১ সারা ১২৭ বছর বেঁচেছিলেন।
২ কনান দেশের কিরিয়থ অর্ব অর্থাত্ হিব্রোণ নগরে তাঁর মৃত্যু হল। অব্রাহাম ভীষণ দুঃখ পেলেন, সারার জন্যে অনেক কাঁদলেন।
৩ তারপর স্ত্রীর মৃতদেহ রেখে হেতের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলতে গেলেন।
৪ তিনি বললেন, “দেশ পর্য়টন করতে করতে আপনাদের দেশে এসে আমি পরবাসী হিসেবে বাস করছি। ফলে আমার মৃত স্ত্রীকে কবর দেওয়ার মত আমার কোনও জায়গা নেই। আমি যাতে স্ত্রীকে কবর দিতে পারি তার জন্যে দয়া করে আমায় খানিকটা জায়গা দিন।”
৫ হেতেরা উত্তরে বলল,
৬ “মহাশয়, আমাদের মধ্যে আপনি ঈশ্বরের মহান নেতাদের একজন। আমাদের শ্রেষ্ঠ জমিতে আপনি আপনার মৃত স্ত্রীকে সমাধিস্থ করতে পারেন। আপনার স্ত্রীকে আপনি আপনার পছন্দমত জায়গাতে সমাধিস্থ করলে কেউ আপনাকে বাধা দেবে না।”
৭ অব্রাহাম উঠে দাঁড়িয়ে তাঁদের নমস্কার করলেন।
৮ অব্রাহাম তাদের বললেন, “আপনারা সত্যিই যদি আমার মৃত স্ত্রীকে কবর দেওয়ার ব্যাপারে সাহায্য করতে চান তাহলে আমার হয়ে সোহরের পুত্র ইফ্রোণের সঙ্গে কথা বলুন।
৯ ইফ্রোণের ক্ষেতের শেষে য়ে মক্পেলার গুহাটা আছে সেটা আমি কিনতে চাই। ইফ্রোণ ঐ গুহার মালিক। যা দাম হয়, সবটাই আমি দেব। আমি চাই য়ে আমার স্ত্রীর কবরের জন্যে য়ে ঐ জায়গা কিনছি আপনারা সবাই তার সাক্ষী থাকুন।”
১০ য়াঁদের সঙ্গে অব্রাহাম কথা বলছিলেন তাঁদের মধ্যে ইফ্রোণ উপবিষ্ট ছিলেন। এখন ইফ্রোণ অব্রাহামকে বললেন,
১১ “না, মহাশয়, এখানেই ঐ ক্ষেত এবং গুহাটিও আমি আমার লোকেদের সামনে আপনাকে দেব। আপনি যাতে আপনার ইচ্ছা মত আপনার স্ত্রীকে সমাধিস্থ করতে পারেন সেজন্যে ঐ জমি, গুহা আমি আপনাকে দেব।”
১২ তখন অব্রাহাম সমবেত হেতের লোকদের সবিনয় নমস্কার করলেন।
১৩ সকলের উপস্থিতিতে তিনি ইফ্রোণকে বললেন, “কিন্তু আমি ঐ জমির পুরো দাম আপনাকে দিতে চাই। আমার দেওয়া দাম আপনি দয়া করে গ্রহণ করুন, আমি নির্দ্ধিধায় আমার স্ত্রীকে কবর দিই।”
১৪ উত্তরে ইফ্রোণ অব্রাহামকে বললেন,
১৫ “মহাশয়, আমার কথা শুনুন। আপনার ও আমার কাছে ১০ পাউণ্ড ওজনের রূপোর তো কোন দাম নেই। সুতরাং আপনি জমিটা নিন এবং সেখানে নিশ্চিন্তে আপনার স্ত্রীকে সমাধিস্থ করুন।”
১৬ অব্রাহাম বুঝতে পারলেন য়ে ইফ্রোণের কথার মধ্যেই জমিটার মূল্য উল্লিখিত রয়েছে। সুতরাং অব্রাহাম ঐ মূল্যই ইফ্রোণকে দিলেন। ইফ্রোণের জন্যে অব্রাহাম ১০ পাউণ্ড রূপো ওজন করলেন এবং সেই রূপো বণিককে দিলেন।
১৭ সুতরাং ইফ্রোণের জমির স্বত্ত্বাধিকারীর পরিবর্তন হল। মম্রির পূর্বদিকে মক্পোলায ঐ জমি অবস্থিত। এখন ঐ জমির স্বত্ত্বাধিকারী হলেন অব্রাহাম। তিনি ঐ জমির অন্তর্গত গুহা এবং সমস্ত বৃক্ষাদির স্বত্ত্বাধিকারী হলেন। সমস্ত নগরবাসী ইফ্রোণ ও অব্রাহামের মধ্যে ঐ চুক্তি সম্পাদন প্রত্যক্ষ করলেন।
১৮
১৯ তারপর অব্রাহাম মম্রির (হিব্রোণে) নিকটস্থ জমিতে অর্থাত্ কনান দেশের এক গুহার মধ্যে তাঁর স্ত্রী সারাকে সমাধিস্থ করলেন।
২০ অব্রাহাম হেতের জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে ঐ জমি ও জমির মধ্যেকার গুহা কিনলেন। এখন ঐ জমি গুহা হল অব্রাহামের সম্পত্তি এবং ঐ জায়গা তিনি সমাধিস্থল হিসেবে ব্যবহার করতে লাগলেন।