৪০তম অধ্যায়
শমীবৃক্ষ হইতে অস্ত্রাবতরণার্থ অর্জ্জুনের নির্দেশ
বৈশম্পায়ন কহিলেন, “মহারাজ! এ দিকে মহাবলপরাক্রান্ত অর্জ্জুন সেই সমীবৃক্ষের সন্নিকটস্থ হইয়া রাজকুমার উত্তরকে নিতান্ত সুকুমার ও যুদ্ধে একান্ত অপটু বিবেচনা করিয়া কহিলেন, “হে উত্তর! তুমি আমার নিয়োগক্রমে অনতিবিলম্বে শমীবৃক্ষে আরোহণপূর্ব্বক শরাসন-সমুদয় আনয়ন কর। তোমার এই সমুদয় ধনু অতি আসার, সুতরাং আমি যখন সমরাঙ্গনে অবতীর্ণ হইয়া শত্রুজয় ও হস্ত্যশ্বদলী বিমর্দ্দন করিব, তৎকালে এই সকল শরাসন আমার বাহুবিক্ষেপ ও বলবীৰ্য্য সহ্য করিতে কদাচ সমর্থ হইবে না; অতএব তুমি সত্বর বিস্তীর্ণপল্লব এই শমীবৃক্ষে আরোহণ কর। ইহাতে মহারাজ যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জ্জুন, নকুল ও সহদেবের শর, কামুক ও দিব্য কবচ-সমুদয় নিহিত রহিয়াছে। ঐ বৃক্ষেই অর্জ্জুনের গাণ্ডীব-শরাসন সংস্থাপিত আছে। ঐ একমাত্র ধনু সহস্ৰ সহস্ৰ কামুকের তুল্য; উহা নিতান্ত ব্যায়ামসমূহ [আকৰ্ষণ-সহনক্ষম], সর্ব্বায়ুধপ্রধান, সুবৰ্ণালীকৃত, আয়ত, ব্ৰণশূন্য [নির্ম্মল], দুর্ব্বহাভারসম্পন্ন ও চারুদৰ্শন। ধর্ম্মরাজ যুধিষ্ঠির, ভীম, নকুল ও সহদেবের কামুকও এইরূপ সুদৃঢ়।”