ঋগ্বেদ ০১।০৫২

৫২ সুক্ত।।

অনুবাদঃ
১। শত স্তোতা একেবারে যার স্তুতি কার্যে প্রবৃত্ত হয়, যিনি স্বর্গ জানিয়ে দেন, সে মেষ ইন্দ্রকে সম্যকরূপে পূজা কর। তার রথ গমনশীল অম্বের ন্যায় বেগে যজ্ঞের দিকে গমন করে, আমি রক্ষার হেতু ইন্দ্রকে সে রথে উঠবার জন্য অনেক স্তুতি দ্বারা অনুরোধ করছি।
২। যখন যজ্ঞান্নপ্রিয় ইন্দ্র জল বর্ণষ করে নদী প্রতিরোধকারী বৃত্রকে হত করলেন, তখন তিনি ধারাবাহী জলের মধ্যে পর্বতের ন্যায় অচল হয়ে লোকদের সহস্ররূপে রক্ষা করে প্রভূত বলপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
৩। তিনি আবরণকারী শত্রুদের জয় করেন, তিনি জলবৎ অন্তরীক্ষে ব্যাপ্ত আছেন, তিনি সকলের আহলাদের মূল এবং সোমপানে বর্ধিত হয়েছেন; আমি মনীষী ঋত্বিকদের সাথে সে প্রবৃদ্ধ ধনসম্পন্ন ইন্দ্রকে শোভন কর্মযোগ্য অন্ত:করণের সাথে আহ্বান করছি, কেননা তিনি অন্ন পূরণ করেন।
৪। সমুদ্রের আত্মীয়ভূত ও অভিমুখগামী নদীসমূহ যেরূপ সমুদ্রকে পূরণ করে, সেরূপ কুশস্থিত সোমরস দিব্যলোকে ইন্দ্রকে পূরণ করে; শত্রুশোষণকারী ও অপ্রতিহত ও শোভনরূপ মরুৎগণ বৃত্রহনন সময়ে সে ইন্দ্রের সহায় হয়ে নিকটে উপস্থিত ছিলেন।
৫। গমনশীল জল যেরূপ নিন্মদেশে যায়, ইন্দ্রের সহজায়ভূত মরুৎগণ হৃষ্ট হয়ে সেরূপ যুদ্ধে লিপ্ত ইন্দ্রের সম্মুখে বৃষ্টিযুক্ত বৃত্রের অভিমুখে গেলেন। ত্রিত (১) যেরূপ পরিধি সমুদয় ভেদ করেছিলেন, ইন্দ্র সেরূপ যজ্ঞের অন্ন দ্বারা প্রোৎসাহিত হয়ে বলকে ভেদ করেন।
৬। জল রুদ্ধ করে যে বৃত্র অন্তরীক্ষের উপরিপ্রদেশে শয়ান ছিল এবং অন্তরীক্ষে যার ব্যাপ্তি অসীম, হে ইন্দ্র! যখন তুমি সে বৃত্রের হনুদ্বয় শব্দায়মান বজ্র দ্বারা আঘাত করেছিলে তখন তোমর শত্রু বিজয়িনী দীপ্তি বিস্তৃত হয়েছিল এবং তোমার বল প্রদীপ্ত হয়েছিল।
৭। ঊর্মি সমূহ যেরূপ হ্রদপ্রাপ্ত হয় সেরূপ যে স্তোত্রসমূহ তোমাকে বর্ধন করে সে সমস্ত তোমাকে প্রাপ্ত হয়। ত্বষ্টা তোমার যোগ্য বল বৃদ্ধি করেছেন এবং তার পরাভবকারী বল দ্বারা বজ্র তক্ষ্মি করেছেন।
৮। হে সিদ্ধকর্মা ইন্দ্র! তুমি অশ্বযুক্ত হয়ে মানুষের নিকট অগমনার্থ বৃত্তকে হত করেছ, বৃষ্টিবর্ষণ করেছ, হসতদ্বয়েলৌহ বজ্র গ্রহণ করেছ, এবং আমাদের দর্শ নার্থ কআকাশে সূর্য স্থাপন করেছ।
৯। স্তোতৃগণ বৃত্রের ভয়ে স্ত্রোত্র রচনা করেছে, সে স্ত্রোত্র বৃহৎ আহ্লাদজনক, বলযুক্ত এবং স্বর্গের সোমপান স্বরূপ; তখন স্বর্গরক্ষক মরুৎগণ মানুষের জন্য যুদ্ধ করে এবং মানুষগণকে পালন করে ইন্দ্রকে প্রোৎসাহিত করেছিলেন।
১০। হে ইন্দ্র! তুমি অভিষুত সোমপান করে হৃষ্ট হলে যখন তোমার বজ্র দ্যু ও পৃথিবীর বাধনকারী বৃত্রের মসতক বেগে ছিন্ন করেছিল, তখন বলবান আকাশও সে অহির শব্দে ভয়ে কম্পিত হয়েছিল।
১১। যদি পৃথিবী দশগুণ হত, যদি মানুষ সকল নিত্য কাল জীবিত থাকত, হে মঘবন! তা হলেই তোমার ক্ষমতা প্রকৃত রূপে প্রসিদ্ধ হত; তোমার বলসাধিত ক্রিয়া আকাশের ন্যায় মহৎ।
১২। হে শত্রু বিনাশক ইন্দ্র! এই ব্যাপ্ত অন্তরীক্ষের উপরে থেকে তুমি নিজ ভুজ বলে আমাদের রক্ষার জন্য ভূলোক সৃষ্টি করেছ; তুমি বলের পরিমাণ স্বরূপ; তুমি সুগন্তব্য অন্তরীক্ষ ও স্বর্গ ব্যাপ্ত করে আছ।
১৩। তুমি বিস্তীর্ণ পৃথিবীর পরিমাণ স্বরূপ; তুমি দর্শনীয় দেবগণের বৃহৎ স্বর্গের পালনকারী; তুমি প্রকৃতই নিজ মহত্ত্ত দ্বারা সমস্ত অন্তরীক্ষ ব্যাপ্ত করে আছ; অতএব তোমার সদৃশ অন্য কেউ নেই।
১৪। দ্যু ও পৃথিবী যে ইন্দ্রের ব্যাপ্তি প্রাপ্ত হয় নি, অন্তরীক্ষের উপরস্থ প্রবাহ যার তেজের অন্ত পায়নি, হে ইন্দ্র! তুমি একা অন্য সমস্ত ভূতজাতকে তোমার অধীন করেছ।
১৫। মরুৎগণ এ সংগ্রামে তোমাকে অর্চনা করেছিলেন; যখন তুমি অশ্রিযুক্ত বজ্র দ্বারা বৃত্রের মুখের উপর আঘাত করেছিলে, তখন সকল দেবগণ যুদ্ধে তোমাকে আনন্দিত দেখে আনন্দিত হয়েছিলেন।

টীকাঃ
১। সায়ণ তৈত্তিরীয় সংহিতা অনুসারে ত্রিত সম্বন্ধে এরূপ লিখেছেন, দেবগণের হব্যের চিহ্ন বিমোচনার্থ অগ্নি জল হতে একত, দ্বিত, ও ত্রিত নামে তিন জন পুরুষ সৃষ্টি করেন। ** ত্রিত উদক পানে প্রবৃত্ত হয়ে কূপে পড়েছিলেন, অসুরেরা তাকে প্রতিরোধ করবার জন্য পরিধি অর্থাৎ কূপের আচ্ছাদন সৃষ্টি করল, ত্রিত তা ভেদ কারছিলেন। ইন্দ্র যেরূপ অহি বা বৃত্তের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন, ত্রৈতন বা ত্রিতত্ত সেরূপ করেছিলেন, তা ঋগ্বেদের স্থানে স্থানে পাওয়া যায়। ত্রিত বা ত্রৈতন যে আর্যদের অতি পুরাতন দেব তা ইরানীয় অবস্থায় দেখা যায়। ঋগ্বেদে অহিহস্তা ইন্দ্র যেরূপ উপাস্য অবস্থায় অজি হস্তা থেতন সেরূপ উপাস্য। ঋগ্বেদের ত্রিত আপ্তা বংশীয় (১০৫ সুক্তের ৯ ঋক দেখুন) অবস্থার থতন ও আথা বংশীয়। আবার ইরানীয়দের জেন্দ অবস্থা রচনার প্রায় দু হাজার বছর পর এ ত্রৈত্যনর গল্প ইরানীয়দের ইতিহাসে প্রবেশ করল। পারস্যদের প্রধান কবি ফেরদৌসী নিজ শাহনামা নামক কাব্যে লিখেছেন যে জোহক নামে পারস্যদেশের ত্রিমস্তক সম্পন্ন রাজ্য ছিলেন এবং পফরুদীন তাকে বিজয় করেন। এ জোহক জেন্দ অবস্থায় অজি দহক এবং বেদের অহি এবং এই ফেরুদীন জেন্দ অবস্থার থ্রেতন এবং বেদের ত্রতন। উপাখ্যানের উৎপত্তি কি বিস্ময়কর! গ্রীকদের ধর্মোপাখ্যানে ও প্রাচীন আর্য ত্রিত দেবের পরিচয় পাওয়া যায় গ্রীকদের প্রধান দেব Zeus এবং তার কন্যা Athene (সংস্কৃত অহনা) কখন কখন ত্রিত কন্যা (Tritogeneia) নামে বর্ণিত হতেন। অতএব প্রতীয়মান হচ্ছে যে আপ্তাবংশীয় অহি হস্তা ত্রিত বা ত্রৈতন আর্যদের অতি প্রাচীন উপাস্য দেব ছিলেন, পরে হিন্দুগণ যখন ইন্দ্রকেই অহিহন্তা বলে অধিক উপাসনা করতে লাগলেন, তখন ত্রিত কেবল একজন বীর মানুষ বলে পরিগণিত হলেন। ১০৬ সুক্তের ৬ ঋকের টীকা এবং ১৫৮ সুক্তের ৫ ঋকের টীকা দেখুন।

HYMN LII. Indra.

1 I GLORIFY that Ram who finds the light of heaven, whose hundred nobly-natured ones go forth with him.
With hymns may I turn hither Indra to mine aid,—the Car which like a strong steed hasteth to the call.
2 Like as a mountain on firm basis, unremoved, he, thousandfold protector, waxed in mighty strength,
When Indra, joying in the draughts of Soma juice, forced the clouds, slaying Vṛtra stayer of their flow.
3 For he stays e’en the stayers, spread o’er laden cloud, rooted in light, strengthened in rapture by the wise.
Indra with thought, with skilled activity, I call, most liberal giver, for he sates him with the juice.
4 Whom those that flow in heaven on sacred grass, his own assistants, nobly-natured, fill full like the sea,—
Beside that Indra when he smote down Vṛtra stood his helpers, straight in form, mighty, invincible.
5 To him, as in wild joy he fought with him who stayed the rain, his helpers sped like swift streams down a slope,
When Indra, thunder-armed, made bold by Soma draughts, as Tṛta cleaveth Vala’s fences, cleft him through.
6 Splendour encompassed thee, forth shone thy warrior might: the rain-obstructer lay in mid-air’s lowest deep,
What time, O Indra, thou didst cast thy thunder down upon the jaws of Vṛitra hard to be restrained.
7 The hymns which magnify thee, Indra, reach to thee even as water-brooks flow down and fill the lake.
Tvaṣṭar gave yet more force to thine appropriate strength, and forged thy thunderbolt of overpowering might.
8 When, Indra, thou whose power is linked with thy Bay Steeds hadst smitten Vṛtra, causing floods to flow for man,
Thou heldst in thine arms the metal thunderbolt, and settest in the heaven the Sun for all to see.
9 In fear they raised the lofty self-resplendent hymn, praise giving and effectual, leading up to heaven,
When Indra’s helpers fighting for the good of men, the Maruts, faithful to mankind, joyed in the light.
10 Then Heaven himself, the mighty, at that Dragon’s roar reeled back in terror when, Indra, thy thunderbolt
In the wild joy of Soma had struck off with might the head of Vṛtra, tyrant of the earth and heaven.
11 O Indra, were this earth extended forth tenfold, and men who dwell therein multiplied day by day,
Still here thy conquering might, Maghavan, would be famed: it hath waxed vast as heaven in majesty and power.
12 Thou, bold of heart, in thine own native might, for help, upon the limit of this mid-air and of heaven,
Hast made the earth to be the pattern of thy strength: embracing flood and light thou reachest to the sky.
13 Thou art the counterpart of earth, the Master of lofty heaven with all its mighty Heroes:
Thou hast filled all the region with thy greatness: yea, of a truth there is none other like thee.
14 Whose amplitude the heaven and earth have not attained, whose bounds the waters of mid-air have never reached,—
Not, when in joy he fights the stayer of the rain: thou, and none else, hast made all things in order due.
15 The Maruts sang thy praise in this encounter, and in thee all the Deities delighted,
What time thou, Indra, with thy spiky weapon, thy deadly bolt, smotest the face of Vṛtra.

Rig Veda Book 1 Hymn 52
तयं सु मेषं महया सवर्विदं शतं यस्य सुभ्वः साकमीरते |
अत्यं न वाजं हवनस्यदं रथमेन्द्रं वव्र्त्यामवसे सुव्र्क्तिभिः ||
स पर्वतो न धरुणेष्वच्युतः सहस्रमूतिस्तविषीषु वाव्र्धे |
इन्द्रो यद वर्त्रमवधीन नदीव्र्तमुब्जन्नर्णांसिजर्ह्र्षाणो अन्धसा ||
स हि दवरो दवरिषु वव्र ऊधनि चन्द्रबुध्नो मदव्र्द्धो मनीषिभिः |
इन्द्रं तमह्वे सवपस्यया धिया मंहिष्ठरातिं स हि पप्रिरन्धसः ||
आ यं पर्णन्ति दिवि सद्मबर्हिषः समुद्रं न सुभ्वः सवा अभिष्टयः |
तं वर्त्रहत्ये अनु तस्थुरूतयः शुष्मािन्द्रमवाता अह्रुतप्सवः ||
अभि सवव्र्ष्टिं मदे अस्य युध्यतो रघ्वीरिव परवणे सस्रुरूतयः |
इन्द्रो यद वज्री धर्षमाणो अन्धसा भिनद वलस्य परिधीन्रिव तरितः ||
परीं घर्णा चरति तित्विषे शवो.अपो वर्त्वी रजसो बुध्नमाशयत |
वर्त्रस्य यत परवणे दुर्ग्र्भिश्वनो निजघन्थ हन्वोरिन्द्र तन्यतुम ||
हरदं न हि तवा नय्र्षन्त्यूर्मयो बरह्माणीन्द्र तव यानि वर्धना |
तवष्टा चित ते युज्यं वाव्र्धे शवस्ततक्ष वज्रमभिभूत्योजसम ||
जघन्वानु हरिभिः सम्भ्र्तक्रतविन्द्र वर्त्रं मनुषे गातुयन्नपः |
अयछथा बाह्वोर्वज्रमायसमधारयो दिव्या सूर्यं दर्शे ||
बर्हत सवश्चन्द्रममवद यदुक्थ्यमक्र्ण्वत भियसा रोहणं दिवः |
यन मानुषप्रधना इन्द्रमूतयः सवर्न्र्षाचो मरुतो.अमदन्ननु ||
दयौश्चिदस्यामवानहेः सवनादयोयवीद भियसा वज्र इन्द्र ते |
वर्त्रस्य यद बद्बधानस्य रोदसी मदे सुतस्य शवसाभिनच्छिरः ||
यदिन नविन्द्र पर्थिवी दशभुजिरहानि विश्वा ततनन्तक्र्ष्टयः |
अत्राह ते मघवन विश्रुतं सहो दयामनु शवसा बर्हणा भुवत ||
तवमस्य पारे रजसो वयोमनः सवभूत्योजा अवसे धर्षन्मनः |
चक्र्षे भूमिं परतिमानमोजसो.अपः सवः परिभूरेष्या दिवम ||
तवं भुवः परतिमानं पर्थिव्या रष्ववीरस्य बर्हतः पतिर्भूः |
विश्वमाप्रा अन्तरिक्षं महित्वा सत्यमद्धा नकिरन्यस्त्वावान ||
न यस्य दयावाप्र्थिवी अनु वयचो न सिन्धवो रजसो अन्तमानशुः |
नोत सवव्र्ष्टिं मदे अस्य युध्यत एको अन्यच्चक्र्षे विश्वमानुषक ||
आर्चन्नत्र मरुतः सस्मिन्नाजौ विश्वे देवासो अमदन्ननुत्वा |
वर्त्रस्य यद भर्ष्टिमता वधेन नि तवमिन्द्र परत्यानं जघन्थ ||

tyaṃ su meṣaṃ mahayā svarvidaṃ śataṃ yasya subhvaḥ sākamīrate |
atyaṃ na vājaṃ havanasyadaṃ rathamendraṃ vavṛtyāmavase suvṛktibhiḥ ||
sa parvato na dharuṇeṣvacyutaḥ sahasramūtistaviṣīṣu vāvṛdhe |
indro yad vṛtramavadhīn nadīvṛtamubjannarṇāṃsijarhṛṣāṇo andhasā ||
sa hi dvaro dvariṣu vavra ūdhani candrabudhno madavṛddho manīṣibhiḥ |
indraṃ tamahve svapasyayā dhiyā maṃhiṣṭharātiṃ sa hi paprirandhasaḥ ||
ā yaṃ pṛṇanti divi sadmabarhiṣaḥ samudraṃ na subhvaḥ svā abhiṣṭayaḥ |
taṃ vṛtrahatye anu tasthurūtayaḥ śuṣmāindramavātā ahrutapsavaḥ ||
abhi svavṛṣṭiṃ made asya yudhyato raghvīriva pravaṇe sasrurūtayaḥ |
indro yad vajrī dhṛṣamāṇo andhasā bhinad valasya paridhīnriva tritaḥ ||
parīṃ ghṛṇā carati titviṣe śavo.apo vṛtvī rajaso budhnamāśayat |
vṛtrasya yat pravaṇe durghṛbhiśvano nijaghantha hanvorindra tanyatum ||
hradaṃ na hi tvā nyṛṣantyūrmayo brahmāṇīndra tava yāni vardhanā |
tvaṣṭā cit te yujyaṃ vāvṛdhe śavastatakṣa vajramabhibhūtyojasam ||
jaghanvānu haribhiḥ sambhṛtakratavindra vṛtraṃ manuṣe ghātuyannapaḥ |
ayachathā bāhvorvajramāyasamadhārayo divyā sūryaṃ dṛśe ||
bṛhat svaścandramamavad yadukthyamakṛṇvata bhiyasā rohaṇaṃ divaḥ |
yan mānuṣapradhanā indramūtayaḥ svarnṛṣāco maruto.amadannanu ||
dyauścidasyāmavānaheḥ svanādayoyavīd bhiyasā vajra indra te |
vṛtrasya yad badbadhānasya rodasī made sutasya śavasābhinacchiraḥ ||
yadin nvindra pṛthivī daśabhujirahāni viśvā tatanantakṛṣṭayaḥ |
atrāha te maghavan viśrutaṃ saho dyāmanu śavasā barhaṇā bhuvat ||
tvamasya pāre rajaso vyomanaḥ svabhūtyojā avase dhṛṣanmanaḥ |
cakṛṣe bhūmiṃ pratimānamojaso.apaḥ svaḥ paribhūreṣyā divam ||
tvaṃ bhuvaḥ pratimānaṃ pṛthivyā ṛṣvavīrasya bṛhataḥ patirbhūḥ |
viśvamāprā antarikṣaṃ mahitvā satyamaddhā nakiranyastvāvān ||
na yasya dyāvāpṛthivī anu vyaco na sindhavo rajaso antamānaśuḥ |
nota svavṛṣṭiṃ made asya yudhyata eko anyaccakṛṣe viśvamānuṣak ||
ārcannatra marutaḥ sasminnājau viśve devāso amadannanutvā |
vṛtrasya yad bhṛṣṭimatā vadhena ni tvamindra pratyānaṃ jaghantha ||