অমলের স্ত্রীর জন্য
আমি খুব দূর, দূর দেশ থেকে অলক্ষ্যে বাণ ছুঁড়ি
তুমি কাছে এসে এক কণা কস্তুরী
তুলে নিলে করকমলে
সখী, আজ আর আমাকে বলোনা নিষ্ঠুর হতে
আমাকে বলে না অমলের
শবযাত্রায় কাঁধ দিতে, আমি আজ গঙ্গার স্রোতে
থুতু ফেলবো না, দেখো এই মুখ, এ কি নিষ্ঠুর মানুষের মুখ?
আমার শরীর, দেখো, চেয়ে দেখো এ কি মনে হয়
বারুদে ভর্তি সিন্দুক?
দেয়ালের পাশে দাঁড়ালে তোমাকে খুবই মানায়
খুব বড়ো ঘর, আধো-নীল কোনো দেয়ালে–
তুমি নও কিছু রূপসী, তোমার চোখ ছোট,
শুধু হঠাৎ কখনও খেয়ালে
হেসে ওঠো পাগলিনীর মতন, একলা ঘরের দেয়ালে–
রোদ এসে পড়ে চিবুকে তোমার দুঃখ জানায়
দুঃখে দেয়ালে দাঁড়ালে তোমাকে খুবই মানায়
দুঃখ তোমার গন্ধের মতো ফেটে পড়ে ঐ দেয়ালে–
আমাকে বলো না নিষ্ঠুর হতে, আমাকে বলো না অমলের
মৃত্যু সইতে, মৃত্যু আমায় অসুখ দেয় না কাঁপায় না বুক
সখী, আমি আজ তোমার ও করকমলের
কস্তুরী নোবো, দেখো এই মুখ এ কি নিষ্ঠুর মানুষের মুখ?
মৃত্যু আমাকে অমৃত দেয় না। কাঁপায় না বুক
আমি আজ কাছে দাঁড়িয়ে দেখবো তোমার অসুখ।