আড়ালে আততায়ী – ২

৷৷ দুই ৷৷

মাঝে পাঁচটা দিন কেটে গেল। ডা. অলকেশ রায়ের কেসটাতে খুব একটা এগোতে পারেননি দীপকাকু। এগোনো যে সমস্যার, এ কথা তিনি ডাক্তারবাবুর বাড়ি থেকে বেরিয়েই বলেছিলেন ঝিনুককে। বক্তব্য ছিল এরকম, তোমার কপাল খারাপ। এই কেসটা নিয়ে বিশেষ কিছু করতে পারব বলে মনে হয় না। ছেড়ে দিতে হবে অ্যাসাইনমেন্টটা। তোমার অ্যাসিস্ট করা হবে না। পরে আবার কবে তোমার অ্যাসিস্টযোগ্য কেস পাই দেখি!

কথাটা শুনে বেশ দমে গিয়েছিল ঝিনুক। বলেছিল, ইনভেস্টিগেশনটাকে এতটা দুরূহ মনে হচ্ছে কেন আপনার? এর চেয়েও অনেক কঠিন কেস আপনি সলভড্ করেছেন।

—এই কেসটা ঠিক কঠিন নয় ৷ কাজে নামার মতো রসদ পেলাম না হাতে। এই বিপুল জনসংখ্যার শহরে সায়ন কোথায় সেঁধিয়ে আছে, কোন সূত্র ধরে খুঁজব? আর যদি শহরের বাইরে চলে গিয়ে থাকে, তা হলে তো হয়েই গেল। বলে থেমেছিলেন দীপকাকু ঝিনুক খানিক অবাক হয়ে জানতে চেয়েছিল, কেসটা যদি এতটাই নাগালের বাইরে মনে হয়ে থাকে আপনার, কাজটা হাতে নিলেন কেন? এখনই ডা. রায়কে ‘না’ করে দিতে পারতেন।

ফুটপাতে দাঁড়িয়ে মোবাইলে অ্যাপক্যাব বুক করতে থাকা দীপকাকু বলেছিলেন, একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার আমাকে সামান্য হলেও আশা জোগাচ্ছে।

—কী সেটা? জানতে চেয়েছিল ঝিনুক।

তক্ষুনি উত্তর দেননি দীপকাকু। ক্যাব বুক করে বলেছিলেন, গাড়ি পেতে মিনিট দশেক। তারপর ঝিনুকের প্রশ্নের প্রসঙ্গে বলতে থাকেন, দ্যাখো, সায়ন যে যথেষ্ট বুদ্ধিমান ছেলে, পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পাঁচ বছর আত্মগোপন করে থাকা থেকেই সেটা বোঝা যায়। সেই ছেলেকে দিনের আলোয় ওরকম একটা অতি পরিচিত হাসপাতালে দেখা গেল কেন? যেখানে নানান ধরনের লোকের যাতায়াত। সায়নের চেনা কোনও লোক ওকে দেখে নিতেই পারে। ঝুঁকিটা সায়ন নিল কেন? কী এমন বাধ্যবাধকতা ছিল? ওর আত্মগোপন পর্বে এটা একটা অস্বাভাবিক ঘটনা। অর্থাৎ নিরাপত্তা বলয়ে ফাটল ধরেছে সায়নের। ওই ফাঁকটা খুঁজে পেলেই ওর কাছে পৌঁছনো যাবে সহজে। যে কোনও রহস্য সমাধানের ক্ষেত্রে কিছু আনন্যাচারল ঘটনার খুব দরকার।

দীপকাকুর ভাবনার গভীরতায় হামেশাই বিস্মিত হয় ঝিনুক। এক এক সময় প্রশ্ন জাগে মনে, আমি কি সবটা বুঝলাম?

যাইহোক, আজ রোববার। সকালে দীপকাকু এসেছেন ঝিনুকদের বাড়ি। খুব ব্যস্ত না থাকলে দীপকাকুর এটাই মোটামুটি রুটিন। বাঁশদ্রোণীর পিরপুকুর থেকে এই কুঁদঘাট অবধি উজিয়ে আসেন বাবার সঙ্গে আড্ডা দিতে। এর সঙ্গে অবশ্য মায়ের হাতের জলখাবারের আকর্ষণটাও যোগ হবে। বাবা দীপকাকুর থেকে বয়সে অনেকটা বড় হলেও দু’জনের মধ্যে জমে খুব। এর প্রধান কারণ দুঃসাহসিকতাকে পছন্দ করা। বাবা এক্স আর্মিম্যান, অ্যাডভেঞ্চারাস লাইফ কাটিয়েছেন। আর দীপকাকুর পেশায় পদে পদে ঝুঁকি। দুঃসাহসিকতার সঙ্গে বুদ্ধির মিশেল না থাকলে সাফল্য আসে না। দু’জনের আলোচনায় তাই বুদ্ধিচর্চাই চলে বেশি। বুদ্ধিতে দীপকাকু বেশ খানিকটা এগিয়ে। বাবার সঙ্গে দাবা খেলায় উনিই বেশির ভাগ সময় জিতে যান। এই মুহূর্তে বাবা আর দীপকাকু দাবার বোর্ডে নিমগ্ন। দীপকাকু ডা. রায়ের কেসের একটা তথ্য পরিবেশন করলেন। তথ্যটি নিয়ে এসেছেন পেনড্রাইভে, একটা ভিডিও ফুটেজে। ‘রিলাইফ’ হাসপাতালের রিসেপশনে কথা বলছেন ডা. রায়ের ছেলে সায়ন। ছেলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তারবাবু, পিঠে হাত রাখলেন সায়নের। চমকে উঠে বাবাকে একবার দেখে নিয়ে বড় বড় পা ফেলে পালিয়ে যাচ্ছেন সায়ন। ফুটেজটায় ডাক্তারবাবুর বন্ধু কমলবাবুকেও দেখা গেল। গত পাঁচদিন ধরে ডা. রায়ের দেওয়া কেসের এই হল ফলাফল। ‘রিলাইফ’ থেকে ফুটেজটা সংগ্রহ করতে দীপকাকুকে পুলিশের সাহায্য নিতে হয়েছে। পুলিশ না বললে কোনও প্রাইভেট ডিটেকটিভকে তথ্য দিতে বাধ্য নয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশের হেল্প লাগলে দীপকাকু সব সময় বন্ধু রঞ্জনকাকুর দ্বারস্থ হন। যিনি লালবাজার কন্ট্রোলরুমের ইন্সপেক্টর। এবারও তার অন্যথা হয়নি। রঞ্জনকাকুই ‘রিলাইফ’-এ ফোন করে দীপকাকুকে সহযোগিতা করতে বলেন। এদিকে দীপকাকু পুলিশকে সাহায্য করতে পারছেন না। বলতে পারছেন না তিনি একজন ফেরার আসামির সাম্প্রতিকতম ভিডিও ফুটেজ পেতে চলেছেন। না বলতে পারার কারণ, ডা. রায়ের সঙ্গে কথা হয়ে আছে ওঁকে ছেলের সঙ্গে একবার নিভৃতে দেখা করাতে হবে। তারপর পুলিশ সায়নকে অ্যারেস্ট করুক, তাতে ডাক্তারবাবুর কোনও আপত্তি নেই। এছাড়াও সায়নের ব্যাপারে পুলিশকে ইনফর্ম করতে গেলে আর একটু নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে, ভিডিও-র ব্যক্তিটি সায়নই তো? না কি ওর মতো দেখতে অন্য কেউ?… দীপকাকু যখন পয়েন্টটা বললেন, বাবা বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন এই বলে, এটা হতে পারে না! বাবা নিজের সন্তানকে চিনতে ভুল করবে? ধরে নিলাম ভুলই করেছেন, তা হলে ছেলেটি কেন ডাক্তারবাবুকে দেখে পালাল ?

বাবাকে সমর্থন করে ঝিনুক বলেছিল, শুধু পালানো নয়, রীতিমতো ভয় পেয়ে পালিয়েছে। ফুটেজটায় তো তাই দেখলাম।

উত্তরে দীপকাকু বলেছেন, তোমাদের লজিকে কোনও গোলমাল নেই। একটা কথা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, আমরা সায়নকে চিনি না। ডাক্তারবাবু বলছেন ওটা সায়ন, ওঁর সন্তান। আমরা সেটাই ধরে নিচ্ছি। অর্থাৎ এটা অনুমান। আমি পুলিশকে অনুমান সাপ্লাই করতে চাই না। ফেরার আসামি সায়ন রায়কে যতক্ষণ না আমি নিজে আইডেন্টিফাই করতে পারছি, তার আগে পর্যন্ত ওর ব্যাপারে পুলিশকে ইনফর্ম করব না।

দীপকাকু এত জটিল ভাবে ভাবতে পারেন বলেই বোধহয় দাবাটা ভাল খেলেন। ওঁর বক্তব্য শোনার পর বাবা জানতে চেয়েছিলেন, ভিডিও ফুটেজ তো জোগাড় হল। এরপর কী স্টেপ নিতে যাচ্ছ?

কী যেন চিন্তা করতে করতে দীপকাকু বলেছিলেন, শুধু ফুটেজ জোগাড় তো নয়, হাসপাতালের অফিস চেম্বারে বসে আমি সেই রিসেপশনিস্ট মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছি। সঙ্গে হাসপাতালের ম্যানেজারও ছিলেন। ওঁর টেবিলের ডেক্সটপে ফুটেজটা দেখিয়ে রিসেপশনিস্টকে মনে করতে বললাম লোকটির সঙ্গে কী কথা হচ্ছিল? ওর কি কোনও পেশেন্ট ভর্তি আছে হাসপাতালে?

মেয়েটি কিছুই মনে করতে পারল না। এমনকি সায়নের সঙ্গে যে তার কথোপকথন হয়েছে ভিডিও ফুটেজটা থেকেই প্রমাণ পেল। এর সঙ্গে রিসেপশনিস্ট আর একটা কথাও যোগ করল, লোকটি নির্ঘাত খুব বেশিবার আসেনি, যেমন আসে হাসপাতালে বেশ কিছুদিনের জন্য ভর্তি থাকা পেশেন্টের নিকটজন। সেরকম যদি হত, মেয়েটির মনে থাকত লোকটিকে।… এই কথা থেকে বোঝা যায়, যে ব্যক্তিকে আমরা সায়ন ভাবছি, সে হয়তো মাত্র দু’দিন বিশেষ কোনও দরকার ‘রিলাইফ’-এ গিয়েছিল। প্রথমদিন ওকে দেখেছিলেন ডা. রায়ের বন্ধু কমল। দ্বিতীয় দিন ডা. রায় দেখেন, সঙ্গে কমলবাবুও ছিলেন।

—তার মানে তুমি বলতে চাইছ ডা. রায় যাকে সায়ন বলছেন, সে অন্য কোনও কাজে গিয়েছিল? প্রশ্ন রেখেছিলেন বাবা।

দীপকাকু বললেন, পেশেন্টকে দেখতে যেতেই পারে। অন্য কারণও থাকতে পারে যাওয়ার। ডা. রায় এবং কমলবাবু ওকে দেখে ফেলাতে, ব্যক্তিটি হাসপাতালে যাওয়া বন্ধ করেছে।

—তা হলে কী দাঁড়াল? ফুটেজটা কোনও কাজেই আসবে না। খানিক হতাশ হয়ে বলে উঠেছিলেন বাবা। কথাবার্তার এই পর্যায়ে জলখাবার নিয়ে এসেছিলেন মা। তিন জনের হাতে প্লেট ধরিয়ে দিলেন। আজ বানিয়েছেন ছোলে বাটোরে আর গাজরের হালুয়া। সঙ্গে সঙ্গে খাওয়ায় মনোনিবেশ করলেন দীপকাকু। ঝিনুকের আশঙ্কা হচ্ছিল উনি হয়তো ভুলেই যাবেন কী নিয়ে কথা চলছিল। কিন্তু না, একটু বাদে খেতে খেতেই দীপকাকু প্রসঙ্গে ফিরলেন। বলতে থাকলেন, ফুটেজটা কাজে আসবে ভবিষ্যতে। তদন্ত যত এগোবে ফুটেজটার অনেক না জানা অংশ স্পষ্ট হবে। এই যেমন, আপনারা খেয়াল করেছেন কি না জানি না, ফুটেজে দেখা যাচ্ছে সায়ন যখন কথা বলছে রিসেপশনে, বুঝতে সুবিধে হবে বলে আপাতত ব্যক্তিটিকে ওই নাম ধরেই ডাকছি। তখন খানিক দূরে সায়নের বয়সী, মানে তিরিশ ছুঁই ছুঁই দুটি লোক দাঁড়িয়ে। দু’জনেই সায়নের দিকে তাকিয়ে ছিল। ডা. রায় এসে সায়নের পিঠে হাত রাখতেই লোক দুটির মধ্যে চঞ্চলতা দেখা দিল। সায়ন পালাচ্ছে, ধাওয়া করছেন ডা. রায়। সেই সময় ওই দুটো লোক তড়িঘড়ি সরে পড়ল। কারা ওই দুইজন? সায়নের বন্ধু, নাকি ওকে ফলো করা হচ্ছিল বিশেষ কোনও উদ্দেশ্যে ? যদি বন্ধু হয়, নতুন না পুরনো? পুরনো বন্ধু হলে ফুটেজটা দেখে শনাক্ত করতে পারবেন ডা. রায়। সেদিন তিনি ছেলে ছাড়া অন্য কারুর দিকে সে ভাবে লক্ষ্য করেননি।

বাবা বললেন, ডাক্তারবাবুকে ফুটেজটা দেখাও তাড়াতাড়ি। ওয়েট করে তো আর লাভ নেই।

—হ্যাঁ, দেখাব। ক্লিপিংসটা কাল সন্ধেবেলা হাতে এল। একবার দেখে নিয়ে ফোন করলাম ডা. রায়কে, পেলাম না। বলছে সুইচড় অফ। সকালে আপনাদের বাড়ি আসার আগে করলাম। বলতাম, ঘণ্টা দুয়েক বাদে কোথায় দেখা করা যায় বলুন? ওঁর আশঙ্কা বাড়ির লোক ওঁকে ফলো করতে পারে। নিজের ড্রাইভারকেও বিশ্বাস করেন না। ডা. রায়ের সুবিধে মতো জায়গায় দেখা করতাম। কিন্তু আজ সকালেও ফোন বলছে, সুইচড অফ। খানিকটা বিরক্তির স্বরে কথা শেষ করেছিলেন দীপকাকু ।

ঝিনুক বলে উঠেছিল, খাওয়া শেষ হওয়ার পর একবার করে দেখুন না!

বাবা বললেন, ফোনে যদি পাও, দেখা করার এমন একটা জায়গা ঠিক করো, উনি গোয়েন্দার সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছেন, সেটা যেন বোঝা না যায়। তদন্তের প্রয়োজনে দেখা তো তোমায় করতেই হবে বারবার। এখন যেমন দেখাতে হবে সিসি টিভি ফুটেজটা। সঙ্গে ল্যাপটপ নিয়েছ তো? বড় স্ক্রিন ছাড়া সব কিছু ভাল বোঝা যাবে না।

দীপকাকু ঘাড় কাত করতে ভুলে গেলেন। খেতে খেতে ভাবছিলেন অন্য কিছু। ঝিনুক শিওর, ল্যাপটপ সঙ্গে রেখেছেন দীপকাকু। তদন্তের প্রয়োজনে ওঁর প্রস্তুতিতে কখনও কোনও খামতি থাকে না। খাওয়া শেষ করে বেসিনে হাত ধুতে যাচ্ছিলেন দীপকাকু, ঝিনুকের মাথায় একটা আইডিয়া এসে গিয়েছিল। বলেছিল, কমলবাবুর বাড়ি কিন্তু আমাদের মিটিং প্লেস হতে পারে। ডাক্তারবাবুর সঙ্গে আমরা ওখানে দেখা করব। কেউ যদি ফলো করে ওঁকে, দেখবে বন্ধুর বাড়িতে গেলেন। কমলবাবুকে তো লুকনোর কিছু নেই, উনি চান ছেলের সঙ্গে দেখা হোক বন্ধুর। সায়নের খবর তো উনিই এনে দিয়েছিলেন ডাক্তারবাবুকে।

বেসিন থেকে মুখ ধুয়ে ফেরার পথে দীপকাকু বলেছিলেন, ভাল বলেছ তো। দাঁড়াও ফোন করে কমলবাবুর বাড়িতেই মিট করার কথাটা বলি।

দীপকাকু তার আইডিয়া নিলে মনে বেশ জোর পায় ঝিনুক। প্রকৃত সাহায্যকারী লাগে নিজেকে। পকেট থেকে মোবাইল বার করে দীপকাকু ফোন করলেন ডা. রায়কে। ঠোঁট উলটে ফোনসেট নামালেন কান থেকে। বললেন, এখনও বলছে সুইচড্ অফ। কী ব্যাপার বোঝা যাচ্ছে না।

বাবা বলেছিলেন, ফোন বোধহয় সব সময় খোলা রাখেন না। তোমরা তো বললে খুব বিজি ডাক্তার। চেম্বারে বেশ ভিড় হয় । ফোনেও নিশ্চয়ই জ্বালাতন করে পেশেন্ট পার্টি। সেই কারণেই হয়তো ফোন অফ রাখেন।

বাবার কথা মনে ধরেছিল দীপকাকুর। তাই বলেছিলেন, ঠিক আছে, চলুন কয়েক দান দাবা খেলে নেওয়া যাক। পরে আবার ফোন করা যাবে।

সেই যে দু’জনে দাবা খেলতে বসেছেন, এখনও চলছে। ইতিমধ্যে বাবা এক সেট হেরেছেন। সেকেন্ড বোর্ডও শেষ হতে চলল, এবারও হারবেন বাবা। বোর্ডের দিকে তাকিয়ে দিব্যি টের পাচ্ছে ঝিনুক। এমন সময় তদন্তের একটা পয়েন্ট তার মাথায় এসে যায়। দীপকাকুকে জিজ্ঞেস করে, আচ্ছা, আপনি যে বলেছিলেন সায়ন কলকাতার কোনও হোটেল বা গেস্ট হাউসে উঠেছিল কি না খোঁজ নেবেন, তার কি কোনও খবর পেলেন?

—না, পাইনি। সময় লাগবে। পুলিশের সাহায্য নিতে পারছি না। নাম আর ডা. রায়ের দেওয়া ছবি পুলিশের হাতে দিলে, কেসটার তদন্ত ওরাই শুরু করে দেবে। আমি অন্য সোর্স মারফত খোঁজ নিচ্ছি। বলা শেষ করে বাবাকে মোক্ষম চাল দিলেন দীপকাকু। বললেন, চেক।

আবারও হেরে গেলেন বাবা। বোর্ড থেকে চোখ তুলে দীপকাকু বললেন, নাঃ, এবার ফোন করি ডাক্তারবাবুকে। বার বার সুইচড্ অফটা আমার ঠিক সুবিধের ঠেকছে না।

ডা. রায়ের নামে কল করে ফোন কানে নিলেন দীপকাকু। মুখ থম থমে হল ক্রমশ। ফোন সেট নামিয়ে দিয়ে বললেন, একই কথা বলছ! এখনও ফোন খোলেননি হতে পারে না। সাড়ে দশটা বাজতে চলল। সকাল তো শেষ। কিছু একটা গড়বড় হয়েছে মনে হচ্ছে। ঝিনুক তৈরি হয়ে নাও। ডাক্তারবাবুর বাড়ি যাব।