ওল্ড স্টেটমেন্ট
নিউ স্টেটমেন্ট
1 of 2

ইসাইয়া ৫৭

১ সব ভালো লোকরা শেষ হয়ে গেছে কিন্তু কেউ লক্ষ্য করেনি। সমস্ত ভাল লোকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু কেউ জানে না কেন। এর কারণ হল মন্দ কাজ, যার জন্য ধার্মিক লোকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
২ কিন্তু শান্তি আসবে। এই লোকরা নিজেদের মৃত্যু শয়্য়ায বিশ্রাম খুঁজে নিতে পারবে। ঈশ্বর যে ভাবে চান তারা সেই ভাবেই জীবনযাপন করবে।
৩ “তোমরা, ডাইনির বাচ্ছারা, এখানে এসো। এই যে ব্যাভিচারীর ও গণিকাদের বাচ্ছারা! তোমরা এখানে এসো!
৪ তোমরা পাপী ও মিথ্য়েবাদী শিশু। তোমরা আমাকে নিয়ে মজা কর। তোমরা আমাকে মুখ ভেঙাও। আমাকে দেখে জিভ ভেঙাও।
৫ প্রতিটি সবুজ গাছের নীচে তোমরা মূর্ত্তির পূজা করতে চাও। তোমরা শিশুদের হত্যা কর এবং তাদের উত্সর্গ কর পাথুরে জায়গায়।
৬ তোমরা নদীর মসৃণ পাথরকে পূজা করতে ভালবাস। তোমরা তাদের পূজা করতে তাদের ওপর দ্রাক্ষারস ঢালো। তোমরা তাদের জন্য পশুবলি দাও। কিন্তু তোমরা যা পাবে তা হল শুধু এই পাথরগুলো। তোমরা কি মনে কর এতে আমি সুখী হই? না! এইসব আমাকে সুখী করে না!
৭ তোমরা প্রতিটি পাহাড় পর্বতে শয়্য়া পেতেছ। যেগুলি হল মূর্ত্তির উপাসনা ক্ষেত্র।
৮ তোমরা সেখানে গিয়ে শয়্য়া গ্রহণ করে ঐসব মূর্ত্তিগুলোর পূজা করে আমার বিরুদ্ধে পাপ কর। তোমরা ঐ মূর্ত্তিদের ভালোবাসো; ওদের উলঙ্গ দেহ দেখে মজা পাও। তোমরা আমার সঙ্গে থাকলেও এখন তোমরা আমাকে ত্যাগ করেছো ঐ মূর্ত্তিগুলোর কাছে থাকার জন্য। আমাকে স্মরণ করার জন্য যে সব জিনিস তোমাদের সাহায্য করত সেসব তোমরা লুকিয়ে রেখেছো। তোমরা ঐসব জিনিসগুলিকে দরজার পিছনে লুকিয়ে রেখেছ। তারপর তোমরা সেই মূর্ত্তিগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তিবদ্ধ হয়েছো।
৯ তোমাদের মূর্ত্তি মোলেকের জন্য তোমরা তোমাদের প্রসাধনী তেল এবং অন্যান্য জিনিষ ব্যবহার কর যাতে তোমাদের সুন্দর দেখায়। তোমরা তোমাদের বার্তাবাহকদের দূর দেশে পাঠিয়েছিলে। তোমরা এমনকি তাদের পাতালে পাঠিয়েছিলে, এটা তোমাদের মৃত্যুর স্থল।
১০ “এই সব জিনিসগুলি করতে তুমি কঠোর পরিশ্রম করেছো। কিন্তু তোমরা কখনও ক্লান্ত হওনি, তোমরা নতুন শক্তি পেয়েছো। কারণ তোমরা ঐসব জিনিসগুলিকে উপভোগ করেছিলে।
১১ তোমরা আমাকে স্মরণ করনি, তোমরা আমাকে লক্ষ্য করনি। তাহলে, কার জন্য তোমরা চিন্তায ছিলে? কার ভয়ে ভীত ছিলে? কেন মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলে? দেখ, আমি অনেকদিন ধরে শান্ত রয়েছি কিন্তু তুমি আমাকে শ্রদ্ধা করনি।
১২ আমি তোমাদের বলতে পারতাম তোমাদের ‘ভালকাজ’ ও ‘ধর্মীয় কাজ’ এর বিষয়ে। বলতে পারতাম কিন্তু ঐসব অপ্রয়োজনীয়।
১৩ যখন তোমাদের সাহায্যের দরকার হত তখন তোমরা মূর্ত্তির সামনে, যাদের তোমরা তোমাদের চারপাশে জড়ো করেছ, কান্নাকাটি করতে। তাদের তোমাদের সাহায্য করতে দাও। কিন্তু আমি বলি, বাতাস তাদের অনেক দূরে নিয়ে চলে যাবে। আকস্মিক বাযুপ্রবাহে তারা সব চলে যাবে দূরে বহুদূরে। কিন্তু আমার প্রতি আস্থাশীল লোকরা আমার প্রতিশ্রুতি মতো দেশ পেয়ে যাবে। আমার পবিত্র পর্বত তাদের জন্য থাকবে।
১৪ রাস্তা পরিষ্কার করো! রাস্তা পরিষ্কার করো! আমার লোকদের রাস্তা থেকে বাধা সরাও।
১৫ ঈশ্বর ওপরে, আরো ওপরে। তিনি থাকবেন চিরকাল। তাঁর নাম পবিত্র। ঈশ্বর বলেন, আমি অনেক উঁচু ও পবিত্র স্থানে বাস করলেও যারা দুঃখীত ও বিনীত তাদের সঙ্গেও আমি থাকি। যাদের আত্মা অনিষ্টকারী তাদের আমি নতুন জীবন দেব। যাদের মনে দুঃখ রয়েছে আমি তাদের নতুন জীবন দেব।
১৬ আমি চিরকাল যুদ্ধ করব না। সব সময় আমি রুদ্ধ থাকব না। আমি যদি সব সময় রুদ্ধ থাকি তাহলে মানুষের আত্মা, যে জীবন আমি তাদের দিয়েছি সেটা আমার সামনে মরে যাবে। আমি তাদের তো নতুন জীবন দিয়েছি।
১৭ এই লোকরা খারাপ কাজ করেছিল বলে আমিই রুদ্ধ হয়েছিলাম। তাই আমি ইস্রায়েলকে শাস্তি দিয়েছিলাম এবং ইস্রায়েল আমাকে ত্যাগ করেছিল। সে তার ইচ্ছে মতো যেখানে খুশি চলে গিয়েছিল।
১৮ ইস্রায়েল কোথায় গিয়েছিল আমি দেখেছি। তাই আমি ইস্রায়েলকে ক্ষমা করব। আমি ইস্রায়েল এবং যারা তার জন্য বিলাপ করে তাদের নেতৃত্ব এবং আরাম দেব।
১৯ আমি তাদের নতুন শব্দ শেখাব ‘শান্তি।’ আমি আমার কাছের ও দূরের লোকেদের শান্তি দেব। আমি তাদের ক্ষমা করে দেবো!” প্রভু নিজে নিজেই এই কথা বলেন।
২০ কিন্তু দুষ্ট লোকরা ঠিক একটি রুদ্ধ সমুদ্রের মতো। তারা শান্ত ও শান্তিপ্রিয হতে পারে না। তারাও সমুদ্রের মতো রুদ্ধ। এবং সমুদ্রের মতো তারাও কাদাকে আলোড়িত করে।
২১ আমার ঈশ্বর বলেন, “দুষ্ট লোকদের শান্তি নেই।”