প্রতিদিন উদয়াস্ত খুঁজি আমি তাকে,
অন্তর্গত নিভৃত সত্তাকে,
যার মধ্যে পাঁচ জন ঘুমায় সতত
যুগ যুগ ধরে
অবচেতনের স্তরে স্তরে
আসহাবে কাহাফের মতো।
বস্তুত স্বরূপে খুঁজি
অস্তিত্বের প্রকৃত ঠিকুজি।
একদা কৈশোরে আমি গোল্লাছুট আর ফুটবলে
হুল্লোড়ে ছিলাম মেতে বিকেলের মাঠে
হাস্যময় ছেলেদের দলে।
একদিন দ্বিপ্রহরে খেলাচ্ছলে এক ডাকাবুকো
কিশোর একটি পাখি করল শিকার
ঢিল ছুড়ে। তারপর থেকে আর
তার ঘরমুখো
হইনি কখনো আমি। আমাদের সখ্য গেল পাটে।
সেকালের কিশোরেরা বস্তুত এখন
নানাভাবে করে নিত্য
জীবনযাপন।
কেউ বেশুমার বিত্ত
হেলায় করছে জড়ো বাণিজ্যের অশ্বমেধে, কেউবা অকালে
বার্ধক্যের শীর্ণ ডালে
ঝোলে, কেউ কেউ দশটা-পাঁচটা করে রোজ,
মাছি মারে লেজারের পাতায় পাতায়,
কেউবা হাতায়
গৌরী সেনী টাকা, কেউ হয়েছে নিখোঁজ
সেই কবে
আসমানী অলীক বৈভবে
মেতে, কারো কারো পেনশন
শুরু হলো বলে; ওরে মন,
প্রৌঢ় মন, এ এক বিস্ময়-
আমারও খুনির সঙ্গে আজ হাত মেলাতেই হয়।