ঋগ্বেদ ০৬।৩২

ঋগ্বেদ ০৬।৩
ঋগ্বেদ সংহিতা ৬ষ্ঠ মণ্ডল সূক্ত
ইন্দ্র দেবতা। সুহোত্র ঋষি

১। আমি বলশালী, বীর, শক্তিমান, বেগসম্পন্ন, সম্যকরূপে স্তবার্হ, প্রাচীন বজ্রধারী ইন্দ্রের নিমিত্ত মুখদ্বারা অপূৰ্ব্ব, সুবিস্ত্রীর্ণ, সুখদায়ক স্তোত্র রচনা করিয়াছি।

২। তিনি মেধাবী অঙ্গিরাগণের জন্য জননীস্বরূপ স্বর্গ ও পৃথিবীকে সূর্য্যদ্বারা প্রকাশিত করিয়াছেন এবং তাছাদিগকর্তৃক স্তূয়মান হইয়া পৰ্ব্বতকে চূর্ণ করিয়াছেন এবং ধ্যানপরায়ণ স্তোতৃবর্গ অঙ্গিরাগণকর্তৃক বারম্বার প্রার্থিত হইয়া ধেনুগণের বন্ধন মোচন করিয়াছেন।

৩। বহুকৰ্ম্মের অনুষ্ঠানকারী ইন্দ্ৰ ধেনুগণের উদ্ধারের জন্য জালপাতনপূর্বক নিরন্তর হবাপ্রদানকারী স্তোতৃবর্গ অঙ্গিরাগণের সহিত মিলিত হইয়া শত্রুদিগকে পরাজিত করিয়াছেন। মিত্রভূত, মেধাবী অঙ্গিরাগণের সহিত মিত্রাভিলাষী ও দূরদর্শী হইয়া সেই পুরন্দর দৃঢ় পুরসকল ধ্বংস করিয়াছেন।

৪। হে অভীষ্টপূরক, স্তুতিদ্বারা বন্দনীয় ইন্দ্ৰ! তুমি প্রচুর অন্ন, প্রকৃষ্ট বল ও বহু বৎসবতী যুবতী বড়বাদ্ধারা ত্বদীয় স্তবকারীকে, মনুষ্যগণের মধ্যে স্বৰ্গী করিবার নিমিত্ত তদভিমুখে আগমন কর।

৫। স্বভাবতঃ তেজস্বী অশ্বগণের অধিপতি তুরাষাট দক্ষিণ হইতে (১) বারিরাশিকে বিমুক্ত করেন, এইরূপে বিহুষ্ট বারিসমূহ সেই ক্ষোভশূন্য গন্তব্য স্থানে (সমুদ্রে ) প্রত্যহ ব্যাপ্ত হইয়া পতিত হয়, যাহা হইতে আর প্রত্যাবৰ্ত্তন সম্ভবে না।

———–

(১) মূলে “অপঃ দক্ষিণতঃ” আছে। সায়ণ ইহার অর্থ করিয়াছেন সূর্য্যের দক্ষিণায়নের সময়ে বারিরাশি বিমুক্ত করেন। ভারতবর্ষে দক্ষিণায়নের সময়েই বর্ষা আরম্ভ হয়।