আমার চোখের আলো ক্ষীণ থেকে ক্রমে
ক্ষীণতর হচ্ছে, দিনে রাতে
অসুস্থ দু’চোখে নিয়মিত কমপক্ষে
ছ’বার ওষুধ দিতে হয় সাত বছরের কিছু অধিক সময় ধ’রে। টিয়া
নিয়মতি এ দায়িত্ব করছে পালন। কোনওদিন
বিরক্তির ঈষৎ কুঞ্চনও মুখে তার
দেখিনি, বরং চোখ দু’টো দৃষ্টিময় রাখার প্রয়াসে সুখী।
ওষুধ দেয়ার পরে চক্ষুদ্বয় ক’মিনিত বুজে
রাখতেই হয় প্রতিবার। খোলা চোখে সবকিছু
ক্রমশ আবছা হয়ে যাচ্ছে। লেখাপড়া
অনেক কঠিন বর্তমানে ক্ষুদ্রাক্ষর দেখি না মোটেই, লিখি
ঢের কষ্ট সয়ে; চোখে ওষুধের ফোঁটা
পড়লেই ক’মিনিট দৃষ্টিহীনতায় কেটে যায়।
তখন কিছুই আর বন্ধ দু’টি চোখে
তেমন ধোঁয়াট নয়। সাময়িক দৃষ্টিহীনতায়
দেখে ফেলি দু’টি রাঙা ফুলের মিলন। স্পষ্টতায়
সৃষ্টি হয় নানা দৃশ্য, চোখের পড়ে তরুণ-তরুণী
পরস্পর হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে
সুস্পষ্ট মিলিত হয় মহাদিগন্তের প্রতিভায়।