ঝর ঝর ঝর
এক নাগাড়ে একটানা বর্ষণের পর
সৌভাগ্যবশত কচি রোদ্দুর ছড়ানো ভোরবেলা
কোত্থেকে এসেছে এই পাখি,
নিজেকেই প্রশ্ন করি। ফ্ল্যাটের বারান্দাটায় তাকে
কীভাবে আটকে রাখি ভাবি।
একা-একা পাখিটা দিয়েছে জুড়ে খেলা;
কিছুই না ক’রে কিছুক্ষণ খুব চুপচাপ থাকি।
আমাতে কী যেন ছেয়ে থাকে
পাথরের চতুর্দিকে-ঘেরা গুঢ় রহস্যের মতো। পাখিটাকে কী যে দাবি
আমার নিকট, বোঝা দায়।
ছড়িয়ে নিজস্ব রঙ খেলা করে, নেই কোনো গান
আপাতত কণ্ঠে তার। খানিক খাবার পেতে চায়,
হতে পারে, কিংবা চায় ঈষৎ তৃষ্ণার অবসান।
পারবো কি ধরতে ওকে? যাবে না খাঁচায় তাকে পোরা
কোনোদিন থাক যতক্ষণ
ইচ্ছে ওর এই বারান্দায় থাক বন্ধ ক’রে ওড়া।
মন, ওরে, মন
যদি আমি গম কিংবা ছোলার সন্ধানে গিয়ে ফিরে
আসি, হয়তো দেখবো সে উড়ে
চ’লে গেছে দূরে, অন্ধকারময় দূরে।
নড়ি না চেয়ার থেকে; অকস্মাৎ সেই পাখি
স্তব্ধতার অন্তর্বাস ছিঁড়ে
শিস দিয়ে অন্তর্হিত; ঘরে ব’সে হয়ে যাই অধিক একাকী।।