ঋগ্বেদ ০৬।৩০
ঋগ্বেদ সংহিতা । ৬ষ্ঠ মণ্ডল । সূক্ত ৩০
ইন্দ্র দেবতা। ভরদ্বাজ ঋষি।
১। ইন্দ্র পুনৰ্ব্বার বীরত্ব প্রকাশের নিমিত্ত প্রবৃদ্ধ হইয়াছেন। শ্রেষ্ঠ ও ক্ষয়রহিত ইন্দ্র স্তোতৃবর্গকে ধন প্রদান করেন। ইন্দ্র স্বর্গ ও পুথিবীকে অতিক্রম করেন। ইন্দ্রের অর্দ্ধভাগই স্বৰ্গ ও পৃথিবী উভয়ের সমকক্ষ।
২। সম্প্রতি আমি তাঁহার মহৎ অসূর্য্য বলের স্তব করিতেছি। তিনি যে সমস্ত কার্য্য সম্পাদন করিতে সঙ্কল্প করেন, কেহই তাহার খণ্ডন করিতে সমর্থ হয় না। তিনিই প্রত্যহ বৃত্ৰাবৃত সূর্য্যকে দৃষ্টি গোচর করেন। শোভন কার্য্যের অনুষ্ঠানকারী সেই ইন্দ্র ত্রিভুবন বিস্তৃত করিয়া রাখিয়াছেন।
৩। হে ইন্দ্র! পূৰ্ব্বকালের ন্যায় ইদানীন্তন সময়েও নদীসকলের বিমোচনরুপ ত্বদীয় কাৰ্য্য বৰ্ত্তমান রহিয়াছে; তদ্দ্বারা তুমি সেই সমস্ত নদীর প্রবাহণার্থ পথ নিরূপিত করিয়া দিয়াছ। পৰ্ব্বত সকল ভোজনার্থ উপবিষ্ট মনুষ্যগণের ন্যায় ত্বদীয় আজ্ঞাক্ৰমে নিশ্চলভাবে অবস্থান করিতেছে। হে সৎকৰ্ম্মের অনুষ্ঠানকারী ইন্দ্ৰ! এই অখিল বিশ্ব তোমাকর্তৃক স্থিরীকৃত হইয়াছে।
৪। হে ইন্দ্র! ইহা সম্পূর্ণ সত্য যে তোমার সমকক্ষ নাই। কি দেব, কি মনুষ্য, কেহই তোমাপেক্ষ শ্রেষ্ঠ নহে। তুমি বারিরাশি নিরোধ করিয়া শয়ান অহিকে সংহার করিয়াছ এবং বারিরাশিকে সমুদ্রে পতিত হইবার নিমিত্ত বিমুক্ত করিয়াছ।
৫। তুমি নিরুদ্ধ বারিরাশিকে সৰ্ব্বত্র প্রবাহিত হইবার নিমিত্ত বিমুক্ত করিয়াছ। তুমি মেঘের সুদৃঢ় বন্ধন ছিন্ন করিয়াছ। তুমি সূর্য্য, আকাশ ও উষাকে প্রকাশিত করিয়া জগতের অধিবাসীগণের উপর আধিপত্য করিতেছ।
———–
(১) মূলে আছে “পক্তিঃ পচ্যতে সস্তি ধানাঃ।”