ওল্ড স্টেটমেন্ট
নিউ স্টেটমেন্ট
1 of 2

ইসাইয়া ১৯

১ মিশর সম্পর্কে বার্তা: দেখো! প্রভু একটা দ্রুত ধাবমান মেঘে চড়ে আসছেন। তিনি মিশরে যাবেন এবং তাঁর এই আগমনে সেখানকার মূর্ত্তিরা ভয়ে কাঁপবে। সাধারণতঃ মিশরবাসীরা সাহসী কিন্তু প্রভুর আগমনে তাদের সাহস গরম মোমের মতো গলে যাবে।
২ ঈশ্বর বলেন: “আমি মিশরের লোকদের নিজেদের মধ্যে মারামারি করাব। ভাই লড়বে ভাইযের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে প্রতিবেশী। এক শহর অন্য শহরের বিরুদ্ধে। এক রাজ্য অন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে।
৩ লোকরা বিভ্রান্ত হবে। লোকরা তাদের ভ্রান্ত দেবতা ও জ্ঞানী লোকদের দরবারে হাজির হয়ে জানতে চাইবে তাদের কি করা উচিত্‌। লোকরা যাদুকরের কাছেও জিজ্ঞাসা করবে। কিন্তু কারোর উপদেশই কার্য়করী হবে না।”
৪ গুরু, সর্বশক্তিমান প্রভু বলেন, “মিশরকে আমি এক কঠোর প্রভুর হাতে দেব। এক শক্তিশালী রাজা লোকদের শাসন করবে।
৫ নীলনদ এমশঃ শুকিয়ে আসবে। সমুদ্র থেকে জল চলে যাবে।
৬ সমস্ত নদীর জল দুর্গন্ধে ভরে যাবে। মিশরের খালগুলি এমশঃ শুকিয়ে যাবে এবং জলহীন হয়ে পড়বে। সমস্ত জলজ উদ্ভিদগুলিতে পচন ধরবে।
৭ নীলনদের তীর ধরে যেসব ছোট গাছপালা আছে সেগুলো মরে যাবে এবং উড়ে যাবে। এমন কি নীলনদ যেখানে সবচেয়ে বেশী বিস্তৃত, সেখানকার গাছপালাও মরে যাবে।
৮ “নীলনদ থেকে যে সমস্ত জেলেরা মাছ ধরত তারা এমশঃ বিষণ্ন হবে এবং কাঁদবে। যারা নীলনদের ওপর জাল বিছিযে জীবিকা নির্বাহ করত তারা দুর্বল হয়ে যাবে।
৯ যে সমস্ত মানুষ কাপড় তৈরী করে তারাও ভীষণ বিষণ্ন। কারণ কাপড় তৈরীর প্রয়োজনীয় ফ্লা) (এক রকমের গাছ) আর নদীর পাড়ে জন্মাচ্ছে না।
১০ নদীর জল ধরে রাখার জন্য যারা বাঁধ তৈরী করতো, তারাও কাজ হারিযে বিষণ্ন হবে।
১১ “সোযন শহরের নেতারা বোকা। ফরৌণের ‘বিজ্ঞ পণ্ডিতরা’ ভুল উপদেশ দিয়েছে। ঐ নেতারা বলেছেন যে তাঁরা জ্ঞানী ও রাজারই বংশধর। কিন্তু যতটা বিজ্ঞ বলে তাঁরা নিজেদের ভাবছেন ততটা তাঁরা নন।”
১২ মিশর, তোমার জ্ঞানী মানুষরা কোথায়? ঐ জ্ঞানী বিজ্ঞ ব্যক্তিদের জানতে হবে যে সর্বশক্তিমান প্রভু মিশরের জন্য কি পরিকল্পনা করেছেন। কি ঘটবে তা জেনে নিয়ে তা তাদের অন্যদের জানানো উচিত্‌।
১৩ সোযন শহরের নেতাদের বোকা বানানো হয়েছে। নোফের নেতাদের ভ্রান্ত জিনিষ বিশ্বাস করিযে ঠকানো হয়েছে। তাই তারা মিশরকে ভুল পথে নিয়ে যায়।
১৪ প্রভু, নেতাদের বিভ্রান্ত করেছেন। তারা রাস্তা ভুলেছে এবং মিশরকে ভুল পথে চালিত করেছে। নেতাদের সব কাজই ভুলে ভরা। তারা, মাটিতে তাদের বমির ওপর মাতালের মত টল্মল করে হেঁটে বেড়ায।
১৫ নেতারা মিশরের জন্য কিছুই করতে পারবে না। এই নেতারা হচ্ছে “মাথা এবং লেজ।” তারা হচ্ছে “গাছের মাথা এবং বৃন্তসমূহ।”
১৬ মিশরীয়রা সেই সময় ভীত-সন্ত্রস্ত মেয়েদের মতো হয়ে পড়বে। প্রভু সর্বশক্তিমানের আগমনে তারা ভয় পাবে। প্রভু লোকদের শাস্তি দেওয়ার জন্য তার বাহু প্রসারিত করবেন এবং তারা ভীত হবে।
১৭ যিহূদা হবে এমন এক জায়গা যা মিশরের সব মানুষের কাছেই আতঙ্ক স্বরূপ। মিশরের কোন মানুষ যিহূদার নাম শুনলেই সে হঠাত্‌ই আতঙ্কিত হয়ে পড়বে। প্রভু সর্বশক্তিমান এই ভাবেই মিশরীয়দের শাস্তি দেবেন বলে পরিকল্পনা করেছেন।
১৮ ঐ সময়, মিশরের পাঁচটি শহরের লোকরা কনান ভাষায় (ইহুদীদের ভাষা) কথা বলবে। ঐ পাঁচটি শহরের একটি হবে “ধ্বংসের শহর।”শহরের লোকরা প্রভু সর্বশক্তিমানকে মেনে নেওয়ার অঙ্গীকার করবে।
১৯ ঐ সময় মিশরের মাঝখানে প্রভুর এক বেদী থাকবে। প্রভুকে সন্মান দেখানোর জন্য মিশরের সীমানায একটি স্মৃতি স্তম্ভ থাকবে।
২০ এগুলি থাকার অর্থ সর্বশক্তিমান প্রভু কত ক্ষমতাধর তা দেখানো। প্রভুর কাছে সাহায্যের জন্য কেঁদে পড়লেই সাহায্য মিলবে। প্রভু লোকদের কাছে একজন ত্রাণকর্ত্তা পাঠাবেন যে তাদের প্রতিরক্ষা করবে এবং তাদের পীড়নকারী লোকদের হাত থেকে উদ্ধার করবে।
২১ মিশরের লোকরা সে সময় সত্যি সত্যিই প্রভুকে জানবে। তারা ঈশ্বরকে ভালোবাসবে। লোকরা ঈশ্বরের সেবা করবে এবং অনেক পশুবলি দেবে। তারা প্রভুর কাছে প্রতিশ্রুতি করবে এবং সেই প্রতিশ্রুতি পালন করবে।
২২ প্রভু মিশরের লোকদের শাস্তি দেবেন এবং তারপর তাদের ক্ষমা করবেন। পরে ঐ লোকরা প্রভুর কাছে ফিরে আসবে। প্রভু প্রত্যেকের প্রার্থনা শুনবেন এবং তাদের ক্ষমা করবেন।
২৩ সেই সময়, মিশর থেকে অশূর পর্য়ন্ত একটা রাজপথ থাকবে। তখন অশূরের লোকরা ঐ পথেই মিশরে যাবে এবং মিশরের লোকরা ঐ রাজপথ ধরেই অশূরে আসবে। মিশর ও অশূরের লোকেরা মিলে মিশে কাজ করবে।
২৪ সে সময় ইস্রায়েল, মিশর ও অশূর মিলিত হবে এবং দেশকে নিয়ন্ত্রণ করবে। এটা দেশের পক্ষে কল্যাণকর হবে।
২৫ প্রভু সর্বশক্তিমান ঐ সম্মিলিত দেশগুলিকে আশীর্বাদ করবেন। তিনি বলবেন, “মিশর তুমি আমার লোক। অশূর আমি তোমাকে সৃষ্টি করেছি। ইস্রায়েল, তুমি আমার। তোমরা প্রত্যেকেই আমার আশীর্বাদপুষ্ট!”