অরূপ রাজ্য
মায়ের গোলাপ গাছে ঠিক একটি গোলাপের মতো ফুল
ফুটে আছে
চোখের মতন চোখে দেখতে পাই ভোরবেলার মতো ভোরবেলা–
দেশলাই কাঠিতে জ্বললো বিশুদ্ধ আগুন, আমি সিগারেট মুখে নিয়ে
ছাদ থেকে নেমে আসি প্রধান মাটিতে
পায়ের তলায় ভিজে ঘাস, ঠিক পায়ের তলায় ভিজে ঘাস।
দুঃখ নিয়ে ঘুম ভাঙলে দুঃখ জেগে রয়, মানুষ ঘুমোয় ফের
প্রহরীর বিবৃত জানুতে
মানুষ না, আমি। আমার ঘুমন্ত চলা সাম্প্রতিক বাতাসকে মনে করে
শতাব্দীর হাওয়া
মহিলাকে মনে করে স্বপ্ন। মহিলা না, নীরা।
তার দৃষ্টি দুগাটুনটুনি হয়ে উড়ে যায়। স্বপ্ন
তার স্তনে মল্লিকা ফুলের ঘ্রাণ। স্বপ্ন
নীরার হাসির তোড়ে চিকন কণার শব্দ ওঠে। এও স্বপ্ন–
টুনটুনি, মল্লিকা, ঝণা-ধূল্যবলুষ্ঠিত এই পৃথিবীর
অসীম ফসল হয়ে ফুটে আছে
যেমন ফসল নীরা। আমি। দুঃখে সব স্বপ্ন হয়।
ঈর্ষাও ঘুমের ভঙ্গি। সেই ঈষা নারী বা নীরার সর্বশরীরের কাছে এসে
শিকলের শব্দ করে
আমার দু চোখ তীক্ষ্ণ ছুরি হয়, প্রাসাদ শিখর ভাঙে,
ধ্বংস করে রাজনীতি-মঞ্চ, রূপান্তর শুরু হয়
মানুষকে মনে হয় জলজন্তু, যোষিৎপ্রত্যঙ্গ যেন খাদ্য
ভালোবাসা নুন-মরিচ, নিশ্বাসে আগুন
প্রতিটি প্রত্যুষ যেন রাত্রি ভোর, রোদ্দুর তখনই হয় ক্ষুরের ফলার মতো
কুসুম কুমারী, মেঘ দুঃসময়-সব স্বপ্ন!
কখনো দুঃখের ঘুম শুরু হলে আমি জাগি, অবিকল চোখের মতন চোখে
টের পাই সাম্প্রতিক হাওয়া
সিগারেটে টান মেরে আমি খুসখুসে শব্দে হাসি
বেঁচে থাকা এই রকম
আমি এই অরূপ রাজ্যের নাগরিক
গোপাল চারায় ঠিক গোলাপ ফোটার মতো দৃশ্যমান ফসলের নিজস্ব বিভাস
পায়ের তলায় ভিজে ঘাস শুধু পায়ের তলায় ভিজে ঘাস।