ঋগ্বেদ ০৬।৬৫
ঋগ্বেদ সংহিতা । । ৬ষ্ঠ মণ্ডল সূক্ত ৬৫
ঊষা দেবতা। ভরদ্বাজ ঋষি।
১। যিনি, দীপ্তিমান কিরণযুক্ত হইয়া রাত্ৰিতে তেজঃ পদার্থ ও অন্ধকারসমূহ তিরস্কৃত করিয়া দৃষ্ট হন, এই সেই দ্যুলোকজাতা দুহিতা ঊষা আমাদিগের জন্য অন্ধকার দূর করতঃ প্ৰজাগণকে প্ৰকাশিত করিতেছেন।
২। কান্তিযুক্ত রথবিশিষ্টা, ঊষাদেবী সেই সময়ে বৃহৎ যজ্ঞের প্রথমাংশ সম্পাদন করতঃ অরুণবর্ণবিশিষ্ট অশ্বদ্বারা বিস্তীর্ণরূপে গমন করেন, বিচিত্ররূপে শোভা পান এবং নিশার অন্ধকার সম্যকরূপে অপনোদন করেন।
৩। হে ঊষাদেবীগণ! তোমরা, হব্যদাতা মনুষ্যকে কীর্তি, বল, অন্ন, এবং রস দান করিয়া থাক, তোমরা ধন্যবতী এবং গমনশীলা। তোমরা অদ্য পরিচর্যাকারীকে পুত্রপৌত্ৰাদিযুক্ত অন্ন এবং ধন দান কর।
৪। হে ঊষাদেবীগণ! এক্ষণে তোমাদের পরিচর্যাকারীর জন্য ধন আছে, এক্ষণে বীর হব্যদাতার জন্য তোমাদের ধন আছে, এক্ষণে প্ৰাজ্ঞ স্তুতিকারীর জন্য তোমাদের ধন আছে। যাহাতে উক্থ আছে, পূর্বকালের ন্যায় মৎসদৃশ ব্যক্তিকে সেই ধন দান কর।
৫। হে সানুপ্রিয় ঊষাদেবী! অঙ্গিরাগণ তোমার প্রসাদে সদ্যই গাভীসমূহ ছাড়িয়া দিয়াছিলেন এবং অৰ্চনীয় স্তোত্ৰদ্বারা তমঃ ভেদ করিয়াছিলেন। নেতা অঙ্গিরাগণের দেববিষয়ক স্তুতি সত্য ফলবিশিষ্ট হইয়াছিল।
৬। হে দ্যুলোকদুহিতা ঊষা! প্ৰাচীন ব্যক্তিদিগের ন্যায় আমাদের জন্য তমঃ দূর কর। হে ধনবতী ঊষা! আমি ভরদ্বাজের ন্যায় পরিচর্যা করিতেছি, তুমি আমাকে পুত্রপৌত্ৰাদিবিশিষ্ট ধন দান কর। তুমি আমাদিগকে অনেকের গন্তব্য অন্ন দান কর।