ঋগ্বেদ ০৬।২৯
ঋগ্বেদ সংহিতা । ৬ষ্ঠ মণ্ডল । সূক্ত ২৯
ইন্দ্র দেবতা। ভরদ্বাজ ঋষি।
১। হে যজমানগণ! তোমাদিগের ঋত্বিকসমূহ অনুগ্রহাণী হইয়া মঙ্গ স্তোত্র উচ্চারণপূর্বক বন্ধুত্বলাভের নিশিন্ত ইন্দ্রের পরিচর্যা করিতেছেন। কারণ, বজ্রপাণি ইন্দ্র বিপুল ধন প্রদান করেন। অতএব রক্ষার্থ, রমণীয় ও মহান সেই ইন্দ্রেরই যাগ কর।
২। যাহার হস্তে মানবহিতকর ধন সঞ্চিত আছে; যিনি সুবর্ণময় রথে আরূঢ়; যtহার বিশাল বাহুদ্বয়ে রশ্মি সকল নিয়মিত আছে; যাহাকে রথে নিয়োজিত বলশালী অশ্বগণ অন্তরিক্ষ পথে বহন করে।
৩। হে ইন্দ্র! ঐশ্বৰ্য্য লাভার্থ ভরদ্বাজ ত্বদীয় পাদদ্বয়ের পরিচর্য্যা করিতেছেন, কারণ, তুমি বলদ্বারা শক্রগণকে পরাজিত কর, বজ্র ধারণ এবং স্তোতৃবর্গকে ধন প্রদান কর। হে নেতা! তুমি সকলের দর্শনার্থ মনোজ্ঞ ও সতত গমনশীল রূপ ধারণ করিয়া সূৰ্য্যের ন্যায় পরিভ্রমণ কর।
৪। অভিযুত সোম যথোপযুক্তরূপে মিশ্রিত হইয়াছে, ইহা অভিযুত হইলে পাকযোগ্য পুরোডাশাদি পঙ্ক হয়, ধান হব্যার্থ সংস্কৃত হয় (১) এবং ঋত্বিগগণ হব্য প্রদানপূর্বক ইন্দ্রের স্তুতি পাঠ ও প্রশংসা গান করিতে করিতে দেবগণের সন্নিকৃষ্ট হন।
৫। হে ইন্দ্র! ত্বদীয় বলের সীমা নিৰ্দ্ধারিত হয় নাই। স্বর্গ ও পৃথিবী ইহার মাহাত্ম্যে ভীত হইয়াছে। গোপাল যেরূপ বারিদ্বারা গোযুথের তৃপ্তি সাধন করে, স্তবকারী সেইরূপ সত্বর আগ্রহসহকারে হব্যদ্বারা যাগ করিয়া ত্বদীয় বলের তৃপ্তি বিধান করে।
৬। হরিতনাসিক মহেন্দ্ৰ যেন এরূপে অনায়াসে আমাদিগের আহ্বানযোগ্য হয়েন। তিনি স্বয়ং উপস্থিত বা অনুপস্থিত হউন, স্তোতৃবর্গকে ধন। প্রদান করেন; অনুপম শক্তিমান সেই ইন্দ্ৰ যেন এইরূপে প্রাদুভূত হইয়া অসংখ্য প্রতিকূলাচারীদিগকে ও দস্যুগণকে সংহার করেন।