একটি চমৎকার কারুকাজময় আলমারি
ঘরের ভেতর আছে চুপচাপ বহু বছরের
প্রাচীনতা নিয়ে; আজকাল এরকম আলমারি
বানানো হয় না আর চাহিদার অভাবে এবং
আগেকার মতো কোনো কুশলী ছুতোর নেই, বলে
কেউ কেউ আক্ষেপের স্বরে। সেই কবে মাতামহ
আম্মাকে দিয়েছিলেন এই আলমারি ভালোবেসে
দহেজ হিসেবে। এখন সে আমার কাছেই আছে।
কাপড়-চোপড় কিংবা কাপ-ডিশ রাখি না কখনো
এই আলমারির ভেতরে। শুধু কিছু বই নিয়ে
বুকের ভেতর অভিভাবকের ধরনে দাঁড়িয়ে
থাকে এক কোণে, কোনো কোনো মধ্যরাতে জেগে শুনি
তার কণ্ঠস্বর, যেন ওল্ড টেস্টামেন্টের প্রফেট
প্রশান্ত ভঙ্গিতে শোনাচ্ছেন গভীর সুসমাচার।