[চিকাগোর জ্যাকসন ষ্ট্রীটে নারীদের সভাগৃহে বিশ্বধর্ম-সম্মেলনের নারী-পরিচালক সমিতির প্রেসিডেণ্ট মিসেস পটার পামার কর্তৃক আয়োজিত এক বিশেষ সভায় স্বামীজী প্রাচ্য নারীর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আলোচনা করেন। বক্তৃতাটি চিকাগো ডেলি ইণ্টারওশ্যান পত্রিকায় (২৩ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৩) প্রকাশিত।]
কোন জাতির উন্নতির শ্রেষ্ঠ পরিমাপক তাহার নারীজাতির প্রতি আচরণ। প্রাচীন গ্রীসে পুরুষ ও নারীর অবস্থায় কোন পার্থক্যই ছিল না—পূর্ণ সাম্যের ভাব বিরাজ করিত। বিবাহ না হওয়া পর্যন্ত কোন হিন্দু পুরোহিত হইতে পারে না—ভাবটি এই যে, অবিবাহিত ব্যক্তি অর্ধেক অর্থাৎ অসম্পূর্ণ মানুষ। পূর্ণ নারীত্বের ভাব পূর্ণ স্বাধীনতা। সতীত্বই আধুনিক হিন্দু নারীর জীবনের মুখ্য ভাব। বৃত্তের কেন্দ্র পত্নী—এই কেন্দ্রের স্থায়িত্ব নির্ভর করে তাহার সতীত্বের উপর। এই প্রকার ভাবের আতিশয্য হইতেই হিন্দু বিধবারা মৃত পতির চিতায় আত্মবিসর্জন করিত। সম্ভবতঃ পৃথিবীর অন্যান্য নারীদের অপেক্ষা হিন্দু নারীগণ অধিকতর ধর্মশীলা ও আধ্যাত্মিকভাবসম্পন্না। যদি আমরা চরিত্রের এই সুন্দর গুণরাজি রক্ষা করিতে পারি এবং সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নারীগণের বুদ্ধিবৃত্তির উন্নতিসাধন করিতে পারি, তাহা হইলে ভবিষ্যতের হিন্দুনারী জগতের আদর্শ নারী হইবে।