Dramatis Personae
R. Tagore
P. Chaudhuri
L. Palit
P.C.। একটা কোনো বিষয় আলোচনা করা যাক।
L.P.। তার দরকার কী? Vast World-এ একটা না-একটা subject পাওয়া যায়ই।
R.T.। সাহিত্য জিনিসটা বিষয়ের উপর বেশি নির্ভর করে না বলবার ভঙ্গির উপর।
L.P.। বুঝিয়ে বলো।
P.C.। সাহিত্যের বিষয়টা কী?– Guide bookআর Book of travels-এ ঢের তফাত।
R.T.। ওইতেই তো আমার প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল– দুটোরই বিষয় এক, খালি manner তফাত।
L.P.। দুটোর বিষয় আবার মতে তফাত, কেননা different points of view থেকে deal করা হচ্ছে– যেমন Physics আর Chemistry। Guide books-এ খালি Fact পাওয়া যায়– Book of travels-এ personal element আছে– আর তাইতেই literature হয়। impersonal information-এ science হতে পারে। literature হয় না।
R.T.। তা হলে দেখতে হবে কিসে personality প্রকাশ হয়।
L.P.। সেটা কি method-এর হয় question নয়?
P.C.। Method তো আর খালি style নয়।
L.P.। Rhetorical point of view থেকে।
R.T.। Mere facts সরল ভাষায় ব্যক্ত করা যেতে পারে কিন্তু তার সঙ্গে emotions express করতে হলেই ভাষাকেও নিজের মনের মতোন করে গড়ে তুলতে হয় যাতে নিজের ভাব নিজে ভালো রকম ব্যক্ত করে উঠতে পারে।
P.C.। করবার তফাত তত নয়– যত দেখবার তফাত। একজন যত points দেখছে আর-এক জনা তত হয়তো দেখছে না– feelings-এর question তত নয়– knowledge-এরও question হতে পারে।
R.T.। তা হলে তুমি বলছ যে কতকগুলো points literature-এর পক্ষে বেশি উপযোগী।
P.C.। না, তা ঠিক নয়। জ্ঞানস্পৃহা, সৌন্দর্যস্পৃহা ইত্যাদি আমাদের অনেক faculties আছে– Science & Art আলাদা department নিয়ে deal করে; কিন্তু literature সমস্ত faculties-এর সামঞ্জস্য দেয়। নিদেন তাই literature-এর চেষ্টা– সব সময়ে perfect success হয় না।
L.P.। আগে দেখা উচিত Literature-এর end কী? তা হলেই আমরা বুঝতে পারব subject তার এবং তার method কিরকম হওয়া উচিত।
P.C.। Matthew Arnold বলেন Literature-এর উদ্দেশ্য humanize করা। মানুষের যতগুলি ভালো প্রবৃত্তি আছে তার প্রত্যেকটার Perfect development-এর সহায়তা করা। জ্ঞানস্পৃহা, সৌন্দর্যস্পৃহা প্রভৃতি সকল বৃত্তির সম্যক স্ফূর্তি সাধন করা। আমি বলি সেই উদ্দেশ্য সাধনের উপায় হচ্ছে enjoyment মুখ্য ও instruction গৌণ হওয়া।
L.P.। খুব ঠিক। তা হলে দাঁড়াল এই যে আমাদের emotional nature-এ সব চেয়ে বেশি appeal করবে। আমি ধরে নিচ্ছি যে ethical মানে emotional। এই sense-এ যে ethics emotion- এর through দিয়ে literature-এ act করে। Reason-এর through নয়।
P.C.। এ সম্বন্ধে বক্তব্য আছে। সত্য দুই ভাবে দেখা যায়। প্রথম– চিন্তার বিষয়। দ্বিতীয়– feel করবার বিষয়। literature-এ আমাদের জীবন্ত সত্যর সঙ্গে পরিচিত করে। সত্যকে তাহার সমগ্রভাবে আমাদের আয়ত্তগত করে। দৃষ্টান্ত– প্রকৃতিকে আমরা Physical Science-এর মতে Matter এবং Force-এর একটা সমষ্টি বলে মনে করতে পারি মাত্র। কিন্তু প্রকৃতিতে তার সমস্ত সৌন্দর্যর সঙ্গে একটা palpable concrete thing বলে অনুভব করা সেটা যে মানসিক শক্তির দ্বারা হয় literature তারই expression।
L.P.। প্রথম কিছু mystic। এই mystic nature-এর সঙ্গে যুদ্ধ করতে হলে analysis-এর দরকার। সত্য হৃদয়ের দ্বারা অনুভব করা কি রকমে সম্ভব হয় বুঝতে পারছি নে। Nature- এর beauty-কে কী হিসাবে সত্য বলা যেতে পারে তাও জানি নে unless সত্য শব্দটার অরেকটা নূতন মানে দেওয়া যায়। Beauty আমাদের feelings affect করে আর সেই sense-এ purely emotional। একে যদি truth বলে তবে আমি যা আগে বলেছিলুম তার সঙ্গে কোনো তফাতই থাকে না। একই জিনিসের দুই quality থাকতে পারে। গাছ নদী পাহাড় পর্বতের যে সমষ্টিকে আমরা nature বলি তার একটা side unemotional তাই সেই side-টা আমরা purely scientifically enquire into করতে পারি। যে side-টা আমাদের emotion excite করে তার সত্য মিথ্যা উচিত অনুচিত নেই। এটা সুন্দর হওয়া উচিত এমন কোনো কথা নেই। সৌন্দর্য relative। মানুষের মন এবং nature-এর সঙ্গে একটা relation। সে relation-টা universal নয় তাই ordinary scientific truth-এর category থেকে বার করে নিই।
P.C.। আমার কথার মানে– literary subject beautiful, moral, এবং আমাদের intellect-এর grasp-এর মধ্যে। এর একটা কোনোটাকে বাদ দিলে literature অসম্পূর্ণ হয়।
L.P.। Literature-এর aim হচ্ছে beauty। তবে যা আমাদের moral nature rovolt করে তা আমাদের Sense of the Beautiful-ও shock করে। কতকগুলো intellectual truth-ও আছে যা ব্যতিক্রম করলে একই effect হয়। আমাদের sympathy হচ্ছে Highest moral quality। তাকে excite করতে হলে truthful হওয়া দরকার কেননা impossible কিংবা non-existent creature-দের সঙ্গে sympathy-র কোনো আবশ্যক নেই। Living Human being এর সঙ্গে sympathy-র দরকার। এইটুকু truth বজায় রেখে আর বাকি truth আমরা ignore করতে পারি। emotion তা হলে হল end এবং moral ও intellectual হল means।
P.C.। এ যদি লোকেনের কথা হয় তা হলে আমার কোনো আপত্তি নেই। তবে লোকেনের sympathy-র বদলে আমি love বসাতে চাই। আর means-টা aestheticalও বটে। [প্রমথ প্রস্থান।
পারিবারিক স্মৃতিলিপি পুস্তক, Oct। 1। 89[১৬ আশ্বিন, ১২৯৬]