১ এগুলি হল, উপদেশকের কথা যিনি ছিলেন দায়ূদের পুত্র এবং জেরুশালেমের রাজা।
২ সবই এত অর্থহীন! তাই উপদেশকের মতে সবই অসার, সবই সময়ের অপচয!
৩ মানুষ সূর্য়ের নীচে য়ে কঠিন পরিশ্রম করে সে কি তার কোন ফল পায়? না!
৪ বংশপরম্পরা পর্য়ায়এমে আসে এবং যায়। কিন্তু পৃথিবী চিরন্তণ।
৫ সূর্য় ওঠে আবার অস্ত যায়। তারপর দ্রুত ফিরে যায় সেই একই জায়গায় য়েখান থেকে আবার সূর্য় ওঠে।
৬ বাতাস দক্ষিণে বয় এবং উত্তরেও বয়। বাতাস চারিদিক ঘুরে ঘুরে আবার তার নিজের জায়গায় ফিরে যায়।
৭ সব নদী বার বার একই দিকে বয়ে চলে। সমস্ত নদীই সমুদ্রে গিয়ে মেশে কিন্তু সমুদ্র কখনও পূর্ণ হয় না।
৮ সব কথাই ক্লান্তিকর। কিন্তু তবুও লোকে কথা বলে। আমরা সব সময়ই কথা শুনি কিন্তু তাতে আমরা সন্তুষ্ট হই না। আবার সব সময় আমরা য়ে সব জিনিস দেখি তাতেও আমাদের মন ভরে না।
৯ সব জিনিসই সৃষ্টির সময় য়েমন ছিল সে রকমই থেকে যায়। যা আগে করা হয়েছে তাই আবার পরেও করা হবে। সূর্য়ের নীচে কোন কিছুই নতুন নয়।
১০ এমন কোন কিছু নেই যাকে কোন ব্যক্তি নতুন বলতে পারে! য়ে জিনিসকে মানুষ নতুন বলবে তা আমাদের জন্মের আগে থেকেই বর্তমান।
১১ যা অনেক আগে ঘটে গেছে সে ঘটনা লোকে মনে রাখে না। এখন যা ঘটছে ভবিষ্যতে তা লোকে ভুলে যাবে। পরবর্তী প্রজন্ম মনেও রাখবে না আগেকার লোক তাদের জন্য কি করে গেছে।
১২ আমি উপদেশক, আমি ছিলাম জেরুশালেমের অন্তর্গত ইস্রায়েলের রাজা।
১৩ সূর্য়ের নীচে যা কিছু ঘটে তাকে আমি প্রজ্ঞা দ্বারা জানতে চেয়েছিলাম। আমি জানতে পেরেছিলাম য়ে ঈশ্বর লোকদের যা করতে দেন তা খুবই কঠিন ও কষ্টকর।
১৪ আমি দেখেছিলাম সূর্য়ের নীচে যা কিছু করা হয় তা সবই অসার, সময়ের অপচয় মাত্র। এ য়েন অনেকটা হাওয়ার পেছনে ছোটা।
১৫ যা কিছু বাঁকা তাকে পালেট সোজা করা সম্ভব নয়। যা নেই তাকে সরবরাহ করা যায় না।
১৬ আমি নিজেকে বলেছিলাম, “জেরুশালেমে আমার পূর্বে য়েসব ব্যক্তি ছিলেন, তাঁদের সকলের চেয়েও আমি বেশী প্রজ্ঞাবিশিষ্ট হয়েছি। আমি সত্যিই জানি প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের অর্থ কি!”
১৭ আমি জানতে চেয়েছিলাম জ্ঞান ও বিদ্যা কি ভাবে অজ্ঞানতার চেয়ে ভালো। কিন্তু আমি জেনেছিলাম য়ে জ্ঞানলাভের চেষ্টা করা মানে শুধুই হাওযার পিছনে ছোটা।
১৮ জ্ঞানের সঙ্গে আসে হতাশা। য়ে মানুষ যত বেশী জ্ঞান লাভ করে সে তত বেশী দুঃখ পায়।