১ মহিলারা সুখী হও! তোমাদের কোন সন্তান নেই কিন্তু তোমাদের সুখী হওয়া উচিত্। প্রভু বলেন, “যে মহিলা একা আছে সে ব্বিাহিত মহিলার চেয়েও বেশী সন্তান পাবে।”
২ তোমাদের তাঁবু বড় কর। দরজা বড় করে খুলে রাখো। নিজেদের ঘর বড় করবার কাজ বন্ধ রেখো না। তোমাদের তাঁবু শক্ত কর।
৩ কেন? কারণ তোমাদের দ্রুত বৃদ্ধি হবে। তোমাদের শিশুরা অন্যান্য জাতিদের থেকেও মানুষ পাবে। তোমাদের শিশুরা ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরেও বসবাস করবে।
৪ ভীত হযো না! তোমরা হতাশ হবে না। তোমার বিরুদ্ধে লোকে বাজে কথা বলবে না। তোমরা কখনও বিব্রত হবে না। যখন ছোট ছিলে তোমরা লজ্জা পেতে। কিন্তু এখন তোমরা সেই লজ্জা ভুলে যাবে। স্বামী হারিযে তোমরা যে লজ্জা পেয়েছিলে সেই লজ্জার কথা তোমরা আর স্মরণ করবে না।
৫ কেন? কারণ তোমার স্বামী সেই একজন (ঈশ্বর) যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর নাম সর্বশক্তিমান প্রভু। তিনি ইস্রায়েলের পরিত্রাতা। তিনি ইস্রায়েলের পবিত্রতম। তাকেই গোটা পৃথিবীর ঈশ্বর বলে ডাকা হবে।
৬ তোমরা ছিলে স্বামী পরিত্যক্তা মহিলার মত! তোমরা মনে প্রাণে খুব দুঃখী থাকলেও প্রভু তোমাদের তাঁর মানুষ হবার ডাক দেন। তোমরা ছিলে স্বামী পরিত্যক্তা যুবতী স্ত্রীদের মতো। কিন্তু ঈশ্বর তোমাদের ডাক দিয়েছেন।
৭ ঈশ্বর বলেন, “আমি তোমাদের অল্প সময়র জন্য ত্যাগ করেছিলাম। আমি তোমাদের নিজের আসনে আবার একত্রিত করব। আমি তোমাদের মহত্ উদারতা দেখাবো।
৮ আমি রুদ্ধ হয়েছিলাম, তাই অল্প কালের জন্য আমি তোমাদের কাছ থেকে আমাকে লুকিয়ে রেখেছিলাম। তবে এখন সদয হয়ে চির কালের জন্য তোমাদের আরাম দেব।” তোমাদের পরিত্রাতা প্রভু এই সব বলেছেন।
৯ ঈশ্বর বলেন, “নোহর সময়ের কথা স্মরণ কর। আমি পৃথিবীকে বন্যা দিয়ে শাস্তি দিই। কিন্তু আমি নোহকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম পুনরায় বন্যা দিয়ে পৃথিবীকে ধ্বংস করব না। ঠিক সে রকম তোমাদের কথা দিচ্ছি, তোমাদের ওপর আর রুদ্ধ হব না। তোমাদের আর কখনও বাজে কথা বলব না।”
১০ প্রভু বলেন, “পর্বত অদৃশ্য হতে পারে। পাহাড় চূর্ণ হতে পারে। কিন্তু আমার দয়া তোমাদের থেকে দূরে যাবে না। তোমাদের শান্তি দেবো এবং এই শান্তি কখনও শেষ হবে না।” প্রভু তোমাদের ক্ষমা প্রদর্শন করে এই কথাগুলি বলেছিলেন।
১১ “তুমি গরীব শহর! শএুরা ঝড়ের মত তোমার ওপর আছড়ে পড়েছিল। কোন ব্যক্তি তোমাদের আরাম দেয় নি। তোমাদের দেওয়ালে পাথর গাঁথবার জন্য আমি একটি সুন্দর মূল্যবান অলঙ্কার মিশ্রিত হামান ব্যবহার করব। এবং শিলান্যাসের সময় ব্যবহার করব নীলকান্তমণি পাথর।
১২ প্রাচীরের মাথায় যে পাথর থাকবে তা বানানো হবে পান্না দিয়ে। ফটকে ব্যবহার করব উজ্জ্বল রত্ন। তোমার চারি দিকের প্রাচীরে ব্যবহার করব মূল্যবান রত্ন।
১৩ তোমার শিশুরা ঈশ্বরকে অনুসরণ করবে এবং তিনি তাদের শিক্ষা দেবেন। শিশুদের জন্য থাকবে প্রকৃত শান্তি।
১৪ তোমাদের ধার্মিকতা দিয়ে গড়া ও প্রতিষ্ঠা করা হবে। হিংসা ও বিদ্বেষ থেকে তুমি থাকবে নিরুপদ্রব। ভয়ের কিছু থাকবে না। কিছুই তোমাকে আঘাত করতে আসবে না।
১৫ আমার কোন সেনাদল তোমাকে আক্রমণ করবে না। যদিও বা করে তবে তুমি তাদের পরাস্ত করবে।
১৬ “দেখো, আমি কামারকে সৃষ্টি করেছি। সে আগুনে ফুঁ দিয়ে তাকে উত্তপ্ত করে। তারপর সে আগুন ব্যবহার করে গরম লোহার সাহায্যে নিজের ইচ্ছেমত যন্ত্র বানায়। ঠিক সে ভাবেই আমি সৃষ্টি করেছি ‘ধ্বংসকারকদের’ জিনিস ধ্বংস করার জন্য।
১৭ “মানুষ তোমাকে ধ্বংস করার জন্য অস্ত্র বানাবে। কিন্তু সেই অস্ত্রগুলি তোমাকে পরাস্ত করতে পারবে না। কেউ কেউ তোমার বিরুদ্ধে কথা বলবে। তবে যে যে লোক তোমার বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদের ভুল বলে প্রমাণ করা হবে।”প্রভু বলেন, “প্রভুর দাসরা কি পায়? আমার কাছ থেকে আসা ভালো জিনিস তারা পায়!”