ঋগ্বেদীয় পুংসবন
এই সংস্কারে চন্দ্রনামা অগ্নি স্থাপন করিতে হয়। গর্ভের তৃতীয় মাসে পুষ্যা নক্ষত্রে এই সংস্কার করণীয়। পূর্ব্বদিনে গর্ভিণী হবিষ্য করিবে। পরদিন পরি নিত্যক্রিয়া করিয়া মাতৃকাপূজা ও বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ করিবেন। পরে লগ্নসময়ে প্রাঙ্গনে ছায়ামণ্ডপে প্রাঙ্মুখে উপবিষ্ট হইয়া কর্ম্ম করিবেন। যথা—উপলেপনাদি স্রুক্-স্রুব-মেক্ষণ-প্রতাপনান্ত কর্ম্ম করিয়া প্রাজাপত্যচরু প্রসাধণ, অগ্নির নামকরণ ও আজ্যভাগান্ত কর্ম্ম করিবেন। পরে বাসুদেবের দ্বাদশনামলিখিত বস্ত্র দ্বারা বেষ্টিতা পত্নী বস্ত্রাদ্যলঙ্কৃতা হইয়া শরাবহস্তে মঙ্গলধ্বনি সহকাএ আসিয়া পতির বামপার্শ্বে উপবেশন পূর্ব্বক দক্ষিণ হস্ত প্রসারণ করিবেন। তখন পতি সেই হস্তোপরি দধি, দুইটি মাষকলায় ও একটি যব নিক্ষেপ করিয়া তিনবার জিজ্ঞাসা করিবেন, “কি পান করিতেছে?” পত্নীও তিনবার “পুংসবন” এই কথা বলিয়া তাহা পান করিবেন। এই প্রকারে তিনবার পান করিতে হয়। তৎপরে জীববৎসা দম্পত্তিকর্ত্তৃক শিশিরপিষ্ট দুর্ব্বারস দ্বারা পতি পত্নীর দক্ষিণ্নাসাপুটে নস্য প্রদান করিবেন। “ওঁ অগ্নিরেতু প্রথমো” ইত্যাই মন্ত্রে নস্য দিবে। পরে পতি পত্নীকে স্পর্শ পূর্ব্বক “ওঁ ব্রহ্মণাগ্নিঃ সম্বিদা” ইত্যাদি ছয় মন্ত্রে ছয়টি চরুহোম করিবেন।১—৬।
তদনন্তর পত্নীর হৃদয়দেশ স্পর্শ পূর্ব্বক “ওঁ যতে সুষীমে” ইত্যাদি মন্ত্র পাঠ করিবে। পরে “ওঁ অভিভ্যাং” ইত্যাদি মন্ত্রে সর্ব্বাঙ্গে হস্ত মার্জ্জন করিতে হয়। তৎপরে চরু দ্বারা স্বিষ্টিকৃদ্ধোম এবং আজ্য দ্বারা প্রায়শ্চিত্ত হোম সমাপন পূর্ব্বক দক্ষিণা প্রদান ও অচ্ছিদ্রাবধারণ করিবেন।