কখনো কখনো কারো কারো চোখে থাকে খুব ঘোর;
বিশেষত দর্পণের সম্মুখে দাঁড়ালে কান্তিমান যুবা আর
রূপসী তরুণী বশীভূত হয় দর্পের এবং
তারা ভুলে যায় সময়ের আবর্তনে
দর্পণ দর্পেরই গোর। যে যুবক সুখে
প্রত্যহ কামায় দাড়ি, মুখ ধোয়া সুগন্ধি সাবানে,
গুন গুন গান গায়, ঘন চুলে চালায় চিরুনি
দর্পণের সম্মুখে দাঁড়িয়ে, প্রীত হয় ক্ষণে ক্ষণে,
ভাবীকালে সে-ই একদিন
একটি বিরলকেশ মাথা, হৃতকান্তি, লোলচর্ম
মুখ দেখে আঁৎকে ওঠে। ভয় তাকে হঠাৎ গ্রেপ্তার
ক’রে ফেলে। দর্পণকে যৌবনের করুণ কবর
ভেবে স’রে আসে, মুখ ঢাকে মনস্তাপে।
অথচ যখন তার জন্মদিনে যৌবনের ঝলকের মতো
তাজা রোদ বেজে ওঠে কবিতার ধূসর খাতায়,
জীবনের শেষ বাঁকে এসে দ্যাখে
সে এক অতুলনীয়া নারী তাকে হৃদয়ের বাণী
বাজিয়ে বরণ করে, তখন বয়েসী জন্মদিন
অপরূপ তরুণ দেয়ালি, বেঁচে থাকা এক অনন্য উৎসব।
৯১/৯/৯৫