উইলিয়াম অসবোর্ন ও কর্নেল ম্যাগরুডার
১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার লজ এঞ্জেলস নামক স্থানে গণমান্য ব্যক্তিদের একটি ভোজসভা বসেছিল। ভোজসভা শেষে বাধল গণ্ডগোল। উইলয়াম অসবোর্ন নামে একটি লোক বলে বসল আমেরিকার মধ্যে সবচেয়ে মহান ব্যক্তি হচ্ছেন তার বাবা এবং তার কথার সত্যতা সম্বন্ধে কেউ সন্দেহ প্রকাশ করলে সে ওই ব্যক্তিকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহ্বান করতে প্রস্তুত।
প্রতিবাদকারী ভদ্রলোকটির নাম হচ্ছে কর্নেল ম্যাগরুডার। ডুয়েল-এর নিয়ম অনুসারে যাকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহ্বান করা হয়, সেই ব্যক্তিরই যুদ্ধের অস্ত্র ও স্থান নির্বাচন করার অধিকার থাকে। কর্নেল ম্যাগরুডার বললেন, আমি ডিলিঞ্জার পিস্তল নিয়ে লড়ব। লড়াই হবে এখনই, এই টেবিলের দু-পাশ থেকে।
দুটি ছোটো অথচ মারাত্মক পিস্তল তখনই এসে গেল। পিস্তল দুটিতে গুলি ভরে দেওয়া হল এবং টেবিলের দু-ধারে বসে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী পরস্পরকে লক্ষ করে উঁচিয়ে ধরল হাতের অস্ত্র। অসবোর্ন তখন ভয়ে কাঁপছে; কর্নেল শান্ত নির্বিকার। দ্বন্দ্বযুদ্ধের নিয়ম অনুসারে মধ্যস্থ নির্দেশ দিলে প্রতিদ্বন্দ্বীরা গুলি চালায়, কিন্তু কাপুরুষ অসবোর্ন নির্দেশ আসার আগেই পিস্তলের ঘোড়া টিপে দিল। ভীত বিস্ফারিত দৃষ্টি মেলে অসবোর্ন নিরীক্ষণ করল তার প্রতিদ্বন্দ্বী অবিচলিত ও অকম্পিত হস্তে তার দিকে পিস্তলের লক্ষ্য স্থির করছে–নিক্ষিপ্ত গুলি তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। দারুণ আতঙ্কে কাঁপতে কাঁপতে অসবোর্ন কর্নেলের কাছে প্রাণভিক্ষা চাইল। কর্নেল পিস্তল না-চালিয়ে চালালেন পা–প্রচণ্ড পদাঘাতে তিনি অসবোর্নকে ছিটকে ফেলে দিলেন। বেচারা অসবোর্ন! সে জানত না যে, দুটি পিস্তলের মধ্যেই বুলেটের পরিবর্তে ভরে দেওয়া হয়েছিল বোতলের ছিপি!
[১৯৭০]