২৩ সুক্ত ।।
অনুবাদঃ
১। হে ব্রহ্মণস্পতি! তুমি দেবগণের মধ্যে গণপতি, কবিগণের মধ্যে কবি, তোমার অন্ন সর্বোৎকৃষ্ট ও উপমানভূত। তুমি প্রশংসনীয়দের মধ্যে রাজা এবং মন্ত্রসমূহের স্বামী। আমরা তোমাকে আহ্বান করি তুমি আমাদের স্তুতি শ্রবণ করে আশ্রয় প্রদানার্থে যজ্ঞগৃহে উপবেশন কর।
২। হে অসুর্য (১) প্রকৃষ্ট জ্ঞান সম্পন্ন বৃহস্পতি। দেবগণ তোমার যজ্ঞীয় ভাগ প্রাপ্ত হয়েছেন। জ্যোতি দ্বারা পূজনীয় সূর্য যেরূপ কিরণ উৎপাদন করেন, সেরূপ তুমি সমস্ত মন্ত্র উৎপাদন কর।
৩। হে বৃহস্পতি! চারদিকে নিন্দুকদের্এবং অন্ধকার সমূহকে দূরীকৃত করে তুমি জ্যোতি:বিশিষ্ট, যজ্ঞ প্রাপক, ভয়ানক, শত্রু হিংসক, রাক্ষসনাশক, মেঘভেদক এবং স্বর্গ প্রদায়ক রথে আরোঞন করেছ।
৪। হে বৃহস্পতি! যে জন তোমাকে হব্য প্রদান করে, তুমি তাকে সৎপথে নিয়ে যাও এবং তাকে রক্ষা কর, পাপ তাকে প্রাপ্ত হয় না। তুমি মন্ত্রদ্বেষীদের সন্তাপক এবং ক্রোধের হিংসক, তোমার এরূপ প্রভূত মাহাত্ম্য আছে।
৫। হে সুরক্ষক ব্রহ্মণস্পতি। তুমি যাকে রক্ষা কর দুঃখ তাকে কষ্ট দিতে পারে না, দুরিত তাকে কষ্ট দিতে পারে না, অরাতিগণ কোন দিকে তাকে হিংসা করতে পারে না, বঞ্চকগণ তাকে ক্লেশ দিতে পারে না। তুমি তার জন্য সমস্ত হিংসকদের দূর করে দাও।
৬। হে বৃহস্পতি। তুমি আমাদের রক্ষক, সৎপথদাতা ও বিচক্ষণ। তোমার যজ্ঞের জন্য আমরা স্তোত্রদ্বারা স্তুতি করি, যে ব্যক্তি আমাদের প্রতি কুটিলাচরণ করে, স্বীয় দুবুদ্ধি বেগবতী হয়ে তাকে শীঘ্র বিনাশ করুক।
৭। হে বৃহস্পতি! যে গর্বিত এবং সর্বগ্রাসী ব্যক্তি আমাদের অভিমুখে এসে আমাদের হিংসা করে সে ব্যক্তিকে সুপথ হতে দূর করে দাও এবং যজ্ঞের জন্য আমাদের পথ সুগম করে দাও।
৮। হে বৃহসইত! তুমি লোক সকলকে উপদ্রব হতে রক্ষা কর, তুমি আমাদের পুত্রাদিকে পালন কর, আমাদের প্রতি মিষ্টবাক্য প্রয়োগ কর এবং আমাদের প্রতি প্রসন্ন হও। আমরা তোমাকে আহ্বান করি,। তুমি দেবনিন্দুকদের বিনাশ কর, দুবুদ্ধিগণ যেন উৎকৃষ্ট সুখ লাভ করতে না পারে।
৯। হে ব্রহ্মণস্পতি! তুমি আমাদের বর্ধিত করলে আমরা যেন মনুষ্যগণের নিকট হতে স্পৃহণীয় ধন প্রাপ্ত হই। দূরে বা নিকটে যে সকল শত্রু আমাদের অভিভব করে সে যজ্ঞহীন শত্রুদের বিনাশ কর।
১০। হে বৃহস্পতি। তুমি অভিলাষ পূরক ও পবিত্র, আমরা তোমার সহায়তা লাভ করে উৎকৃষ্ট অন্ন লাভ করব। যে দুরাত্মা আমাদের পরাভব করতে ইচ্ছা করে, সে যেন আমাদের অধিপতি না হয়, আমরা উৎকৃষ্ট স্তুতিদ্বারা পূণ্যবান হয়ে যেন উন্নতি লাভ করি।
১১। হে ব্রহ্মণস্পতি! তোমার দানের উপমা নেই তুমি অভীবর্ষী, তুমি যুদ্ধে গমন করে শত্রুদের সন্তাপ প্রদান কর এবং সংগ্রামে তাদের বিনাশ কর। তোমার পরাক্রমই সত্য, তুমি ঋণ পরিশোধ কর, তুমি উগ্র এবং মদোন্মত্ত ব্যক্তিদের দমন কর।
১২। যে ব্যক্তি দেবশূন্য মনে আমাদের হিংসা করে, যে উগ্র আত্মাভিমানী আমাদের বধ করতে ইচ্ছা করে, হে বৃহস্পতি! তাদের আয়ুধ যেন আমাদের স্পর্শ না করে। আমরা যেন সে বলবান দুষ্ট শত্রুর ক্রোধ নাশ করত সমর্থ হই।
১৩। বৃহস্পতি যুদ্ধকালে আহ্বানযোগ্য এবং নমস্কার পূর্বক উপাসনাযোগ্য, তিনি যুদ্ধে গমন করেন এবং সর্ব ধন প্রদান করেন। সকলের অধিপতি বৃহস্পতি অভিভেচ্ছা বিশিষ্ট সমস্ত হিংসক সেনাদের রথের ন্যায় নিহত ও বিধ্বস্ত করেন।
১৪। হে বৃহস্পতি! অতিশয় তীক্ষ্ম, সন্তাপপ্রদ অস্ত্রদ্বারা শত্রুদের সন্তাপ প্রদান কর, ঐ রাক্ষসেরা তোমার পরাক্রম প্রভূত হলেও তোমাকে নিন্দা করেছিল। পূর্বকালে তোমার যে প্রশংসনীয় বীর্য ছিল এক্ষণে তা আবিষ্কার কর এবং তা দিয়ে নিন্দুকদের বিনাশ কর।
১৫। হে যজ্ঞজাত বৃহস্পতি। যে ধন আর্যগণ পূজা করে, যে দীপ্তিযুক্ত ও ক্রতুযুক্ত ধন লোকের মধ্যে শোভা পায়, যে ধন নিজ তেজে দীপ্তমান হয়, সে বিচিত্র ধন আমাদের প্রদান কর।
১৬। হে বৃহস্পতি! যে চৌরেরা দ্রোহ কার্যে হৃষ্ট হয়, যারা শত্রু এবং সর্বদা পরের অন্ন আকাঙ্ক্ষা করে, যারা নিজের হৃদয়ে দেবগণকে সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে অভিলাষ করে এবং পরম সামস্তুতি জানে না, তাদের হস্তে আমাদের অর্পণ করো না।
১৭। হে ব্রহ্মণস্পতি। ত্বষ্টা তোমাকে সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট করে উৎপন্ন করেছেন, অতএব তুমি সমস্ত সামের উচ্চারক। যজমান মহাযজ্ঞ আরম্ভ করলে ব্রহ্মণস্পতি তার ঋণ স্বীকার করেন ও সে ঋণ পরিশোধ করেন এবং দ্রোহকারীকে বিনাশ করেন।
১৮। হে অঙ্গিরাবংশীয় বৃহস্পতি! পর্বত গোসমূহ আবরণ করেছিল। তোমার সম্পদের জন্য যখন তা উদ্ঘাটিত হল এবং তুমি গোসমূহকে বার করে দিলে, তখন ইন্দ্রকে সহায় পেয়ে তুমি বৃত্তকর্তৃক আক্রান্ত জলের আধারভূত জলরাশিকে অধোমুখ করেছিলে। ১৯। হে ব্রহ্মণস্পতি! তুমি এ জগতের নিয়ন্তা, তুমি এ সুক্ত অবগত হও, তুমি আমাদের সন্তানসন্ততিকে প্রীত কর; দেবগণ যা রক্ষা করেন তা সম্যকরূপে কল্রাণ কর; আমরা পুত্র ও পৌত্রাবিশিষ্ট হয়ে যজ্ঞে প্রভূত স্তুতি করব। (২)
টীকাঃ
১। সায়ণ এস্থানে অসূর্য অর্থে অসুর হন্তা করেছেন। কিন্তু ১।১৩৪।৫ ও ১।১৬৭।৫ এবং ১।১৬৮।৭ দেখুন।
২। এ সুক্তের ৩ হতে ১৭ ঋকে অনার্য বর্বর জাতিদের বৈরভাব ও উপদ্রব্যের উল্লেখ পাওয়া যায়।
HYMN XXIII. Brahmaṇaspati.
1. WE call thee, Lord and Leader of the heavenly hosts, the wise among the wise, the famousest of all,
The King supreme of prayers, O Brahmaṇaspati: hear us with help; sit down in place of sacrifice.
2 Bṛhaspati, God immortal! verily the Gods have gained from thee, the wise, a share in holy rites.
As with great light the Sun brings forth the rays of morn, so thou alone art Father of all sacred prayer.
3 When thou hast chased away revilers and the gloom, thou mountest the refulgent car of sacrifice;
The awful car, Bṛhaspati, that quells the foe, slays demons, cleaves the stall of kine, and finds the light.
4 Thou leadest with good guidance and preservest men; distress o’ertakes not him who offers gifts to thee.
Him who hates prayer thou punishest, Bṛhaspati, quelling his wrath: herein is thy great mightiness.
5 No sorrow, no distress from any side, no foes, no creatures double-tongued have overcome the man,—
Thou drivest all seductive fiends away from him whom, careful guard, thou keepest Brahmaṇaspati.
6 Thou art our keeper, wise, preparer of our paths: we, for thy service, sing to thee with hymns of praise.
Bṛhaspati, whoever lays a snare for us, him may his evil fate, precipitate, destroy.
7 Him, too, who threatens us without offence of ours, the evilminded, arrogant, rapacious man,—
Him turn thou from our path away, Bṛhaspati: give us fair access to this banquet of the Gods.
8 Thee as protector of our bodies we invoke, thee, saviour, as the comforter who loveth us.
Strike, O Bṛhaspati, the Gods’ revilers down, and let not the unrighteous come to highest bliss.
9 Through thee, kind prosperer, O Brahmaṇaspati, may we obtain the wealth of Men which all desire:
And all our enemies, who near or far away prevail against us, crush, and leave them destitute.
10 With thee as our own rich and liberal ally may we, Bṛhaspati, gain highest power of life.
Let not the guileful wicked man be lord of us:—still may we prosper, singing goodly hymns of praise.
11 Strong, never yielding, hastening to the battle-cry, consumer of the foe, victorious in the strife,
Thou art sin’s true avenger, Brahmaṇaspati, who tamest e’en the fierce, the wildly passionate.
12 Whoso with mind ungodly seeks to do us harm, who, deeming him a man of might mid lords, would slay,—
Let not his deadly blow reach us, Bṛhaspati; may we humiliate the strong ill-doer’s wrath.
13 The mover mid the spoil, the winner of all wealth, to be invoked in fight and reverently adored,
Bṛhaspati hath overthrown like cars of war all wicked enemies who fain would injure us.
14 Burn up the demons with thy fiercest flaming brand, those who have scorned thee in thy manifested might.
Show forth that power that shall deserve the hymn of praise: destroy the evil speakers, O Bṛhaspati.
15 Bṛhaspati, that which the foe deserves not which shines among the folk effectual, splendid,
That, Son of Law I which is with might refulgent-that treasure wonderful bestow thou on us.
16 Give us not up to those who, foes in ambuscade, are greedy for the wealth of him who sits at ease,
Who cherish in their heart abandonment of Gods. Bṛhaspati, no further rest shall they obtain.
17 For Tvaṣṭar, he who knows each sacred song, brought thee to life, preeminent o’er all the things that be.
Guilt-scourger, guilt-avenger is Bṛhaspati, who slays the spoiler and upholds the mighty Law.
18 The mountain, for thy glory, cleft itself apart when, Aṅgiras! thou openedst the stall of kine.
Thou, O Bṛhaspati, with Indra for ally didst hurl down water-floods which gloom had compassed round.
19 O Brahmaṇaspati, be thou controller of this our hymn and prosper thou our children.
All that the Gods regard with love is blessed. Loud may we speak, with heroes, in assembly.
Rig Veda Book 2 Hymn 23
गणानां तवा गणपतिं हवामहे कविं कवीनामुपमश्रवस्तमम |
जयेष्ठराजं बरह्मणां बरह्मणस पत आ नः षर्ण्वन्नूतिभिः सीद सादनम ||
देवाश्चित ते असुर्य परचेतसो बर्हस्पते यज्ञियं भागमानशुः |
उस्रा इव सूर्यो जयोतिषा महो विश्वेषामिज्जनिता बरह्मणामसि ||
आ विबाध्या परिरापस्तमांसि च जयोतिष्मन्तं रथं रतस्य तिष्ठसि |
बर्हस्पते भीमममित्रदम्भनं रक्षोहणंगोत्रभिदं सवर्विदम ||
सुनीतिभिर्नयसि तरायसे जनं यस्तुभ्यं दाशान न तमंहो अश्नवत |
बरह्मद्विषस्तपनो मन्युमीरसि बर्हस्पते महि तत ते महित्वनम ||
न तमंहो न दुरितं कुतश्चन नारातयस्तितिरुर्न दवयाविनः |
विश्वा इदस्माद धवरसो वि बाधसे यं सुगोपा रक्षसि बरह्मणस पते ||
तवं नो गोपाः पथिक्र्द विचक्षणस्तव वरताय मतिभिर्जरामहे |
बर्हस्पते यो नो अभि हवरो दधे सवा तं मर्मर्तु दुछुना हरस्वती ||
उत वा यो नो मर्चयादनागसो.अरातीवा मर्तः सानुको वर्कः |
बर्हस्पते अप तं वर्तया पथः सुगं नो अस्यै देववीतये कर्धि ||
तरातारं तवा तनूनां हवामहे.अवस्पर्तरधिवक्तारमस्मयुम |
बर्हस्पते देवनिदो नि बर्हय मा दुरेवा उत्तरं सुम्नमुन नशन ||
तवया वयं सुव्र्धा बरह्मणस पते सपार्हा वसु मनुष्या ददीमहि |
या नो दूरे तळितो या अरातयो.अभि सन्ति जम्भया ता अनप्नसः ||
तवया वयमुत्तमं धीमहे वयो बर्हस्पते पप्रिणा सस्निना युजा |
मा नो दुःशंसो अभिदिप्सुरीशत पर सुशंसा मतिभिस्तारिषीमहि ||
अनानुदो वर्षभो जग्मिराहवं निष्टप्ता शत्रुं पर्तनासुसासहिः |
असि सत्य रणया बरह्मणस पत उग्रस्य चिद दमिता वीळुहर्षिणः ||
अदेवेन मनसा यो रिशण्यति शासामुग्रो मन्यमानो जिघांसति |
बर्हस्पते म परणक तस्य नो वधो नि कर्म मन्युं दुरेवस्य शर्धतः ||
भरेषु हव्यो नमसोपसद्यो गन्ता वाजेषु सनिता धनं धनम |
विश्वा इदर्यो अभिदिप्स्वो मर्धो बर्हस्पतिर्वि ववर्हा रथां इव ||
तेजिष्थया तपनि रक्षसस्तप ये तवा निदे दधिरे दर्ष्टवीर्यम |
आविस्तत कर्ष्व यदसत त उक्थ्यं बर्हस्पते वि परिरापो अर्दय ||
बर्हस्पते अति यदर्यो अर्हाद दयुमद विभाति करतुमज्जनेषु |
यद दीदयच्छवस रतप्रजात तदस्मसु दरविणं धेहिचित्रम ||
मा न सतेनेभ्यो ये अभि दरुहस पदे निरामिणो रिपवो.अन्नेषु जाग्र्धुः |
आ देवानामोहते वि वरयो हर्दि बर्हस्पते नपरः साम्नो विदुः ||
विश्वेभ्यो हि तवा भुवनेभ्यस परि तवष्टाजनत साम्नः साम्नः कविः |
स रणचिद रणया बरह्मणस पतिर्द्रुहो हन्ता मह रतस्य धर्तरि ||
तव शरिये वयजिहीत पर्वतो गवां गोत्रमुदस्र्जो यदङगिरः |
इन्द्रेण युजा तमसा परीव्र्तं बर्हस्पते निरपामौब्जो अर्णवम ||
बरह्मणस पते तवमस्य यन्ता सूक्तस्य बोधि तनयं च जिन्व |
विश्वं तद भद्रं यदवन्ति देवा बर्हद वदेम … ||
ghaṇānāṃ tvā ghaṇapatiṃ havāmahe kaviṃ kavīnāmupamaśravastamam |
jyeṣṭharājaṃ brahmaṇāṃ brahmaṇas pata ā naḥ ṣṛṇvannūtibhiḥ sīda sādanam ||
devāścit te asurya pracetaso bṛhaspate yajñiyaṃ bhāghamānaśuḥ |
usrā iva sūryo jyotiṣā maho viśveṣāmijjanitā brahmaṇāmasi ||
ā vibādhyā parirāpastamāṃsi ca jyotiṣmantaṃ rathaṃ ṛtasya tiṣṭhasi |
bṛhaspate bhīmamamitradambhanaṃ rakṣohaṇaṃghotrabhidaṃ svarvidam ||
sunītibhirnayasi trāyase janaṃ yastubhyaṃ dāśān na tamaṃho aśnavat |
brahmadviṣastapano manyumīrasi bṛhaspate mahi tat te mahitvanam ||
na tamaṃho na duritaṃ kutaścana nārātayastitirurna dvayāvinaḥ |
viśvā idasmād dhvaraso vi bādhase yaṃ sughopā rakṣasi brahmaṇas pate ||
tvaṃ no ghopāḥ pathikṛd vicakṣaṇastava vratāya matibhirjarāmahe |
bṛhaspate yo no abhi hvaro dadhe svā taṃ marmartu duchunā harasvatī ||
uta vā yo no marcayādanāghaso.arātīvā martaḥ sānuko vṛkaḥ |
bṛhaspate apa taṃ vartayā pathaḥ sughaṃ no asyai devavītaye kṛdhi ||
trātāraṃ tvā tanūnāṃ havāmahe.avaspartaradhivaktāramasmayum |
bṛhaspate devanido ni barhaya mā durevā uttaraṃ sumnamun naśan ||
tvayā vayaṃ suvṛdhā brahmaṇas pate spārhā vasu manuṣyā dadīmahi |
yā no dūre taḷito yā arātayo.abhi santi jambhayā tā anapnasaḥ ||
tvayā vayamuttamaṃ dhīmahe vayo bṛhaspate papriṇā sasninā yujā |
mā no duḥśaṃso abhidipsurīśata pra suśaṃsā matibhistāriṣīmahi ||
anānudo vṛṣabho jaghmirāhavaṃ niṣṭaptā śatruṃ pṛtanāsusāsahiḥ |
asi satya ṛṇayā brahmaṇas pata ughrasya cid damitā vīḷuharṣiṇaḥ ||
adevena manasā yo riśaṇyati śāsāmughro manyamāno jighāṃsati |
bṛhaspate ma praṇak tasya no vadho ni karma manyuṃ durevasya śardhataḥ ||
bhareṣu havyo namasopasadyo ghantā vājeṣu sanitā dhanaṃ dhanam |
viśvā idaryo abhidipsvo mṛdho bṛhaspatirvi vavarhā rathāṃ iva ||
tejiṣthayā tapani rakṣasastapa ye tvā nide dadhire dṛṣṭavīryam |
āvistat kṛṣva yadasat ta ukthyaṃ bṛhaspate vi parirāpo ardaya ||
bṛhaspate ati yadaryo arhād dyumad vibhāti kratumajjaneṣu |
yad dīdayacchavasa ṛtaprajāta tadasmasu draviṇaṃ dhehicitram ||
mā na stenebhyo ye abhi druhas pade nirāmiṇo ripavo.anneṣu jāghṛdhuḥ |
ā devānāmohate vi vrayo hṛdi bṛhaspate naparaḥ sāmno viduḥ ||
viśvebhyo hi tvā bhuvanebhyas pari tvaṣṭājanat sāmnaḥ sāmnaḥ kaviḥ |
sa ṛṇacid ṛṇayā brahmaṇas patirdruho hantā maha ṛtasya dhartari ||
tava śriye vyajihīta parvato ghavāṃ ghotramudasṛjo yadaṅghiraḥ |
indreṇa yujā tamasā parīvṛtaṃ bṛhaspate nirapāmaubjo arṇavam ||
brahmaṇas pate tvamasya yantā sūktasya bodhi tanayaṃ ca jinva |
viśvaṃ tad bhadraṃ yadavanti devā bṛhad vadema … ||