আজ সকালবেলা
মাঠের সামনের ঝুল বারান্দায় শীতের সকালে রোদ এলে
বেতের চেয়ারে আমি কবির মত বসে থাকি
এখন রোদ্দুর দেখে অনায়াসে বলা যায়, ‘হেমশস্য’
নারী নয়, বৃক্ষও প্রকৃতি
পাতার ভিতরে হাওয়া ‘আন্দোলন’ করে যায়
প্রসারিত সবুজের ভিতরে শিশির খোঁজে চোখ
ঠিক কবির মতন চোখ ঘোরে ফেরে আকাশে প্রান্তরে
মাঝে মাঝে বেতের চেয়ারে একা কবি হতে কে না চায়?
মন, তুমি জেনে রেখো, এসবই দেখার যোগ্য সুস্থির শাশ্বত
যেমন ভ্ৰমণে যায় মানুষ ও মানুষের পোশাকের খয়েরি সুটকেস
অর্জিত ছুটির সুখে কলকাতা-আসানসোল তুচ্ছ হয়ে যায়
ইস্পাত শিল্পের কমী মন্দিরের শিল্প দেখে কেঁপে ওঠে সবঙ্গে সরবে!
সৌন্দৰ্য বিখ্যাত জ্ঞান, মাঝে মাঝে চোখ চেয়ে দেখে রাখা প্ৰথা
হৃদয় কি শূন্য? তবে পাহাড় শিখর থেকে দূরের শূন্যতা দেখে
মানুষের এতখানি খুশি?
ঝর্ণার রূপের ছল ক্যামেরায় এসে স্থির হয়
সমূল বৃক্ষের থেকে পরগাছার ফুল বেশী দামী—
এরকমই মিলে মিশে জীবনের সরল ও স্বাভাবিক সার্থক ব্যর্থতা, জেনে রেখো।
মন, তুমি তিরিশ পেরুলে, তাই যুক্তিবাদী?
তুলনা ও প্রতিতুলনার মতো জুয়াচুরি শিখে নিয়ে বাণী উচ্চারণে বুঝি লোভ?
এখন গভীর রাত্রে বাড়ি ফেরা চুপি চুপি গাঢ় অপরাধ?
হাস্যকর মানুষের সামনে এসে এখন বিনীত হাস্য দিতে হবে?
প্রকৃতিকে ‘ফ্রকৃতি’ না বলে ডেকে, নারীর বুকের প্রতি
জ্বলন্ত নিশ্বাস ছোঁড়া বন্ধ!
ওরে মন্দমতি, আজো শোন
সধর্মে নিদ্ৰাই শ্রেয়, স্নেহসিক্ত পরধর্মপূতনা রাক্ষসী।