অহংকার
অহংকার একপ্রকার কল্পনা, যার সাহায্যে একজন পাগল, পাঁচ নম্বর সাইজের পায়ের জন্য দশ নম্বর সাইজের জুতো কিনে থাকে। পাগলটি এ জুতো সবাইকে দেখায়, এবং বলে বেড়ায়- দেখো, আমার পা কতো বড়ো! পাগলটির এ কথা শুনে আশেপাশের পাগলেরাও ছুটে যায় জুতোর দোকানে। তারাও কিনে আনে নিজ নিজ পায়ের জন্য বড়ো সাইজের জুতো।
এ প্রক্রিয়ায় সমাজে, পায়ের ছাপ দেখে নয়, জুতোর ছাপ দেখে মানুষের আকার মাপার একটি সংস্কৃতি গড়ে ওঠে। কেউ এ সংস্কৃতি ভাঙতে চাইলে তাকে সবাই দলবেঁধে জুতো মারতে আসে। কিন্তু জুতো মারার সময়, তারা যখন পা থেকে জুতো খুলতে শুরু করে, তখন তাদের ক্ষুদ্র পা ঠিকই প্রকাশ হয়ে পড়ে।
অহংকারী ব্যক্তিকে তার জুতোজোড়া নিয়ে কোনো প্রশ্ন করা যায় না। করলেই পাগলা কুকুরের মতো ঘেউ করে ওঠেন। যদি বলা হয়— আপনি তো জুতোরোগে আক্রান্ত, তাহলে তিনি ও তার ছানারা এমনভাবে কামড়াতে আসেন, যেন আদম থেকে নয়, মানুষের বংশবিস্তার ঘটেছে নেকড়ে থেকে।
তবে ঢিলা জুতো একদিন-না-একদিন পা থেকে খসে পড়েই। সেদিন দেখা যায়, সারাক্ষণ জুতো পরে থাকার কারণে লোকটির পা-ই পচে গেছে। ডাক্তার তখন ব্যান্ডেজ করে দিয়ে বলেন— সবসময় জুতো পরে হাঁটবেন না। পা ভালো রাখার জন্য মাঝেমধ্যে স্যান্ডেল পরে হাঁটতে হয়। কখনো জুতো পরার প্রয়োজন হলে, সঠিক সাইজের জুতোই পরবেন।