বহুদিন পর অকস্মাৎ অপরাহ্নে চা-খানায়
বন্ধুরা আমাকে দেখে চমকে ওঠেন, যেন কোনো
প্রাচীন যুগের প্রেত দিলো হানা তাদের ডেরায়। প্রত্যেকের
মুখে উদ্বেগের কাঁটা, তিন জোড়া চোখ
শুধু প্রশ্ন হয়ে
সেঁটে থাকে আমার শরীরে। বন্ধুদের কৌতূহল
মেটাবার জন্যে বলি, ‘আছে
একজন, যার সৌন্দর্যের অপরূপ
দেয়ালি আমাকে খুব ঝলসে দিয়েছে
তন্দুরী রুটির মতো। ইদানীং আমি
সত্তায় বেড়াচ্ছি বয়ে কামনার অজস্র নাছোড় মৌমাছির
কামড়ের দাগ,
যে মৌমাছি ঝাঁক বেঁধে ওড়ে সারাক্ষণ
তার ওষ্ঠে, বুকের উদ্যানে আর নাভির মদির সরোবরে।