মলিন কবির মুখ, কবিতার পেলব গা’ পুড়ে যাচ্ছে জ্বরে।
রক্তিম কপালে তার পানি-পটি দেওয়া প্রয়োজন,
মাথাটা ধুইয়ে দিলে ভাল হয়, অদূরে কোথাও
প্যাঁচা ডেকে ওঠে বার বার। চোখ বোজা আর
দপ দপ করছে কপালের রগ, নড়ে ওঠে ঠোঁট,
রোগা প্রজাপতি; দাও কমলালেবুর রস ওকে
একটু একটু ক’রে। কবি পায়চারি করে ঘরে,
বারান্দায়, কখনও গলির মোড় থেকে ঘুরে আসে।
কবিতার জ্বর বাড়ে ক্রমাগত, লাবণ্য শরীর
থেকে ঝ’রে গেছে, তার বিছানায় যেন বা কংকাল
গচ্ছিত রেখেছে কেউ। রাত্রির তৃতীয় যামে ঘুম
পায় ক্লান্ত কবির, অথচ জেগে থাকে, যদি তার
ডাক আসে অকস্মাৎ। কী এক নিগূঢ় শুশ্রুষায়
কবিতার জ্বর সেরে যায়, শয্যা নেয় রুগ্ন কবি।
৮।৪।৯১