১৩০ সুক্ত।।
অনুবাদঃ
১। হে ইন্দ্র! ঋত্বিকগণের পতি যজমান যেরূপ যজ্ঞশালায় আসেন এবং নক্ষত্রদের পতি চন্দ্র যেরূপ অস্তাচলে গমন করেন (১) তুমি সেরূপ পুরোবর্তী সোমের ন্যায় স্বর্গ হতে আমাদের নিকট এস। আমরা অ্তবিশিষ্ট হয়ে, পুত্রগণ যেমন অশ্বভক্ষণের জন্য পিতাকে আহ্বান করে, সেরুপ তোমাকে সোমাভিষবে আহ্বান করছি। আমরা ঋত্বিকগণের সাথে হব্য গ্রহণের জন্য মহত্তম ইন্দ্রকে আহ্বান কাছ।
২। রমণীয় গতি বৃষভ তৃষ্ণার্ত হয়ে যেমন কৃপোদক পান করে, হে রমণীয়গতি ইন্দ্র! তৃপ্তি, বিক্রম, মহত্ত্ব ও আনন্দোৎপত্তির জন্য তুমি প্রস্তরদ্বারা অভিষুত ও দশাপবিত্রদ্বারা শোধিত সোমরস সেরূপ পান কর। হরিৎগণ যেরূপ সূর্যকে আনে, তোমরা অশ্বগণ সেরূপ প্রতিদিন তোমাকে আনুক।
৩। পক্ষীগণ যেরূপ (দুর্গম স্থানে শাবক রক্ষা করে) তা প্রাপ্ত হয়, সেরূপ ইন্দ্র অতি গোপনীয় স্থানে স্থাপিত এবং অনশ্ত ও অতিমহান প্রস্তর রাশিতে পরিবেষ্টিত সোমরস স্বর্গ হতে লাভ করলেন। অঙ্গিরাগণের অগ্রগণ্য বজ্রধারী ইন্দ্র সোমপানের অভিলাষে পূবে যেরূপ গোব্রজকে প্রাপ্ত হয়েছিলেন, সেরূপ সোমরস প্রাপ্ত হলেন। ইন্দ্র চতুদিকে মেঘাবৃত ও অন্নের হেতুভূত (উদকের) দ্বার সকল উদঘাটন করে চারিদিকে অষ্ন বিস্তার করলেন।
৪। ইন্দ্র বাহুদ্বয়ে দৃঢ়রূপে বজ্র ধারণ করে শত্রুরপ্রতি নিক্ষেপ করবার জন্য তা তীক্ষ্ম হলেও মন্ত্র সংস্কারদ্বারা জল যেন তীক্ষ হয়, সে রূপ আরও তীক্ষ্ম করছেন, বৃত্তকে নাশ করবার জন্য আরও তীক্ষ্ম করছেন। হে ইন্দ্র। বৃক্ষচ্ছেদকে যেরূপ বনবৃক্ষকে ছেদন করে সেরূপ তুমি আপন শক্তি, তেজ ও শরীর বলে বর্ধিত হয়ে আমাদের শত্রুদের ছেদন করছ, যেমন পরশুদ্বারা ছেদন করছ।
৫। হে ইন্দ্র! তুমি সমুদ্রাভিমুখে যাবার জন্য নদীদের গমনশীল রথের ন্যায় অনায়াসে সৃজন করছ। সংগ্রামকামীগণ যেরূপ রথ সৃজন করে সেরূপ তুমিও করেছ। মনুর জন্য ধেনুগণ যেন সর্বার্থ প্রদ হয় এবং সমর্থ মানুষের জন্য ধেনুগণ যেরূপ ক্ষীরপ্রদ হয় সেরূপ অস্মদ্যভিমুখী নদী সকল একই প্রয়োজনে জল সংগ্রহ করে।
৬। কর্মকুশল ও ধীব্যক্তি যেরূপ রথ নিমাণ করে সেরূপ ধনাভিলাষী মানুষ তোমর এ স্তুতি সম্পাদন করেছে। তারা আপন মঙ্গলের জন্য তোমাকে প্রীত করেছে। লোকে যেরূপ দিগ্বিজয়ীকে প্রশংসা করে, হে মেধাবী দুর্ধর্ষ ইন্দ্র! তারা সেরূপ তোমার প্রশংসা করেছে। যুদ্ধে যেমন অশ্বের প্রশংসা হয়, সেরূপ বল, ধনরক্ষা ও সমস্ত মঙ্গল লাভের জন্য তোমার প্রশংসা হয়।
৭। হে যুদ্ধকালে নৃত্যুকারী ইন্দ্র! তুমি হবিপ্রদায়ী, পুরু অতিথিগ্ব রাজার জন্য নবতী সংখ্যক নগরী নষ্ট করেছিলেন (২)। হে নৃত্যশীল ইন্দ্র! বজ্র দ্বারা নষ্ট করেছিলে। হে উগ্র ইন্দ্র! তুমি অতিথি সেবক দিবোদাস রাজার জন্য পর্বত হতে শম্বরকে নিয়ে নিম্নে নিক্ষেপ করেছিলে এবং রাজা দিবোদাসকে স্বীয় শক্তিদ্বারা অগাধ ধনদান করেছিলে, এমন কি সমস্ত ধন দান করেছিলেন।
৮। ইন্দ্র যুদ্ধে আর্য যজমানকে রক্ষা করেন। অসংখ্যবার রক্ষাকারী ইন্দ্র সমস্ত যুদ্ধে তাকে রক্ষা করেন। সুখপ্রদ সংগ্রামে তাকে রক্ষা করেন। ইন্দ্র মানুষের জন্য ব্রতরহিত ব্যক্তিদের শাসন করেন। তিনি কৃষ্ণের কৃষ্ণত্বকে উন্মোচন করে তাকে বধ করেন (৩) তিনি তাকে ভস্মীভূত করেন। তিনি সমস্ত হিংসকদের এবং সমস্ত নিষ্ঠুর ব্যক্তিদের দগ্ধ করেন।
৯। ইন্দ্রসূর্যের রথচক্র গ্রহণ করলে তার শরীরে বলবৃদ্ধি হল তিনি সে চক্র নিক্ষেপ করলেন এবং অরুণবর্ণ রূপ ধারণ করে শত্রুদের নিকট গমন করে তাদের বাক্য হরণ করলেন, ঈশান ইন্দ্র তাদের বাক্য হরণ করলেন। হে কবি ইন্দ্র! তুমি উশনার রক্ষার্থে যেরূপ দূরবর্তী স্বর্গস্থান হতে এসেছিলে সে রূপ আমাদের সমস্ত সুখসাধন ধনের সাথে আমাদের নিকট দ্রুতপদে এস। তুমি অন্য অন্য লোকের নিকটও এরূপে এসে থাক। তুমি আমাদরে নিকট প্রত্যহই এস।
১০। হে জলবর্ষণকারী, নগরবিদারক ইন্দ্র! তুমি আমাদের নুতন উকথে তুষ্ট হয়ে বিবিধ প্রকারে রক্ষা ও সুখদান করে আমাদের প্রতিপালন কর। আমরা দিবোদাস গোত্রোৎপন্ন, আমরা তোমায় স্তব করি, তুমি দিবসে সূর্যের ন্যায় প্রবৃদ্ধ হও।
টীকাঃ
১। সৎপতিঃ শব্দ দুবার ব্যবহৃত হয়েছে। সায়ণ এর এক অর্থ যজমান অন্য অর্থ চন্দ্র করেছেন।
২। সায়ণাচার্য পুরু শব্দের অর্থ অভিশুত সাধক এবং অতিথিম্বা শব্দের অর্থ অতিথির প্রতি গমনকারী করেছেন। কিন্তু ৫১ সুক্তের ৬ ঋকের টীকায় এবং ১১২ সক্তের ১৪ ঋকের টীকায় অতিথিগ্বা শব্দটি দিবোদাসের একটি নামান্তর হয়ে দাড়িয়েছিল। দিবোদাসের অপত্য পরুচ্ছেপ ও সুক্তের রচয়িতা, অতএব দিবোদাসের বিষয় তিনি উল্লেখ করেছেন।
৩। প্রবাদ আছে যে, অংশুমতী নদীর তীরে কৃষ্ণনামে এক কৃষ্ণবর্ণ অসুর ছিল। তার দশসহস্র অনুচর লোকের প্রতি অত্যন্ত উৎপীড়ন করত। বৃহস্পতি মরুৎগণের সাথে ইন্দ্রকে তার বধের জন্য প্রেরণ করেন, ইন্দ্রও সানুচর কৃষ্ণাসুরকে বধ করে তাদের নিরুপদ্রব করেন। সায়ণ। ১০১ সুক্তের ১ ঋকের টীকা দেখুন।
HYMN CXXX. Indra.
1. Come to us, Indra, from afar, conducting us even as a lord of heroes to the gatherings, home, like a King, his heroes’ lord.
We come with gifts of pleasant food, with juice poured forth, invoking thee,
As sons invite a sire, that thou mayst get thee strength thee, bounteousest, to get thee strength.
2 O Indra, drink the Soma juice pressed out with stones. poured from the reservoir, as an ox drinks the spring, a very thirsty bull the spring.
For the sweet draught that gladdens thee, for mightiest freshening of thy strength.
Let thy Bay Horses bring thee hither as the Sun, as every day they bring the Sun.
3 He found the treasure brought from heaven that lay concealed, close-hidden, like the nestling of a bird, in rock, enclosed in never-ending rock.
Best Aṅgiras, bolt-armed, he strove to win, as ’twere, the stall of kine;
So Indra hath disclosed the food concealed, disclosed the doors, the food that lay concealed.
4 Grasping his thunderbolt with both hands, Indra made its edge most keen, for hurling, like a carving-knife for Ahi’s slaughter made it keen.
Endued with majesty and strength, O Indra, and with lordly might,
Thou crashest down the trees, as when a craftsman fells, crashest them down as with an axe.
5 Thou, Indra, without effort hast let loose the floods to run their free course down,
like chariots, to the sea, like chariots showing forth their strength.
They, reaching hence away, have joined their strength for one eternal end,
Even as the cows who poured forth every thing for man, Yea, poured forth all things for mankind.
6 Eager for riches, men have formed for thee this song, like as a skilful craftsman fashioneth a car, so have they wrought thee to their bliss;
Adorning thee, O Singer, like a generous steed for deeds of might,
Yea, like a steed to show his strength and win the prize, that he may bear each prize away.
7 For Pūru thou hast shattered, Indra ninety forts, for Divodāsa thy boon servant with thy bolt, O Dancer, for thy worshipper.
For Atithigva he, the Strong, brought Śambara. from the mountain down,
Distributing the mighty treasures with his strength, parting all treasures with his strength.
8 Indra in battles help his Āryan worshipper, he who hath hundred helps at hand in every fray, in frays that win the light of heaven.
Plaguing the lawless he gave up to Manu’s seed the dusky skin;
Blazing, ’twere, he burns each covetous man away, he burns, the tyrannous away.
9 Waxed strong in might at dawn he tore the Sun’s wheel off. Bright red, he steals away their speech, the Lord of Power, their speech he steals away from them,
As thou with eager speed, O Sage, hast come from far away to help,
As winning for thine own all happiness of men, winning all happiness each day.
10 Lauded with our new hymns, O vigorous in deed, save us with strengthening help, thou Shatterer of the Forts!
Thou, Indra, praised by Divodāsa’s clansmen, as heaven grows great with days, shalt wax in glory.
Rig Veda Book 1 Hymn 130
एन्द्र याह्युप नः परावतो नायमछा विदथानीव सत्पतिरस्तं राजेव सत्पतिः | हवामहे तवा वयं परयस्वन्तः सुते सचा |
पुत्रासो न पितरं वाजसातये मंहिष्ठं वाजसातये ||
पिबा सोममिन्द्र सुवानमद्रिभिः कोशेन सिक्तमवतं नवंसगस्तात्र्षाणो न वंसगः | मदाय हर्यतय ते तुविष्टमाय धायसे |
आ तवा यछन्तु हरितो न सूर्यमहाविश्वेव सूर्यम ||
अविन्दद दिवो निहितं गुहा निधिं वेर्न गर्भं परिवीतमश्मन्यनन्ते अन्तरश्मनि | वरजं वज्रि गवामिव सिषासन्नङगिरस्तमः |
अपाव्र्णोदिष इन्द्रः परीव्र्ता दवार इषः परीव्र्ताः ||
दाद्र्हाणो वज्रमिन्द्रो गभस्त्योः कषद्मेव तिग्ममसनायसं शयदहिहत्याय सं शयत | संविव्यान ओजसा शवोभिरिन्द्र मज्मना |
तष्टेव वर्क्षं वनिनो नि वर्श्चसि परश्वेव नि वर्श्चसि ||
तवं वर्था नद्य इन्द्र सर्तवे.अछा समुद्रमस्र्जो रथानिव वाजयतो रथानिव | इत ऊतीरयुञ्जत समानमर्थमक्षितम |
धेनूरिव मनवे विश्वदोहसो जनाय विश्वदोहसः ||
इमां ते वाचं वसूयन्त आयवो रथं न धीरः सवपातक्षिषुः सुम्नाय तवामतक्षिषुः | शुम्भन्तो जेन्यं यथा वाजेषु विप्र वाजिनम |
अत्यमिव शवसे सातये धना विश्वा धनानि सातये ||
भिनत पुरो नवतिमिन्द्र पूरवे दिवोदासाय महि दाशुषे नर्तो वज्रेण दाशुषे नर्तो | अतिथिग्वाय शम्बरं गिरेरुग्रोवाभरत |
महो धनानि दयमान ओजसा विश्वा धनान्योजसा ||
इन्द्रः समत्सु यजमानमार्यं परावद विश्वेषु शतमूतिराजिषु सवर्मीळ्हेष्वाजिषु | मनवे शासदव्रतान तवचं कर्ष्णामरन्धयत |
दक्षन न विश्वं तत्र्षाणमोषतिन्यर्शसानमोषति ||
सूरश्चक्रं पर वर्हज्जात ओजसा परपित्वे वाचमरुणो मुषायतीशान आ मुषायति | उशना यत परावतो.अजगन्नूतये कवे |
सुम्नानि विश्वा मनुषेव तुर्वणिरहा विश्वेवतुर्वणिः ||
स नो नव्येभिर्व्र्षकर्मन्नुक्थैः पुरां दर्तः पायुभिःपाहि शग्मैः |
दिवोदासेभिरिन्द्र सतवानो वाव्र्धीथा अहोभिरिव दयौः ||
endra yāhyupa naḥ parāvato nāyamachā vidathānīva satpatirastaṃ rājeva satpatiḥ | havāmahe tvā vayaṃ prayasvantaḥ sute sacā |
putrāso na pitaraṃ vājasātaye maṃhiṣṭhaṃ vājasātaye ||
pibā somamindra suvānamadribhiḥ kośena siktamavataṃ navaṃsaghastātṛṣāṇo na vaṃsaghaḥ | madāya haryataya te tuviṣṭamāya dhāyase |
ā tvā yachantu harito na sūryamahāviśveva sūryam ||
avindad divo nihitaṃ ghuhā nidhiṃ verna gharbhaṃ parivītamaśmanyanante antaraśmani | vrajaṃ vajri ghavāmiva siṣāsannaṅghirastamaḥ |
apāvṛṇodiṣa indraḥ parīvṛtā dvāra iṣaḥ parīvṛtāḥ ||
dādṛhāṇo vajramindro ghabhastyoḥ kṣadmeva tighmamasanāyasaṃ śyadahihatyāya saṃ śyat | saṃvivyāna ojasā śavobhirindra majmanā |
taṣṭeva vṛkṣaṃ vanino ni vṛścasi paraśveva ni vṛścasi ||
tvaṃ vṛthā nadya indra sartave.achā samudramasṛjo rathāniva vājayato rathāniva | ita ūtīrayuñjata samānamarthamakṣitam |
dhenūriva manave viśvadohaso janāya viśvadohasaḥ ||
imāṃ te vācaṃ vasūyanta āyavo rathaṃ na dhīraḥ svapāatakṣiṣuḥ sumnāya tvāmatakṣiṣuḥ | śumbhanto jenyaṃ yathā vājeṣu vipra vājinam |
atyamiva śavase sātaye dhanā viśvā dhanāni sātaye ||
bhinat puro navatimindra pūrave divodāsāya mahi dāśuṣe nṛto vajreṇa dāśuṣe nṛto | atithighvāya śambaraṃ ghirerughroavābharat |
maho dhanāni dayamāna ojasā viśvā dhanānyojasā ||
indraḥ samatsu yajamānamāryaṃ prāvad viśveṣu śatamūtirājiṣu svarmīḷheṣvājiṣu | manave śāsadavratān tvacaṃ kṛṣṇāmarandhayat |
dakṣan na viśvaṃ tatṛṣāṇamoṣatinyarśasānamoṣati ||
sūraścakraṃ pra vṛhajjāta ojasā prapitve vācamaruṇo muṣāyatīśāna ā muṣāyati | uśanā yat parāvato.ajaghannūtaye kave |
sumnāni viśvā manuṣeva turvaṇirahā viśvevaturvaṇiḥ ||
sa no navyebhirvṛṣakarmannukthaiḥ purāṃ dartaḥ pāyubhiḥpāhi śaghmaiḥ |
divodāsebhirindra stavāno vāvṛdhīthā ahobhiriva dyauḥ ||