অন্য কেউ দেবে
অর্জুন বৃক্ষটি থেকে একটি পাতা খসে পড়লো, জানি
এ আমারই জন্য শুধু, নববর্ষ চিঠি
ওপরের বারুদ আকাশ
কিছুই বলেনি মুখ ফিরিয়ে রয়েছে
এই বন, সরল অনিলময়, প্রাক্তন বৃষ্টির গন্ধ মাখা
এখানে আসার কথা ছিল না তো, আমি
নারীদের ঠিকানা হারিয়ে পথ ভুলে…
বিমান গর্জন থেকে এত দূরে, এখানে রয়েছে খুব শান্তি
একটু বসি
এর আগে কতবার জঙ্গলে গিয়েছে এক অশান্ত উন্মাদ
রাক্ষসের মতো তার ক্ষুধা ও জয়ের নেশা
কবিদের মতো তার হিংস্র, সঘন আত্মরতি
সে কি শুয়ে আছে ঐ মরা নদীটার খাতে
ঘাসের চাবড়ার নীচে
যার ইচ্ছে যেখানে যেদিকে খুশি যাক
কখনো বুঝিনি আগে একা একা আলিঙ্গন
এমন মধুর
দাও, যা কিছু না-পাওয়া ছিল, সব দাও
ঘাসের সবুজ আর ভ্রমরের কালো, দোয়েল ও বুলবুলির
পাগলাটে সঙ্গীত
কিছু কি নেবার আছে, নাও
অনাগত শতাব্দীর হে বালিকা, বারান্দায় দাঁড়িয়ে রয়েছো
তোমার চিঠির আজও লিখিনি উত্তর, ক্ষমা করো
অন্য কেউ দেবে, অন্য কোনো উন্মাদ, রাক্ষস,
কিংবা কবি।