শৈশবে কত খরগোশ আর বেড়ালের ছানা
ছিল তো তোমার সাধের খেলা সাথী।
এখন কখনো গাঢ় সন্ধ্যায় ভালোবাসে তুমি
তাদের স্মরণে জ্বালো কি মোমের বাতি?
সেই যে সেদিন দুপুর, বেলায় হলদে পাখিটা
খাঁচার ভেতরে ঠাণ্ডা রইল মরে,
তার কথা আজ বান্ধবীদের সঙ্গে মেশার
সময় কখনো হঠাৎ মনে কি পড়ে?
দু’বছর আগে যেমনটি ছিলে দেখতে হে মেয়ে,
তুমি তো এখন নয়কো তেমন মোটে।
তোমার শরীরে সোনালি দুপুরে, রূপালি নিশীথে
ক্ষণে ক্ষণে মেয়ে মায়াময় শোভা লোটে।
ষোল বছরের দুয়ারে পা রেখে চম্কে তাকাও
কোলে শুয়ে থাকা কুকুর ছানার দিকে;
পাখিদের ধ্বনি শুনতে না পেলে তোমার সকাল
অথবা দুপুর মনে হয় বড় ফিকে।
তুমিই তোমাকে ডাকছ অদূরে দাঁড়িয়ে আভাসে
অপরূপ তীরে,-যৌবন যার নাম।
সেই স্বর্ণিল তটে হেসে খেলে বেড়াবে কী সুখে,
হাওয়ায় উড়বে ঘন কালো কেশদাম।
ঘুমের মধ্যে তোমার অধরে যখন হাসির
কুসুম নীরবে পেলব পাপড়ি মেলে,
তখন তোমার মায়ের স্নেহের টলটলে হ্রদে
জ্যোৎস্না জড়ানো কত ঢেউ যায় খেলে।
কোনো ধুলিঝড়ে তোমার সুখের রঙিন প্রবাহে
যেন কোনোদিন না পড়ে কখনো যতি,
বলি তুমি মেয়ে হও যে আয়ুষ্মতী।