ্র ও বরুণ! স্তোত্রধারী ব্যক্তিরা যুদ্ধে শত্রুসেনা মধ্যে রক্ষার জন্য এবং সঙ্কুচিত জানু অঙ্গিরাগণ মঙ্গল উৎপাদনের জন্য তোমাদিগকেই আহ্বান করে। তোমরা উভয় প্রকার ধনের ঈশ্বর এবং সুখে আহ্বানযোগ্য। আমরা স্তোতা, তোমাদিগকে আহ্বান করি।
৫। হে ইন্দ্র ও বরুণ! তোমরা ভুবনে সমস্ত প্রাণীকে আপনার বলে নির্মাণ করিয়াছ, তোমাদের মধ্যে একজনকে মিত্র মঙ্গলের জন্য পরিচর্যা করেন, অপর ব্যক্তি মরুৎগণের সহিত উগ্র হইয়া অলঙ্কার প্রাপ্ত হয়।
৬। মহৎ ধনলাভার্থ বরুণ ও ইন্দ্রের দীপ্তির জন্য অচিরে বল উৎপন্ন হয়। ইহাদের এই বল নিত্য এবং সত্ত্বাস্পদীভূত। একজন অবন্ধু, হিংসাকারীকে অভিঘাত করেন, অন্য অন্নের দ্বারা বহুতর শত্রুকে বাধিত করেন।
৭। হে ইন্দ্র ও বরুণ দেবদ্বয়! তোমরা যাঁহার যজ্ঞে গমন কর, যাঁহাকে কামনা কর, বাধা সেই মানুষের নিকট যাইতে পারে না, পাপ যাইতে পারে না, দুরিত যাইতে পারে না, সন্তাপও সে মনুষ্যের নিকট কোন কারণে যাইতে পারে না।
৮। হে নেতা ইন্দ্র ও বরুণ! যদি আমার প্রতি প্রসন্ন থাক, তবে দৈবরক্ষার সহিত আমার সম্মুখে আগমন কর, স্তোত্র শ্রবণ কর। তোমাদের সখিত্ব এবং তোমাদের বন্ধুতা সুখের সাধক, আমাদিগকে উহা প্রদান কর।
৯। হে শত্ৰুকর্ষক তেজোবিশিষ্ট ইন্দ্র ও বরুণ! যুদ্ধে যুদ্ধে আমাদের অগ্রগামী যোদ্ধা হও, তোমাদিগকে উভয় প্রকার নেতাই যুদ্ধে এবং পুত্র পৌত্র লাভের নিমিত্ত আহ্বান করে।
১০। ইন্দ্র, বরুণ, মিত্র ও অর্য্যমা আমাদিগকে দ্যোতমান ধন এবং মহান বিস্তীর্ণ গৃহ প্রদান করুন। যজ্ঞবর্ষিকা অদিতির তেজঃ আমাদের অহিংসক হউক। আমরা সবিতা দেবতার স্তোত্র করিব।
————
(১) অর্থাৎ অনার্য্য বর্বরদিগকে