উৎপাত উপলক্ষে গদ্য রচনা
ভেবেছিলাম কোনোদিন যুদ্ধক্ষেত্রে যাব না
মরে যাব এই ভেবে নয়
মানুষকে মারতে হবে এই ভেবে—
একটা পিঁপড়েকে মারার পাপস্খলন একজীবনে হয় না।
আমার দিকে কেন বন্দুক তুলেছিল বেল্লিক?
কতদিন পর এই হিমালয়ের স্তব্ধতাকে হত্যা?
তীব্র ভালোবাসা বড় তীব্রতম ঘৃণা হতে পারে।
আমি ভালোবাসায় দীর্ঘ হতে চেয়েছিলাম
আমি ভালোবাসা চেয়েছিলাম স্ত্রীলোকের, বালকের,
জননীর, অচেনা মানুষের;
চেয়েছিলাম ন্যাশপাতির, জ্যোৎস্নার, নিস্তব্ধতার—
জানি না মানুষ মেরে কার জন্য কিসে সাম্যবাদ।
জীবনে প্রথমবার প্লেনে চেপে সীমান্তের দিকে চলে যাবো
এ শীতে দাঁতের বাজনা থেমে যাবে কামানে রাইফেলে
লোভী, পীত সিধেলের মাথায় চালাব রাগী বুলেট
রক্ত, ঘিলু, এ্যাতা মাংস ছিটকে পড়বে পাহাড়ের ওপারে
উল্লাসে হো-হো করে বাড়ি ফিরে বলব:
জয়ী আমি আজ।
আমার বুক থেকে ভালোবাসা মুছে এমন ভয়ংকর ক্রোধ
জাগিয়ে তোলার জন্য, অতীতের কবিতা ছবির দেশ চিন,
তোমাকে আবার কবে ক্ষমা করতে পারব জানি না।