আশুবাবুর টেলিস্কোপ – ৫

সকাল থেকেই বঙ্কুবাবু খুবই ব্যস্ত এবং উত্তেজিত। তার ন্যায্য কারণও আছে। অত বড় মাপের একজন মানুষ আজ ফকিরগঞ্জে পায়ের ধুলো দিচ্ছেন, এ তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। ফকিরগঞ্জে আর কটাই বা প্রাতঃস্মরণীয় লোকের আগমন হয়ে থাকে। দুঃখের বিষয় হল রজনীগন্ধার মালা জোগাড় হয়নি, নগেন মালি কষ্টেসষ্টে একটা গ্যাঁদার মালা জোগাড় করে এনেছে, তাও তিরিশটা টাকা গচ্চা গেল৷ গ্যাঁদার মালায় আবার ভি আই পির-গাল ওঠে কিনা সেটাও দেখতে হবে।

বাবুরাম কালই হন্তদন্ত হয়ে বিকেলে এসে খবর দিয়ে গিয়েছে যে, তিনি আজ সকাল আটটা নাগাদ এসে পড়বেন। বন্ধু যেন গরদের পাঞ্জাবি আর ফরসা ধুতি পরে তৈরি থাকে। তা সেই সাজেই সেজে আছেন বঙ্কুবাবু। দাড়ি কামিয়েছেন, চুলে যত্ন করে টেরি কেটেছেন, বগলে স্প্রে করা হয়ে গিয়েছে, এখন জুতোজোড়া পায়ে গলিয়ে বেরিয়ে পড়লেই হয়। সবে সাতটা দশ হয়েছে, এখন বেরোলে পাঞ্জাবি ঘামে ভিজে যেতে পারে। ঘরে বসে একটু পাখা নেড়ে হাওয়া খাচ্ছিলেন বঙ্কুবাবু। দশরথ এসে উঁকি দিয়ে বলে, “কী গো দাদাবাবু, বরযাত্রী চললে নাকি? তা বিয়েটা কার? এ গাঁয়ে তো কারও বিয়ে লাগেনি বাপু!”

বঙ্কুবাবু বিরক্ত হয়ে বলেন, “এখন যা তো দশরথ, বকবক করে মাথাটা ধরিয়ে দিস না!”

হঠাৎ সুমতিদেবী ঘরে ঢুকে আপাদমস্তক বঙ্কুবাবুকে দেখে নিয়ে বললেন, “কী ব্যাপার বলো তো! তুমি নাকি কার কাছ থেকে কী কাজ করে দেবে বলে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছ! সেই তোক তো বাইরের ঘরে এসে বসে আছে! কী কাজ করে দেবে বলে টাকা নিয়েছ বলো তো? তোমার মুরোদ তো আমার জানা আছে।”

বঙ্কুবাবু একেবারে বিগলিত হেসে বললেন, “আরে, তেমন কিছুনা। ওই একটা জমি কিনবেন বলে একজনকে বায়না করার জন্য..”

সুমতিদেবী কটমট করে চেয়ে বললেন, “ঠিক বলছ তো! লোকটার হাবভাব তো আমার ভাল ঠেকল না। মনে হল তোমার উপর বেশ বিরক্ত।”

“আরে না না, ওর মুখটাই ওরকম, যেন চিরতা গিলে বসে আছে।”

তাড়াতাড়ি নীচে এসে তিনি সুধীর গিরিকে দেখে ভারী চটে গিয়ে বললেন, “আচ্ছা, আপনি কি আর উদয় হওয়ার সময় পান না? পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে কি মাথা কিনে নিয়েছেন নাকি? দেখছেন তো একটা শুভ কাজে বেরোচ্ছি।”

সুধীর একটু আমতা-আমতা করে বলেন, “না, এই পনেরো দিন হয়ে গেল তো! রতন চোঙদার তো তিনতলার ছাদ সারাইয়ের জন্য লোহা আর সিমেন্ট আনিয়েছে দেখলাম।”

“দূর-দূর! ওসব নিয়ে ভাববেন না তো! ব্যবস্থা সব হয়ে গেছে! চোঙদারের পো পালানোর পথ পাবে না। আপনি টাকাটা রেডি রাখুন গিয়ে।”

সুধীর গিরি শুকনো মুখ করে বিদেয় নিল। বঙ্কুবাবুও সাড়ে সাতটা বাজতেই চকচকে নিউকাট পায়ে গলিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। কদমতলার মোড়ে মহামান্য অতিথিটি এসে নামবেন, বাবুরামের বাড়িতে একটু পায়ের ধুলো দেবেন। কথাবার্তা পাকা হয়ে যাবে। সঙ্গে টাকাপয়সার লেনদেনও। উত্তেজনায় পাঁচ মিনিটের পথ দু’মিনিটে পার হলেন বঙ্কুবাবু। হাতে খবরের জড়ানো গ্যাঁদা ফুলের মালা। চোঙদারের উচ্ছেদটা হয়ে গেলেই নগদ লাখ টাকা, সেইসঙ্গে একজন মস্তান হিসেবে ফুরফুরে নামডাক, গায়ে হাওয়াটুকুও না লাগিয়ে!

কদমতলার মোড়ে বাবুরামও গদগদ মুখ করে দাঁড়িয়েছিল, তাঁকে দেখে গম্ভীর হয়ে বলল, “কথাবার্তা সাবধানে কইবি, মেজাজি লোক তো!”

বঙ্কুবাবু ফিসফিস করে বললেন, “তা আর বলতো

তা করালীবাবু সময়নিষ্ঠ লোক বটে! নইলে মানুষ কি আর এমনিতে অত বড় হয়! আটটা বেজেছে কি বাজেনি, করালী কুন্ডুর গাড়িটা কদমতলার মোড়ে এসে থামল। প্রথমেই সাত ফুট লম্বা এক চোয়াড়ে চেহারার জাম্বুবান নেমে পিছনের দরজাটা খুলে আড়াল করে দাঁড়াল। আগুনে চোখ আর হিংস্র মুখের করালী কুন্ডুকে চিনিয়ে দিতে হয় না। পরনে বুটিদার পাঞ্জাবি আর পায়জামা। বঙ্কুবাবু আকুল হয়ে মালা পরাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু সাতফুটিয়া লোকটার কনুইয়ের ধাক্কা খেয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ককিয়ে উঠলেন। ধুলোয় পড়ে গ্যাঁদার মালা বরবাদ। কপাল চাপড়ে হায়-হায় করে উঠলেন বঙ্কুবাবু। সাতফুটিয়া লোকটা একটা হাঁক মেরে কাকে যেন বলল, ‘অ্যাই হারু, এখান থেকে এইসব ফালতু ভিড়ভাট্টা হটিয়ে দে তো! স্যারের গায়ের উপর এসে পড়ছিল!”

কালো ছিপছিপে একটা ঝাঁকড়া চুলওয়ালা ছোকরা এগিয়ে এসে বঙ্কুবাবুর পাঞ্জাবির গলার কাছটা ধরে হ্যাঁচকা টানে দাঁড় করিয়ে একটা ঝাঁকুনি দিয়ে বলে, “এখানে কি নৌটঙ্কির আসর বসেছে যে এসে ভিড় করেছ! ভাগো হিয়াসে! নইলে ব্লেড চালিয়ে দেব!”

এর উপর কি কথা চলে? দু’জনেই যথাসাধ্য ভাগতে লাগল। তবে তার মধ্যেও মুখ ফিরিয়ে দেখল, করালী কুন্ডু মসমস করে হেঁটে রাস্তাটা পেরিয়ে আশুবাবুর বাড়িতে ঢুকে গেল।

নিরাপদ দূরত্বে এসে বঙ্কুবাবু বললেন, “এটা কী হল রে বাবুরাম? এরকম তো কথা ছিল না!”

বাবুরাম একটু মিইয়ে গিয়ে বলে, “আর বলিসনি, এসব ডনদের সঙ্গে তো আর সরাসরি কথা কওয়া যায় না! তাই ওর সেক্রেটারির সঙ্গে পাকা কথা হয়ে গিয়েছিল। তা দেখছি, সেক্রেটারি ব্যাটা ঠিকমতো খবরটা দেয়নি। আমাকে ঝুলিয়েছে। ঠিক আছে, আমিও দেখে নেব! তবে ভাবিসনা। করালী আর এমন কী, ওর চেয়েও সরেস ডন ধরে দেব তোকে

ডালপুরি জিনিসটা আছে বলেই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার সার্থকতা টের পাওয়া যায়। বিশেষ করে শীতকালের সকালে গরম ডালপুরি আর হিং দিয়ে আলুর দম হলে আরামে ঘুমিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে। তবে হ্যাঁ, শৈলবালা ছাড়া এ জিনিস আর কারও হাতে তেমন উতরোয় না। শৈলবালা তাঁকে মনিষ্যির মধ্যে গণ্য করেন না ঠিকই, কিন্তু মাঝে-মাঝে মায়াবশে ডালপুরি আর আলুর দম করেও তো দেন! আর সেইজন্যই পৃথিবীতে আরও অনেকদিন বেঁচে থাকা দরকার।

আজ সকাল আটটায় মাখো-মাখো আলুর দমে ডালপুরি একট ডুবিয়ে নিয়ে প্রথম কামড়টা চিবোতে-চিবোতে নবম স্বর্গে বিচরণ করছিলেন আশুবাবু। তারপরের কামড়টায় অমরাবতী। আরও দুই কামড়ের পর তিনি কৈলাস পর্বতের সানুদেশে বিচরণ করতে লাগলেন। শৈলবালার রান্নার হাত দু’খানা তিনি সম্ভব হলে খাঁটি সোনায় বাঁধিয়ে দিতেন! দঃখেরই বিষয় যে, রান্নার জন্য নোবেল প্রাইজ দেওয়া হয় না। নইলে শৈলবালার জন্য তদ্বির করতেন তিনি। ডালপুরি আর আলুর দম যেন বাঘা ওস্তাদ আর দাপুটে তবলচি, সঙ্গতে এ ওর সঙ্গে সমানে পাল্লা দিয়ে চলেছে। কেয়াবাৎ! কেয়াবাৎ!

এইসময় তাঁর ছোট খুকি ঝিমলি এসে বলল, “ও বাবা, কে যেন তোমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। নাম বলল করালী কুন্ডু। নীচের ঘরে বসতে বলেছি।”

ডালপুরি যে এত বিস্বাদ আর অখাদ্য হতে পারে কে জানত! এ জিনিস মানুষে খায়! উদ্বিগ্ন এবং উত্তেজিত আশুবাবু গ্লাসের জলে হাতটা ধুয়ে ফেলে বললেন, “তোর মা যে কী সব ছাইভস্ম রাধে, মুখে দেওয়া যায় না!”

করালী কুন্ডুদের যেমনটা হওয়ার কথা, এই করালী কুন্ডুও তেমনই। মায়াদয়া, ক্ষমা, ভালবাসা ইত্যাদি এর ধারেকাছে কখনও ভুল করেও আসেনি। ধকধকে খুনিয়ার মতো চোখ, কপাল কাটা দাগ চোখে পলকটলক আছে বলে মনে হল না। রামরাহা তাঁকে বলেছিল যেন ঘাবড়ে না গিয়ে দাপটের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু এই মোক্ষম সময়ে দাপট ব্যাটা যে কোথায় গিয়ে বসে রইল কে জানে! দাপটের বদলে একটা দুড়দুড়ুনি এসে বুকের মধ্যে কুঁইকুঁই করছে।

লোক যেমনই হোক, করালী কুন্ডুর মুখে পালিশ আছে। সহবতও শিখে এসেছে। দাঁড়িয়ে হাতজোড় করে নমস্কার জানিয়ে ঘড়ঘড়ে গলায় বলল, “আমিই ডেভিডসাহেবের ম্যানেজার করালী কুন্ডু। সেই টেলিস্কোপটার ব্যাপারে এসেছি।”

দাপটের সঙ্গে না-হলেও মুখটা যথেষ্ট তোষাখানা করে আশুবাবু বললেন, “কিন্তু টেলিস্কোপটা যে ডেভিডসাহেবের, তার তো কোনও প্রমাণ নেই!”

করালী খুব ঠান্ডা গলায় বলে, “কে বলল নেই?”

সে তার পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে বাড়িয়ে দিয়ে বলে, “এই যে, উনিশশো বাহাত্তর সালে বার্মিংহাম থেকে কেনা, এটা তারই ক্যাশমেমো। কিনেছেন ডেভিড পোজার। দেখুন না, ভাল করে দেখুন।”

আশুবাবু দেখলেন এবং দপ করে নিবে গেলেন। এর পর আর কী বলা যায় তা ভেবে পেলেন না। তবু শেষ চেষ্টা হিসেবে বললেন, “কিন্তু এটা তো আমাকে দিয়েছেন মন্মথবাবু, আমি তো এটা হাতছাড়া করতে পারি না।

করালী উত্তেজিত না-হয়ে বরং একটু হেসে বলল, “মন্মথবাবুর তো সেই অধিকারই নেই। ডেভিডসাহেবের জিনিস তিনি আপনাকে কী অধিকারে দিতে পারেন? যদি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দিয়ে থাকেন তা হলে অন্য কথা। কিন্তু তাতে মালিকানা পালটে যায় না। মন্মথবাবুর সঙ্গে কথা ছিল, ডেভিডসাহেব একদিন ফিরে এসে জিনিসটা ফেরত নেবেন।

তারাই ভাগ্যবান যাদের ঠিক সময়ে ঠিক জবাবগুলো মনের মধ্যে আসে এবং মুখ দিয়ে বেরোয়। কিন্তু আশুবাবুর মনের মধ্যে কোনও কথাই তো এখন ভুড়ভুড়ি কাটছে না, মুখ দিয়ে শ্বাসবায়ু ছাড়া বেরোচ্ছে না-ও কিছু। আমতা-আমতা করে তিনি বললেন, “তাই তো! এ তো বড় মুশকিলেই পড়া গেল!”

“হ্যাঁ, আপনি একটু মুশকিলের মধ্যেই আছেন কিন্তু! আমরা খবর পেয়েছি, ওই জিনিসটার জন্য একজন লোক নাকি আপনার কাছে প্রায়ই ঘুরঘুর করছে! অন্তত চার-পাঁচদিন সে আপনার সঙ্গে ছাদে উঠে গভীর রাতে টেলিস্কোপটা ব্যবহারও করেছে! এটা কিন্তু ঠিক নয়। ডেভিডসাহেব এটা পছন্দ করছেন না।”

আশুবাবু একটু অবাক হয়ে বলেন, “কিন্তু কেন? স্টারগেজিং তো আর অপরাধ নয়!”

“না স্টারগেজিং অপরাধ নয়। তবে যে লোকটি আপনার কাছে আসা-যাওয়া করে সে সন্দেহজনক ব্যক্তি কিনা তা আমাদের জানা দরকার। আপনি দয়া করে তার নাম আর ঠিকানাটা দিন।”

আশুবাবু মাথা নেড়ে বলেন, “ঠিকানা জানি না, তবে তার নাম রামরাহা।”

সরু চোখে আশুবাবুকে একটু মেপে নিয়ে করালী হঠাৎ হিমশীতল গলায় বলে “ঠিকানা জানেন না? তা হলে কী করে একজন অজ্ঞাতকুলশীল লোককে মাঝরাতে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন!”

আশুবাবু তাড়াতাড়ি বলেন, “না-না, সে ভাল লোক।”

“কী করে বুঝলেন যে, সে ভাল লোক?”

আশুবাবু শুকনো হেসে বলেন, “ওসব বোঝা যায়।”

করালীর মুখশ্রী হঠাৎ পালটে গেল, কঠিন এবং ভয়ঙ্কর। চাপা ধমকের স্বরে বলল, “চালাকি করবেন না। আমরা বেশি চালাক লোকদের পছন্দ করি না। রামরাহাকে কোথায় পাওয়া যাবে বলুন। আমরা কাজের মানুষ, সময় নষ্ট করতে ভালবাসি না।”

আশুবাবু ফাঁপরে পড়ে বললেন, “ঠিকানাটা জেনে নেওয়া উচিতই ছিল কিন্ত হয়ে ওঠেনি। আমার মনে হয় সে এই ফকিরগঞ্জেই কারও বাড়িতেটাড়িতে থাকে।”

কঠিন স্বরে করালী মাথা ঝাঁকিয়ে বলে, “না, সে ফকিরগঞ্জে কারও বাড়িতেই থাকে না। আমরা খুঁজে দেখেছি। আপনি মিথ্যে কথা বলছেন কি তাকে বাঁচানোর জন্য? ”

আশুবাবুর বুকটা বড় দুরদুর করছে, গলা শুকিয়ে কাঠ, মাথা কাজই করছে না। কাঁপতে-কাঁপতে বললেন, “সে আজ রাতেও আসবে। বলে গেছে!”

“ঠিক আসবে? পাক্কা?”

“তাই তো বলেছিল যেন!”

“ভেরি গুড। তা হলে আজ থেকে আপনার বাড়িতে আমার দু’জন কর্মচারী পাহারায় থাকবে। আমরা কোনওরকম রিস্ক নিতে চাই না।”

আশুবাবু অসহায় গলায় বলেন, “পাহারা কেন?”

“ভয় পাবেন না। পাহারা থাকলে আপনিও নিরাপদে থাকবেন। আর টেলিস্কোপটাও।”

“আপনারা রামরাহাকে খুনটুন করবেন না তো!”

করালী ক্রুর চোখে চেয়ে বলে, “আমাদের কি আপনার খুনি বলে মনে হয়?”

“না, ঠিক তা নয় অবশ্য।”

“তা হলে কথাটা বললেন কেন? শুনুন মশাই, রামরাহাকে নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই, আমাদের চিন্তা টেলিস্কোপটা নিয়ে। সেটা মালিকের হাতে পৌঁছে গেলেই হল। আপনার আর কিছু বলার আছে?”

“না তো!”

“তা হলে আমার কর্মচারীদের ডাকছি, কী বলেন!”

করালীর ডাকে যে দু’জন ঘরের মধ্যে এসে দাঁড়াল তাদের আকার প্রকার দুই-ই অবিশ্বাস্য, তা ছাড়া দেখেই মনে হয় হেন কোনও অপরাধ নেই যা এরা করতে পারে না!

করালী তাঁকে আশ্বস্ত করে বলল, “ভয় নেই, এদের খোরাকি বা শোওয়ার জায়গা, এসব আপনাকে দিতে হবেনা। ওরা পেশাদার সিকিউরিটি গার্ড। ওরা যে আছে, সেটা আপনি টেরও পাবেন না।”

যেমন হঠাৎ এসেছিল, তেমনি হঠাৎ চলেও গেল করালী, কিন্তু রেখে গেল দু’টি দুশ্চিন্তা। নব আর হারু।।