পাঁচ
এর পর থেকে তারার দৈনিক জীবনযাত্রা একেবারে এক নিয়মে চলল। ভোরবেলা উঠে ছোলা-ভিজানো খেয়ে লাঠি আর ছোরা খেলা শেখা। বিশ্রাম করে শরবত আর অন্য কিছু খেয়ে নিয়ে সর্দারের কাছে তির ছোড়া শেখা। তা ছাড়া সাঁতার, গাছে চড়া, দৌড়ানো তো আছেই।
কালু বলে, আমাদের সবকিছু শিখে রাখতে হয় মা। কখন কী অবস্থায় পড়ি কিছুই ঠিক নেই।
দুপুরবেলা খেয়েদেয়ে বিশ্রাম। বিকালে রঘুর কাছে কুস্তি, ঘোড়ায় চড়া শেখা।
এ ছাড়াও অনেক কিছু করতে হয়।
একদিন অসময়ে কালু ডেকে পাঠাল। সবে তারা ঘুম থেকে উঠে কুস্তি শিখতে যাবার জোগাড় করছে, অনুচর এসে দাঁড়াল।
মা, সর্দার ডাকছে।
আমাকে?
হ্যাঁ, সর্দার বদনতলার মাঠে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
তারা বেরিয়ে পড়ল। অনুচর সঙ্গে সঙ্গে চলল।
বদনতলার মাঠ বাশুলির মন্দিরের ঠিক পিছনে। এখানেই তারা দৌড়ানো অভ্যাস করে। সেখানে পৌঁছে তারা দেখল একটা মাটির ঢিপির ওপর কালু বসে আছে।
তারাকে দেখে বলল, এসো মা, এখানে বোসো।
তারা সর্দারের পাশে গিয়ে বসল। কোথাও কিছু নেই। মাঠ খালি। এখানে চুপচাপ কেন বসে থাকতে হবে তারা বুঝতে পারল না।
হঠাৎ একটা শেয়ালের চিৎকারে তারা চমকে উঠল।
চেয়ে দেখল দুজন লোক একটা শেয়ালের গলায় দড়ি বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে আসছে।
ঠিক সর্দার আর তারার সামনে শেয়ালটাকে নিয়ে এসে একটা বাঁশের খুঁটিতে বাঁধল। একজন অনুচর শালপাতায় একটা মাংসের টুকরো এনে তারার সামনে ধরল।
নাও, এটা শেয়ালটাকে দিয়ে দাও। খুব কাছে যেয়ো না। শেয়ালটা খেপে আছে।
খুব সাবধানে এগিয়ে তারা মাংসটা শেয়ালটার সামনে ছুড়ে দিল।
শেয়ালটা কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে রইল, তারপর আর লোভ সামলাতে না পেরে একটু একটু করে মাংসের সামনে এগিয়ে গেল। এদিক-ওদিক দেখল, মাংসটা শুঁকল, তারপর এক গ্রাসে মাংসটা মুখে পুরে দিল।
মিনিট পাঁচেক, তারপরই আকাশ ফাটিয়ে আর্তনাদ করে উঠল। ল্যাজটা গুটিয়ে পেটের মধ্যে চলে গেল। চারটে পা প্রসারিত করে মাটি আঁচড়াতে লাগল। জিভটা একদিকে ঝুলে পড়ল। দুঃসহ একটা যন্ত্রণায় শরীরটা কুঁকড়ে গেল। সমানে কাতর চিৎকার করতে লাগল।
শেয়ালটা অমন করছে কেন?
তারা কালুকে জিজ্ঞাসা করল।
কালু কোনও উত্তর দিল না। হাত দিয়ে তারাকে থামিয়ে দিল। একটু পরে শুধু বলল, দেখো-না মজা।
প্রায় মিনিট কুড়ি আর্তনাদ করতে করতে শেয়ালটা স্থির হয়ে গেল। চার পা ছড়িয়ে টান হয়ে শুয়ে পড়ল। গায়ের লোমগুলো খাড়া হয়ে উঠল। দুটি চোখ বিস্ফারিত।
এইবার কালু উঠে দাঁড়াল।
তারাকে বলল, শেয়ালটাকে মাংসের সঙ্গে সেঁকো বিষ দেওয়া হয়েছিল। মানুষ হলে পাঁচ মিনিটেই সাবাড় হয়ে যেত, কিন্তু শেয়ালের কড়া জান অনেকক্ষণ লড়েছে।
কিছু বুঝতে পারল না তারা। হঠাৎ এভাবে শেয়ালটাকে বিষ দিয়েই বা মারা হল কেন? আর শেয়ালের মৃত্যু দেখবার জন্য তাকেই বা ডেকে আনল কেন কালু সর্দার?
তোমার তো এখন কুস্তি শেখার সময়, তা-ই না মা?
হ্যাঁ। তারা মাথা নাড়ল।
যাও তাহলে। রঘু অপেক্ষা করছে।
তারা চেয়ে দেখল একটু দূরে একটা তেঁতুল গাছের তলায় রঘু অপেক্ষা করছে।
কুস্তি শেখা শেষ হলে সন্ধ্যার ঝোঁকে তারা রঘুকে কথাটা জিজ্ঞাসা করল। বিষ দিয়ে শেয়াল মারার কথা।
গামছা ঘষে ঘষে রঘু শরীর থেকে মাটি তুলছিল, তারার দিকে চেয়ে বলল, ডাকাতের দলে থাকতে হলে মনকে লোহার মতন কঠিন করতে হয় মা। অনেক রকমের যন্ত্রণাকর মৃত্যু আমাদের দেখতে হয়। অনেক সময় এমনও হয়, নিজের দলের লোককে আধমরা অবস্থায় ফেলে আমাদের পালিয়ে আসতে হয়। তাকে তুলে আনবার সুযোগ হয় না। এমনও হয়, বল্লমের খোঁচায় দলের একটা লোক যন্ত্রণায় ছটফট করছে, তাকে সরিয়ে আনতে পারছি না, কিন্তু তাকে যদি কোম্পানির লোক ধরে নিয়ে যায় তো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আমাদের দলের কথা, আস্তানার কথা জেনে নেবে, তাই পালাবার সময় আমরাই বর্শা দিয়ে কিংবা লাঠির ঘায়ে তাকে খতম করে দিয়ে আসি। যাতে সে আর কথা বলতে না পারে।
দু-হাতে মুখ ঢেকে তারা উঃ করে চেঁচিয়ে উঠল।
একটু পরে বলল, কী নিষ্ঠুর তোমরা!
আমরা কিছুই করি না। বাশুলি-মা-ই আমাদের হাত দিয়ে সবকিছু করান। জন্ম-মৃত্যু সবই তো মায়ের খেলা। আমরা নিমিত্তমাত্র। যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্যই সর্দার ওভাবে তোমার সামনে শেয়ালটাকে বিষ দিয়ে মারল।
তারা আর কোনও কথা বলল না। সে জানে কথা বলে কোনও লাভ নেই। তার ফিরে যাবার পথ যখন বন্ধ, তখন এদের মধ্যেই তাকে থাকতে হবে। এদের কথাতেই সায় দিতে হবে।
.
মাসের পর মাস ঘুরে বছরও শেষ হয়ে গেল।
লাঠি আর ছোরা খেলায় তারা অসম্ভব উন্নতি করেছে। তির-ধনুকে তার অব্যর্থ লক্ষ্য। ডাকাতদের জীবনের সঙ্গে তার জীবন অনেকটা মিশে গিয়েছে। কালু সর্দার যখন দলবল নিয়ে ডাকাতি করতে বের হত, তখন ঘোড়ায় চড়ে তাদের সঙ্গে তারা বনের শেষ পর্যন্ত যেত।
মাঝে মাঝে কালু সর্দারের কাছে আবদারও করত।
ছেলে, আমায় কবে নিয়ে যাবে তোমাদের সঙ্গে?
কালু হাসত। নিয়ে যাব মা, সময় হলে ঠিকই নিয়ে যাব।
তারা অভিমান করত।
কেন, আমি তোমার দলের লোকের চেয়ে কীসে কম? আজকাল তো বন্দুক ছোড়াও শিখেছি।
কালু বলত, তুমি কারো চেয়ে কম নয় মা। কম কেন হবে, তুমি যে সকলের মা। তোমার বয়সটা আর-একটু বাড়ুক, মা আর ছেলে পাশাপাশি বের হব।
সারা দলে বন্দুক মাত্র তিনটে। গাদাবন্দুক। কোম্পানির সিপাইয়ের কাছ থেকেই ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
কালু নিজের হাতে তারাকে বন্দুক ছোড়া শিখিয়েছিল।
প্রথম দিন তো বন্দুকের ধাক্কায় তারা চিতপাত হয়ে পড়েই গিয়েছিল ঘাসের ওপর।
তারপর আস্তে আস্তে তারা বন্দুক ছোড়া শিখে নিয়েছিল। প্রথম প্রথম শেয়াল, গাছে ঝুলন্ত সাপ, তারপর উড়ন্ত বক এক গুলিতে খতম করে দিত।
কালু হাততালি দিয়ে বলত, শাবাশ, মা, শাবাশ!
প্রথম যেদিন কালু তারাকে সঙ্গে নিল, তখন তারার বয়স তেরো।
সারারাত তারা ঘুমোতে পারেনি। বিছানায় ছটফট করেছে। ভয়ে নয়, উত্তেজনায়।
ঠিক সন্ধ্যা হতেই সবাই বেরিয়ে পড়ল। শাড়িটা তারা পুরুষদের মতন মালকোঁচা দিয়ে পরে নিল। মাথায় পাগড়ি বাঁধল, যাতে দরকারের সময় চুল খুলে মুখ-চোখ ঢেকে বিব্রত না করে। কোমরে বড়ো ছোরা, হাতে বর্শা।
তারাকে মাঝখানে রেখে দলটা এগিয়ে গেল।
অনেকটা পথ। অনেকবার অন্ধকারে তারা গাছের শিকড়ে হোঁচট খেল। তারপর কালুর নির্দেশে একটা ঝাঁকড়া অশথ গাছতলায় সবাই দাঁড়াল।
চকমকি জ্বেলে একজন আলো জ্বালাল। সেই আলোতে তারা দেখল এক পুরোহিত দাঁড়িয়ে।
পুরোহিত তারাকে বলল, আমি যা বলছি, সেই কথাগুলো উচ্চারণ করো মা। যদি কোনওভাবে ধরা পড়ি তাহলে যতই দৈহিক যন্ত্রণা দিক শত্রুরা কিংবা অর্থে বশীভূত করার চেষ্টা করুক, আমি প্রাণান্তেও দলের কারো নাম বলব না, কোনও আস্তানার খবর দেব না। মা বাশুলির দিব্যি।
পুরোহিত চকচকে একটা খাঁড়া তারার কাঁধের ওপর রাখল।
তারা পুরোহিতের কথাগুলো উচ্চারণ করল। তারপর পুরোহিত সিঁদুর নিয়ে তারার কপালে টিপ এঁকে দিল।
কালু বলল, এবার পুরুতমশাইয়ের পায়ের ধুলো নাও মা।
তারা হাঁটু মুড়ে বসে পুরোহিতের পদধূলি নিল।
সঙ্গে সঙ্গে অরণ্য কাঁপিয়ে গর্জন উঠল, বাশুলি মায়িকি জয়!
আবার যাত্রা শুরু হল।
ছোটো ছোটো জলা, বাঁশঝাড় পার হয়ে সবাই একটু ফাঁকা জায়গায় এসে পৌঁছাল।
আকাশে চাঁদের ফালি। খুব অল্প আলো। পরিষ্কার কিছু দেখবার উপায় নেই।
কালু বলল, সব গাছে উঠে পড়ো। আমি তলায় রইলাম। সময় হলে খবর দেব।
অন্য সকলের সঙ্গে তারাও গাছে চড়ল। অনেক ডালপালা-ছড়ানো বট গাছ। উঠতে কোনও অসুবিধা হল না।
একটা মোটা ডাল আঁকড়ে তারা চুপচাপ বসে রইল। এই টের পেল তার বুকের ভিতর ঢেঁকির পাড় চলেছে। দুপ দুপ শব্দ। এতদিন যা শিখেছে, আজ হাতেকলমে তার পরীক্ষা।
একটু বোধহয় তন্দ্রা এসেছিল তারার। হঠাৎ চাপা গম্ভীর গলায় কালু সর্দারের সাবধানবাণী ‘হুঁশিয়ার’ কানে যেতেই সে সোজা হয়ে বসল।
অনেক দূর থেকে ঘুঙুরের মতন একটা শব্দ ক্রমশ এগিয়ে আসছে।
ঝুন, ঝুন, ঝুন।
ম্লান অন্ধকারে তারা দেখল অনুচরেরা সবাই গুঁড়ি দিয়ে এগিয়ে চলেছে। প্রায় মাটির সঙ্গে মিশে। তারপর একে একে মাটিতে বুক দিয়ে সবাই শুয়ে পড়ল।
পশ্চিম দিক থেকেই ঘুঙুরের আওয়াজটা আসছিল। সেইদিকটাই আলো হয়ে উঠল।
মশালের আলো।
গাছের ওপর থেকে তারা এবার স্পষ্ট দেখতে পেল। দুটো লোক ছুটে আসছে। এক হাতে লাঠি, লাঠিতে ঘুঙুর বাঁধা, আর-এক হাতে জ্বলন্ত মশাল।
তার পিছনেই একজন অশ্বারোহী সিপাই। তারপর বাহকরা পালকি বয়ে আনছে। বন কাঁপিয়ে বাহকদের গলার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। হুম না, হুম না, হুহুম না।
পিছনে আরও অনেকগুলো পাইক।
বন্যজন্তু তাড়াবার জন্য ওই মশালের আলো আর ঘুঙুরের শব্দ। কুখ্যাত এই দুর্গাপুরের জঙ্গলের কথা তাদের জানা, তাই যতটা সম্ভব দ্রুতপায়ে জায়গাটা পার হবার চেষ্টা করছে।
বাশুলি মায়িকি জয়! কালুর ভয়াল কণ্ঠস্বর। তারপর তার অনুচরদের হুংকার শোনা গেল। মাটি ফুঁড়ে যেন ছায়ামূর্তির আবির্ভাব।
কে একজন সবেগে সড়কি চালাল ঘোড়ার পায়ে। ঘোড়াটা পা মুড়ে বসে পড়ল, তার পিঠের লোকটা ছিটকে পড়ল জলার ওপর। মশালধারী দুজন তিরের ঘায়ে খতম।
সঙ্গে সঙ্গে পালকির পিছন থেকে লাঠিয়ালের দল ছুটে এসে পালকিটা ঘিরে রাখল।
লাঠির ফটাফট শব্দ, তিরের শোঁ শোঁ আওয়াজ, মানুষের মৃত্যুযন্ত্রণার কাতরোক্তিতে মুহূর্তে জায়গাটা যেন নরকে পরিণত হল।
হঠাৎ দিগন্ত কাঁপিয়ে গুড়ুম গুড়ুম শব্দ।
সিপাইরা বন্দুক ছুড়তে শুরু করেছে।
ডাকাতদের দু-একজনও মশাল জ্বালিয়েছে।
সেই মশালের আলোয় তারা দেখল, শুধু সিপাইরাই নয়, পালকি থেকে একজন লালমুখো সাহেব বেরিয়ে হাঁটু মুড়ে বসে বন্দুক ছুড়ছে। লাঠিয়ালরা তাকে ঘিরে রয়েছে।
ডাকাতদের তরফে বন্দুক মোটে তিনটি। তারা জানে দুটি আনা হয়েছে। একটি মেরামতের অপেক্ষায় আস্তানায় পড়ে আছে।
বন্দুকে সুবিধা যেমন আছে, অসুবিধাও কম নয়।
দূর থেকে লক্ষ করা যায় সত্য কথা, কিন্তু একবার গুলি ছোড়া হয়ে গেলেই আবার বারুদ ঠাসতে হয়। তাতে অনেক সময় নেয়। মুখোমুখি লড়াই করার পক্ষে খুব মুশকিল। বারুদ ঠাসবার সময় প্রতিপক্ষ আঘাত করার সুযোগ পায়। লাঠিয়ালরা লালমুখো সাহেবকে বেষ্টন করে রেখে তাকে বারুদ ভরবার সুযোগ দিচ্ছে।
মনে হল ডাকাতদের কয়েকজন বন্দুকের গুলিতে যেন ঘায়েল হল। আর্তকণ্ঠ শোনা গেল। একজন তো তারা যে গাছের ডালে বসেছিল, তার তলাতেই উপুড় হয়ে পড়ল। দু-একবার কেঁপে উঠেই নিস্পন্দ হয়ে গেল।
খুব বেগতিক অবস্থা। ডাকাতরা কিছুটা পিছিয়ে এল।
আচমকা লাঠিয়ালদের মধ্যে একটা বিশৃঙ্খলা শুরু হল।
হইচই চিৎকার। দু-একজন পড়েও গেল মাটির ওপর।
বাশুলি মায়িকি জয়!
তারা বুঝতে পারল কালু সর্দারের গলার আওয়াজ।
কালু কিছু অনুচর নিয়ে ঝোপঝাড়ের আড়াল দিয়ে এগিয়ে গিয়ে ওদের পিছন থেকে আক্রমণ করেছে।
কালুর গলায় সাহস পেয়ে ডাকাতরা যারা পিছিয়ে এসেছিল, তারাও নতুন বিক্রমে লাঠিয়ালদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।
অসহ্য চিৎকার, গোঙানির শব্দ, মাথার খুলি ফাটার ফটাস ফটাস আওয়াজ।
আচমকা তারা দেখল লালমুখো সাহেবটা ছুটতে ছুটতে গাছের তলায় এসে দাঁড়িয়েছে। অন্ধকারে তাকে বোধহয় কেউ লক্ষ করেনি।
সাহেব কিন্তু পালিয়ে গেল না। গাছের গুঁড়িতে হেলান দিয়ে ডাকাতদের দিকে বন্দুকের নলটা ফিরিয়ে তাক করতে লাগল।
দু-এক মুহূর্ত। কোথা দিয়ে কী হয়ে গেল তারা নিজেই বুঝতে পারল না। হাতের বল্লমটা সজোরে তুলে তারা সাহেবের পিঠ লক্ষ করে ছুড়ে দিল। বল্লমটা সাহেবের পিঠে অনেকটা গেঁথে গেল।
মর্মান্তিক আর্তনাদ করে সাহেব পড়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে ফিনকি দিয়ে তাজা রক্তের স্রোত তারার শরীর, কাপড় ভিজিয়ে দিল।
.