ছয়
রোকুর পিছু-পিছু হিরু চাচা আর কিশোর জঙ্গল ভেদ করে চলেছে।
‘শোন, আমার দিক ভুল হয়েছিল এডেনের ঘড়ির কাঁটা উল্টো চলে বলে,’ বলল হিরু চাচা।
কিশোর কান দিল না। পোড়া লতা-পাতার দিকে নজর ওর।
‘রোকু, দেখ, এই পাতাগুলো পোড়া।’
‘জঙ্গলের খানিকটা পুড়ে গেছে দেখা যাচ্ছে,’ সায় জানাল রোকু। ‘অমিল।’
‘কই, আয় তোরা, এখন বোটানির সময় নয়,’ কাঁধের উপর দিয়ে বলল হিরু চাচা। ‘আমরা এর মধ্যেই দেরি করে ফেলেছি!’ গটগট করে পা চালাল।
কিশোর একটা পোড়া পাতা আঙুলের চাপে মুড়মুড় করে ভাঙল।
‘কেন এমন হলো, রোকু? আবহাওয়া পাতলা বলে?’
‘না, মাস্টার।’
‘ডোডেকাহেড্রনের সাথে এর কোন সম্পর্ক আছে?’
‘না। কোন স্পেসশিপ নামার ফলে তার রেট্রো-রকেটের কারণে। আসুন, মাস্টার।’ হিরু চাচাকে অনুসরণ করল রোকু।
কিশোর পোড়া লতা-পাতার পথটা পরখ করল। এক ধরনের ট্রেইলের সৃষ্টি হয়েছে, সামনে পুড়েছে আরও বেশি, যেন উৎসের কাছাকাছি বলে। সাবধানে সামনে আরও খানিকটা এগোল কিশোর—এবং একটা সাপের মতন লতা সবেগে আছড়ে পড়ে ওর পায়ের পাতা পেঁচিয়ে ধরল। চিৎকার করার জন্য মুখ খুলেছে, ঘণ্টাসদৃশ এক ফুল শোঁ করে নেমে এসে হুড়ের মত মাথার উপর পড়ল। নার্কোটিক গ্যাসের মিষ্টি গন্ধ নাকে এল ওর।
কিশোরের বিজ্ঞানমনস্ক মন বলল, মাংসাশী কোন গাছ হামলা করেছে ওর উপর: ওটার এক অংশ শিকারকে বেঁধে ফেলেছে এবং অপর অংশ ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। অপরদিকে ওর স্বভাবজাত চরিত্র ওকে লড়াই চালিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করল, যতক্ষণ না ঘণ্টাসদৃশ চারাটাকে মুচড়ে মাথা থেকে খসাতে পারল।
পকেট হাতড়ে রোকুর উপর ব্যবহার করা ইলেক্ট্রো-প্লায়ার্সটা বের করে, পায়ের পাতা জড়িয়ে রাখা লতাটা কাটতে শুরু করল। ওটাকে ইস্পাতের তারের মতন শক্ত ঠেকল ওর কাছে…
.
ক্যারি নির্জন পাওয়ার রূম অ্যানেক্সে নিঃশব্দে প্রবেশ করল। বৈজ্ঞানিক কৌতূহলের কারণে দূরে থাকার আদেশ অমান্য করেছে সে। কাঁধের উপর একটা হাত পড়তেই সভয়ে শ্বাস চাপল ও, ঘুরে দাঁড়াল পাঁই করে, প্রধান সন্ন্যাসিনীর দীর্ঘদেহ লক্ষ করে বিস্মিত হলো।
‘গ্রেবা!’ অস্ফুটে বলে উঠল।
‘তুমি এখানে কী করছ, ক্যারি?’
ক্যারি ঝাড়া দিয়ে সরে গেল।
‘আমাদের সাভাণ্টদের জানা জরুরি এখানে কী হচ্ছে।’
‘তোমাদেরকে সরে থাকার আদেশ দেয়া হয়েছিল।’
‘আপনাকেও, গ্রেবা!’
‘আমি দেবতার পক্ষ থেকে দেখাশোনা করছি…’
পাওয়ার রূম থেকে পদশব্দ আসছে শুনে দু’জনেই উল্টো ঘুরল। প্রবৃত্তির বশে ওরা দু’জনই আবছায়ায় গা ঢাকা দিল।
পাওয়ার রূম থেকে বেরিয়ে এল ডিলাক। মুখের চেহারায় আনন্দের ছাপ তার। ওদেরকে লক্ষ না করে গটগট করে হেঁটে চলল সে, সিটির আপার লেভেলে ওঠার সিঁড়ির ধাপগুলো বাইতে লাগল।
‘ওঁর মুখটা দেখেছ?’ ফিসফিস করে প্রশ্ন করলেন সন্ত্রস্ত গ্রেবা ‘দেবতার সাথে যোগাযোগ হয়েছে তাঁর।’
বাস্তববাদী ক্যারি বলল, ‘আলোর কী হলো?’
গ্রেবা চরকির মতন ঘুরে পাওয়ার রূমের দোরগোড়ার দিকে চাইলেন। জীবনে এই প্রথমবার ওখানে অন্ধকার দেখা গেল। ডোডেকাহেড্রনের আলো নেই।
.
কিশোরকে পিছনে ফেলে এসেছে এব্যাপারে অসচেতন, হিরু চাচা আর রোকু সিটি গেটের কাছে পৌছে গেল।
দুই গার্ডের দিকে এগিয়ে গেল হিরু চাচা।
‘হ্যালো, আমি হিরন পাশা। আমার আসার কথা ছিল।’
গার্ড দু’জন পরস্পর দৃষ্টি বিনিময় করল। এবার ওদের একজন বলল, ‘স্বাগতম, ডক্টর, আপনাকে তো বেরোতে দেখিনি।’
হিরু চাচাকে হতবিহ্বল দেখাল।
‘কী বললেন ঠিক বুঝলাম না।’
‘আপনি এবার নিয়ে দ্বিতীয়বার এখানে এলেন।’
‘খুব শার্প মেমোরি দেখছি। প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে একবার এসেছিলাম। কিশোর, আয়। কিশোর, কোথায় তুই?’ রোকুর দিকে চোখ নামিয়ে চাইল হিরু চাচা। ‘তুই জানিস ও কোথায়?’
‘হ্যাঁ, প্রভু,’ বলল রোকু।
‘তবে যা, ওকে গিয়ে নিয়ে আয়-আর ওকে শীঘ্রি আসতে বলবি! আমি বরং ভেতরে ঢুকি।’
‘ঠিক আছে, প্রভু।’ রোকু ঘুরে বনভূমির দিকে চলল।
‘আমার ভাতিজা মানে আমার সহকারী এখুনি চলে আসবে। তাকে ঢুকতে দিয়েন। কেমন?’ হতচকিত প্রহরীদের উদ্দেশে আন্তরিক ভঙ্গিতে মাথা ঝাঁকিয়ে শহরে প্রবেশ করল হিরু চাচা।
.
ক্যারি আর গ্রেবা অন্ধকার পাওয়ার রূমে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, একদৃষ্টে চেয়ে রয়েছেন শূন্য ভিত্তিমূলটার দিকে।
‘এটা অসম্ভব,’ শ্বাসের ফাঁকে বলে উঠল ক্যারি। ‘একেবারেই সম্ভব নয়।’
যাই হোক, ঘটনা ঘটে গেছে। ডোডেকাহেড্রন গায়ের।
.
ঘণ্টাসদৃশ চারাগুলোর কাছ থেকে মুক্তি পেতে বেশ খানিকক্ষণ লেগে গেল কিশোরের। লতাগুলো ভয়ানক শক্ত। একটার হাত থেকে ছাড়া পায় তো আরেকটা চেপে ধরে। শেষমেশ মুক্ত হতে পারল ও, স্বস্তির শ্বাস ছাড়ল।
‘আক্রমণাত্মক গাছ-পালা,’ মনে মনে বলল ও, ‘এজন্যেই এডেনবাসী মাটির নীচে থাকে।’
কিশোর হিরু চাচা আর রোকুর পিছনে রওনা হবে, এসময় কিছু একটা ওর দৃষ্টি কেড়ে নিল।
‘এখানে আরও পোড়া লতা-পাতা দেখা যাচ্ছে। অদ্ভুত কাণ্ড। কোন শিপ নয় তো…’ দ্বিধা করল ও। জলদি হিরু চাচার সঙ্গে যোগ দেয়া দরকার, অবশ্য হিরু চাচা একাই একশো, সে এডেনবাসীর সমস্যা একাই সামলাতে পারবে। পোড়া লতা-পাতার ট্রেইল অনুসরণ করতে শুরু করল কিশোর।
.
সেন্ট্রাল কন্ট্রোলে ক্যারি আর গ্রেবা হ্যান্সি আর ইসাসকে তাঁদের অবিশ্বাস্য কাহিনি শোনাচ্ছেন।
‘আমরা ডক্টরকে হেঁটে যেতে দেখেছি,’ বলল ক্যারি। ‘এবং এখন পাওয়ার রূম খালি!’
একটা সুইচ স্পর্শ করলেন হ্যান্সি।
‘সেন্ট্রাল কন্ট্রোল। রিসেপ্টর প্যানেলগুলো রি-অ্যাকটিভেট করো।’ অপেক্ষা করলেন, এনার্জি-ইনটেক গেইজগুলোর দিকে উত্তেজিত ভঙ্গিতে চেয়ে রইলেন। কিছুই ঘটল না।
‘ডেড,’ অবিশ্বাসের সুর ফুটল হ্যান্সির কণ্ঠে। ‘নীচে কোন পাওয়ার নেই।
‘কিন্তু ডক্টর কোথায়?’ প্রশ্ন করলেন ইসাস। ‘তিনি তো এখানে ফিরে আসেননি।’
‘উনি আমাদের সাথে বেঈমানী করেছেন,’ তীক্ষ্ণ কণ্ঠে ঘোষণা করলেন গ্রেবা। ‘সরে যান। হ্যান্সিকে এক পাশে ঠেলে সরিয়ে কনসোলের উপর ঝুঁকে পড়লেন তিনি। ‘কন্ট্রোল কমাণ্ড থেকে বলছি। ডক্টর নামের ভিনগ্রহীটাকে গ্রেপ্তার করুন। যে কোন মূল্যে তাকে থামান। সে যেন কোনভাবেই শহর ছেড়ে বেরোতে না পারে।’
.
শহরের প্রতিটি লাউডস্পিকারে ঘোষণাটি প্রতিধ্বনিত হলো। লম্বা- লম্বা পা ফেলে যে পথটি ধরে ডিলাক হন্তদন্ত হয়ে চলেছে সেখানেও প্রতিধ্বনি তুলল।
‘কন্ট্রোল কমাণ্ড থেকে বলছি। ডক্টর হিরন পাশাকে গ্রেপ্তার করুন। ডক্টর হিরন পাশাকে গ্রেপ্তার করুন।’
ধরা পড়ার ভয়ে মুহূর্তের জন্য ডিলাকের ইস্পাত কঠিন মনোবল দুর্বল হয়ে পড়ল। যে পৃথিবীবাসীর দেহ সে ধারণ করেছে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা এবং হিরন পাশার রূপ ধরে রাখার চেষ্টা রীতিমত কষ্টকর হয়ে উঠছে।
ক্ষণিকের জন্য হিরন পাশার রূপ আবছা হয়ে এল। ক্যাকটাসের মত সবুজ রং ধরল, হাতে-মুখে কাঁটা গজাল। করিডর ধরে আগুয়ান পদশব্দ শুনতে পেল ও। আতঙ্কিত ডিলাক সামনের এক ফাঁকা জায়গার উদ্দেশে দৌড় দিয়ে ভিতরে গা ঢাকা দিল। নিজেকে এক হাইড্রোপনিক ফুড বে-তে খুঁজে পেল সে, কেমিকেল সলিউশনে যেখানে সতেজ, সবুজ চারা বেড়ে উঠছে।
লুকানোর জন্য এর চাইতে ভাল জায়গা হয়তো আর পেত না ডিলাক। অদ্ভুত ব্যাপার, আশ্বস্ত বোধ করল সে, সবুজ চারাগুলোর পাশে গুটিসুটি মেরে বসল-ওদিকে প্রহরীরা বাইরের ওয়কওয়ে ধরে ছুটে চলে গেল।
.
হুবহু একই ধরনের সিঁড়ি আর ওয়কওয়ের কারণে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই পথ হারাল হিরু চাচা।
‘আজব ব্যাপার,’ আওড়াল বিড়বিড় করে, ‘সেন্ট্রাল কন্ট্রোল তো এদিকেই কোথাও ছিল।’
এক গার্ড দৌড়ে এলে হিরু চাচা খোশমেজাজে তার উদ্দেশে ঘুরে দাঁড়াল।
‘এক্সকিউজ মি, আমি ডক্টর হিরন পাশা। আমার আসার কথা ছিল। আপনি যদি সবাইকে জানাতেন আমি এসেছি, তবে ভাল হত।’
ব্লাস্টার দিয়ে হিরু চাচাকে কভার করল প্রহরী, এবং তার মাথার উপরের এক লাউডস্পিকার থেকে গমগমে কণ্ঠে ঘোষণা শোনা গেল: ‘ডক্টরকে গ্রেপ্তার করুন। তাকে ধরুন। যে কোন মূল্যে তাকে থামান!’
‘আজব ব্যাপার,’ বলল চিন্তামগ্ন হিরু চাচা। ‘আমি তো এমনটা আশা করিনি!’
পদশব্দ পেল সে, এবং দেখতে পেল ওয়কওয়ে ধরে আরও দু’জন গার্ড এদিকেই ছুটে আসছে। তাদের সঙ্গে দীর্ঘদেহী, ক্রুদ্ধ চেহারার এক মহিলা, তার মাথায় জাঁকাল হেডড্রেস। তাকে দেখে কোন ধরনের সন্ন্যাসিনী মনে হলো।
‘ধরো ওকে,’ গর্জালেন তিনি।
গার্ডরা হিরু চাচার দু’বাহু চেপে ধরল।
নিশ্চয়ই কোথাও কোন বড় ধরনের ভুল হয়েছে, ভাবল হিরু
চাচা, বাধা দেয়ার চেষ্টা করল না।
‘নো প্রবলেম,’ শান্ত কণ্ঠে বলল সে। ‘আমার এখানে আসার কথা ছিল। আমিই ডক্টর।’
‘ডোডেকাহেড্রন কোথায়?’ দাবি করলেন ক্রুদ্ধ মহিলা।
দীর্ঘশ্বাস ফেলল হিরু চাচা।
‘আমার কোন ধারণা নেই। আমি এমনকী সেন্ট্রাল কন্ট্রোলও খুঁজে পাচ্ছি না।’ এসময় পুরানো বন্ধু ইসাসকে করিডর ধরে হনহন করে হেঁটে আসতে দেখে হাঁক ছাড়ল হিরু চাচা। লোকটি বুড়িয়ে গেছেন, তবে আগের মতই বিবেচক আর ধৈর্যশীল দেখাচ্ছে তাঁকে।
‘ইসাস, বন্ধু আমার, আপনাকে দেখে খুশি হলাম। আপনি এই ভদ্রমহিলাকে বলে দিন আমি কে।’
ইসাসকে কেমন যেন বিপর্যস্ত দেখাল।
‘কী হয়েছিল, ডক্টর? আপনি কোথায় ছিলেন?’
‘ও, এই ব্যাপার। দেরির জন্যে আমি দুঃখিত। আরও আগেই এখানে আসতে পারতাম, কিন্তু ক্রনিক হিস্টেরেসিসে আটকা পড়ে গেছিলাম—এক ধরনের টাইম লুপ। আমার ভাতিজা শীঘ্রি এখানে চলে আসবে, ও সব কিছু ব্যাখ্যা করে বলবে। যাকগে আপনি কেমন আছেন, ইসাস?’
‘হতভম্ব অবস্থায়, ডক্টর,’ ব্যথিত কণ্ঠে বললেন ইসাস। ‘আপনি বরং আমাদের সাথে আসুন।’
গার্ডরা ঘিরে রেখেছে, হিরু চাচা গটগট করে এগিয়ে গেল।
.
পোড়া লতা-পাতার ট্রেইল ক্রমেই আরও চওড়া হলো। ওটা যেহেতু গ্যাটাকদের রেট্রো-রকেটের কারণে সৃষ্টি হয়েছে, কিশোর স্বাভাবিকভাবেই শিপটা যেখানে ল্যাণ্ড করেছিল সেখানে গিয়ে পৌছল।
অদ্ভুত, ধূসর আকৃতিটার দিকে চেয়ে রইল কিশোর।
‘ও তার মানে এই…’ ঘুরে দাঁড়াল ও-এবং নিজেকে লম্বা, লিকলিকে এক লোকের মুখোমুখি আবিষ্কার করল। লোকটির পরনে ছিন্নভিন্ন সামরিক উর্দি ধরনের পোশাক, হাতে কুৎসিতদর্শন এক ব্লাস্টার। ‘মাফ করবেন,’ বিনীত কণ্ঠে বলল কিশোর।
শুকনো লোকটা ওকে ধরার জন্য হাত বাড়াতেই ও ঘুরেই দিল দৌড়।
অদূরে, জঙ্গলের মধ্যে রোকু উপলব্ধি করল ও মিশন শেষ করতে পারবে না।
‘মাস্টার, মাস্টার,’ করুণ কণ্ঠে ডাকল ও।
সাড়া মিলল না।
‘ব্যাটারির রি-চার্জ দরকার,’ ধীর, একঘেয়ে কণ্ঠে বলল রোকু। ‘শহরে…ফিরে…. যেতে…হবে…’ উল্টো ঘুরে ফিরতি পথ ধরল।
.
কিশোর দৌড়চ্ছে তো দৌড়চ্ছেই-কিন্তু ঘুরে দাঁড়ালেই কোন না কোন উর্দিধারী লোককে সামনে দেখতে পায়। এরা প্রত্যেকে খল চেহারার।
একদল হাউণ্ডের মত কিশোরকে তাড়া করছে গ্যাটাকরা, ক্রমেই ওকে আগের চাইতে ছোট বৃত্তের ভেতর কোণঠাসা করে ফেলল। শেষমেশ অদ্ভুত দর্শন গ্যাটাক মহাকাশযানের পাশে অপেক্ষমাণ পটোম্যাকের কাছে ওকে তাড়িয়ে নিয়ে গেল।
কিশোরের দিকে অনুতাপের চোখে চাইল পটোম্যাক। দাস বাজারে ছোট জিনিসের দাম খুবই কম। যাকগে, ওরা ইতোমধ্যেই একটা মিশন গ্রহণ করেছে, এবং একজন ভাল পেশাদার হিসেবে সব সময় গর্ববোধ করে পটোম্যাক। কাছের গ্যাটাকটার দিকে ঘুরে দাঁড়াল ও।
‘ও অনেক বেশি দেখে ফেলেছে। খতম করো!’