অন্তত এটুকু থাক, সিঁড়ি দিয়ে নেমে যেতে যেতে
হাসিমুখে ঈষৎ তাকানো ফিরে, একটি কি দুটি
কথা কিংবা অত্যন্ত বাঙ্ময় নীরবতা সহকারে
বিদায় সাজানো; এলে চলে যেতে হয়, তবু যেন
প্রস্থানের আগে শূন্য ঘরে আনন্দ টাঙিয়ে হেসে
অসামান্য নীলপদ্ম ফুটিয়ে হৃদয়ে দিগন্তের
দিকে হেঁটে চলে যেতে পারি, অন্তত এটুকু থাক।
অন্তত এটুকু থাক, দেখা হলে হাতের ঝাঁকুনি,
আলিঙ্গন, প্রিয়তমা রমণীর ঠোঁটে চুমু এঁকে
প্রহরকে বন্দি করা, কবিতার পঙ্ক্তির মতোই
শুয়ে থাকা বেড়ালের পশমে ডুবিয়ে হাত একা
কথা বলি কিছুক্ষণ, নাগরিক কাঠবিড়ালির
চঞ্চলতা, ঝোপঝাড়ে জোনাকির নির্ভার উৎসব;
রাত্রি হলে যে শাড়ি ব্লাউজ খুলে মোহগ্রস্ততায়
নেবে তাপ স্বামীর অধীর নগ্নতার, তাকে ভাবা;
অন্তত এটুকু থাক আপাতত প্রাণের খরায়।