আত্মপরিচয়
আমাকে চিনতেন তিনি, দেখা হতে বললেন, কে তুমি?
তখন বিকেল ছিল নদীর উড়ন্ত বুকে ঝুঁকে
আমি বললুম, সেই বারুদ ঝড়ের দিনে একলা
ধানক্ষেতে যে সহাস্যে শুয়ে ছিল রক্তমাখা মুখে
আমি তারই বিদেশী যমজ।
তাঁর কালো আলখাল্লায় সোনালী রোদের বাঁকা সুতো
দাড়ির জঙ্গলে জ্বলে শতাব্দী ছাড়ানো দুই চোখ
পাহাড়ী গ্রীষ্মের হাওয়া হাসলেন দিগন্ত উড়িয়ে
বললেন, শোনো হে, তুমি, ভাই বন্ধু যে হোক সে হোক
বলো দেখি, পিতা কে, মাতা কে?
তখন আকাশ হলো রাত্রিমুখী, নদী দিল ড়ুব
খরোষ্ঠী লিপির টানে মৃদু হাস্যে জানালুম তাঁকে
আমার জন্মের কোনো দায় নেই, যেরকম উট্কো পরগাছা
শ্মশানের ঝাড়ুদার বাপ আর শকুনেরা ছিঁড়ে খায় মাকে
তবু আমি সত্যের জারজ!