অরূপ নক্ষত্রলোকে

যখণ একলা নিজ ঘরে বসে থাকি
গভীর তন্ময়তায়, নানা ভাবনার
বুদ্ধুদ মনের জলাশয়ে, কখনো বা কুয়াশায়
চকিতে মিলিয়ে যায় কোন্‌ অজানায়।

কখনো গভীর রাতে সত্তা থেকে নিদ্রা মুছে গেছে
চোখে পড়ে কে এক নিভৃত ছায়া যেন
বারান্দায় পায়চারি করে। ছায়াময় আগন্তুক
ঘরে এসে দাঁড়ার দু’হাত পিছনে রেখে খানিক সম্মুখে
ঝুঁকে, দেখে যেন মনে হয় চেনা। শয্যা ছেড়ে উঠে
পড়ি নিমেষেই আজ অজান্তে আমার ছুঁই তাঁর পদযুগ।
উদ্ভাসিত আলোমালা, সেই আগন্তুক
আর বাক্যহারা অবনত আমি নিঃস্পন্দ দাঁড়িয়ে
থাকি, ভাবি- তবে কি আমার এই দীন আস্তানায়
পথ ভুলে এসেছেন কোনো দেবদূত?

কোনো কথা না বলেই তিনি মৃদু হেসে
দু’হাত পিছনে রেখে, ঈষৎ সম্মুখে ঝুঁকে ধীরে
হেঁটে দূরে দীপ্ত বৃত্তে করেন প্রবেশ। ‘জয় হোক রবীন্দ্রের’
ধ্বনি গুঞ্জরিত হতে থাকে অরূপ নক্ষত্রলোকে!
৪-৫-২০০৩