ঋগ্বেদ সংহিতা । ৬ মণ্ডল । ৮ সুক্ত
বৈশ্বানর অগ্নি দেবতা। ভরদ্বtজ ঋষি ।
১। আমি সৰ্ব্বব্যাপী, বারিবর্ষক, দীপ্তিমান, জাতবেদার বলের শীঘ্র এই যজ্ঞে সম্যকৃরূপে স্তব করিতেছি । বৈশ্বানর অগ্নির অভিমুখে নবীন, নিৰ্ম্মল, শোভন স্তোত্র সোমরসের ন্যায় নির্গত হইতেছে।
২। সংকৰ্ম্মপালক বৈশ্বানর উৎকৃষ্ট স্বর্গে সঞ্জাত হইয়াই সৎকৰ্ম্ম সকলের রক্ষা ও অন্তরিক্ষের পরিমাণ করিয়াছেন। সংকৰ্ম্মের অনুষ্ঠানকারী বৈশ্বানর নিজ মহিমাদ্বার স্বৰ্গলাভ করিয়াছেন ।
৩। সকলের নিত্ৰ ভূত, অদ্ভুত বৈশ্বানর স্বর্গ ও পৃথিবীকে বিশেষরূপে নিজ নিজ স্থানে স্তম্ভিত করিয়া রাপিয়াছেন। তিনি দীপ্তিদ্বারা অন্ধকার অন্তৰ্হিত করিয়াছেন। তিনি আধারভূত স্বর্গ ও পৃথিবীকে দুই খানি পশু চৰ্ম্মের ন্যায় বিস্তৃত করিয়াছেন, বৈশ্বানর অগ্নি সমস্ত বীৰ্য্য ধারণ করেন ।
৪ । বলশালী মরুৎগণ অন্তরিক্ষ মধ্যে ইঁহাকে ধারণ করিয়াছিলেন এবং মনুষ্যগণ ইহাকে পূজনীয় নৃপতিরূপে স্বীকার করিয়াছিলেন। দেবগণের দূতস্বরূপ মাতরিশ্ব দূরদেশবৰ্ত্তী স্বৰ্য্য মণ্ডল হইতে এই বৈশ্বানর অগ্নিকে ইহলোকে আনয়ন করিয়াছেন।
৫ । হে অগ্নি ! তুমি যাগার্হ, তোমাকে উদ্দেশ করিয়া যাহার। নবীনতর স্তোত্র উচ্চারণ করে, তুমি তাহাদিগকে ধন ও যশস্বী পুল প্রদান কর ; হে দীপ্তিমান অবিনশ্বর অগ্নি ! তুমি বজের ন্যায় নিজ দীপ্তি দ্বারা বৃক্ষের ন্যায় শত্রকে নিপাতিত কর ।
৬ । হে অগ্নি ! আমরা হব্যরূপ ধনে ধনবান, আমাদিগকে তুমি অনপহাৰ্য্য অক্ষয় ও সুবীৰ্য্য ধন প্রদান কর। হে বৈশ্বানর অগ্নি ! আমরা যেন তোমা কর্তৃক রক্ষিত হইয়া শত সহস্র প্রকার অয়লাভ করি।
৭। হে ত্ৰিভূবনাবস্থিত, যাগাৰ্ছ অগ্নি ! তোমার অপ্রতিহত, রক্ষণকারী বল দ্বারা তুমি স্তবকারীগণকে রক্ষা কর, হে বৈশ্বানর অগ্নি ! তুমি হব্য দাতাদিগের বল রক্ষা কর, আমরা তোমার স্তব করিতেছি, তুমি আমাদিগের পরিত্রাণ কর ।